শনিবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২০

রাত্রি এসে যেথায় মেশে ~ শুভলক্ষী গোস্বামী





*************
আমরা যারা শান্তিনিকেতন আশ্রমকে ভালবাসার আঁধারে জড়িয়ে আজ ও বেঁচে আছি, সে থাকা না থাকার সামিল হয়ে দাঁড়িয়েছে আমাদের কাছে। সারা দিনের ক্লান্তির কালো ছায়া ঘনিয়েছে এসেছে আশ্রমিকদের মনে প্রাণে। প্রভাতের সূর্য কিরণ মনে হয় এক বিষাদের সুর বাজিয়ে চলেছে।।শান্তির নীড় হারা পাখি উড়ে চলে শান্তির খোঁজে। আজ অন্তরে একটি গান‌ই গলা ছেড়ে গাইতে ইচ্ছে করছে,
   "কাঙাল আমারে কাঙাল করেছ আরো কী তোমার চাই।" সত্যি আমাদের সব হতে আপন আমাদের শান্তিনিকেতনের রূপ রঙ সৌন্দর্যের লীলাভূমি সব হতে আপন, তার রূপের সৌন্দর্যে মুগ্ধ সারা বিশ্ববাসী! সেই সৌন্দর্যকে নানা রঙের তুলির আঁচড় কাটতে গিয়ে নিজেদের অপদার্থতার পরিচয়ে পরিচিত করে তুলতে দ্বিধাবোধ করছেন না। উত্তাল সমুদ্রের ভয়ঙ্কর ঢেউ আছড়ে পড়ছে শান্তিনিকেতন আশ্রমে। আমাদের স্মৃতি বিজড়িত দিন,কাল,সব ভাসিয়ে নিয়ে চলেছেন দন্ডায়মান বিদ্যুৎ স্তম্ভ। স্তম্ভিত আপামর  বিশ্ববাসী বাঙালি! গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদচিহ্ন আঁকা শান্তিনিকেতন। সেই আম্রকুঞ্জ, শালবীথি ,ছাতিম তলা, উত্তরায়ণ সব ভবনে কান্নায় ভেঙে পড়েছে দাও আমায় মুক্তির স্বাদ নিতে এই আকাশে বাতাসে জলে স্থলে উপাসনালয়ের দ্বারে।আজ ভুলুন্ঠিত হয়ে পড়ে আছি তোমাদের সেই পুরনো ঘন্টা তলা !আমি!!এই দেখ আমার ভগ্নদশা। ঘন্টা ধ্বনিত হবে কী করে আমি শরশয্যায় শায়িত।এখান থেকে কার বাড়ি চলে যাব কেউ জানতে পারবে না। তখন  চুরি হয়ে গেছে রাজ কোষে চোর চাই বলে চিৎকার চেঁচামেচি করে পাওয়া যাবে না চোর।চোর তো ঘরে বাইরে কাকে ধরি! এই খেলা চলতে থাকবে! বিদ্যুতের আলো সেখানে এখন পৌঁছতে পারেনি। আমি তাই আলো ফেলে দেখিয়ে দিলাম।চোর ধরতে যদি একটু সুবিধা হয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন