রবিবার, ২৫ মার্চ, ২০১২

আহ বাজেট বাহ বাজেট ~ দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায়

ক্ষতিপূরণ দিয়েছি আগেও
দেবো আবার মরলে,
ঢালাও চোলাই বিক্রি হবে
বাংলার দাম বাড়লে। 
ফল সব্জি মাছ মশলা 
রোজ তুমি যা খাও, 
ভিনরাজ্যের হলেই তাতে
ট্যাক্সটি তুমি দাও। 
ভাঁড়ার ঘরে মা-ভবানী 
তবুও ওড়াই ফানুস
চাপ দিওনা বস তোমরা - 
মা, মাটি আর মানুষ! 

মঙ্গলবার, ১৩ মার্চ, ২০১২

ব্রাত্যজনের রুদ্ধসঙ্গীত ~ বাসব বসাক

শোনো শোনো শোনো সবে শোনো দিয়া মন

ব্রাত্যজনের রুদ্ধগীতি করিব বর্ণন -

ছিলেন আগুনখেকো বুদ্ধিজীবী, পরিবর্তনকামী

মন্দলোকে বলতো তখন তৃণ- অনুগামী

দিদির তরে কাঁন্দেরে প্রাণ আকুলি-বিকুলি

তাই; সময়কালে ঘোমটা খুলে দাগী-তৃণমূলী

বদল-তুতো দিদি তাহার, বুদ্ধিজীবী ভ্রাতা

জিতিয়ে ভোটে বানিয়ে দিলেন শিক্ষা লোকের ত্রাতা।

তখতে বসেই করেন জারি, নিত্যনব আইন

বিশ্ববিদ্যালয়-কমিটি, ব্রাত্য ছাত্ররাই

দলতন্ত্র নিকাশিতে নতুন দাওয়াই।

মেন্টর গ্রুপ আলো করে জ্ঞানের যতেক ভান্ড

কিবারূপ, মার্জিত, আহা কি-আনন্দ,

বাহুবলী ভ্রাতা সকল হইলেন রিক্রুট

ডান্ডা হাতে উপরে দিলেন দলতন্ত্রের রুট। 

কলেজে কলেজে আজ প্রসারিত শান্তি

মন্ত্রী মহদয়ের দেখ উদ্ভাসিত কান্তি -

এমনি করেই চলছিল বেশ সকাল-বিকেল-সন্ধ্যা

রাত্রিকালে কোথায় যান সেসব প্রশ্ন বন্ধ্যা।

হটাৎ করে কি যে হোল - উঠল চোঁয়া ঢেঁকুর

এমনি ঢেঁকুর ক্যামনে ওঠে জানা মাতাল ফেকুর।

মুখ ফস্কে বলে দিলেন - গোয়েন্দা নই আমি

ধর্মঘটের অধিকার আছে সবার মানি।

যেই না বলা এমনতর বে-আক্কেলে কথা

রেগে আগুন তেলে বেগুন হল দিদির মাথা

ভালোবাসি তা বলে এই সৃষ্টিছাড়া অনাচার! 

হ নিল ডাউন, বলতি বনধ, কেড়েই নেব ও চেয়ার ! 

দিদির হাতের কানমলা তার লাগলো বড় মিঠে 

আগুন-খেকোর যত আগুন গুহ্য দিয়ে ছোটে 

চেয়ার গেলে ছলা-কলার কি আর বল থাকে

তাইতো তিনি লিউকোপ্লাস্ট লাগিয়েছেন ঠোঁটে!

দোর লাগিয়ে ঘরের কোনে গান ধরেছেন - ভজন 

এমন আগুন খেকো প্রতিবাদী দেখেছে আর কজন!