সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০১৫

​ শিল্প বিচার ~ কৌশিক সেনগুপ্ত

সিংহাসনে বসল রানি, বাজলো কাঁসর ঘন্টা,
ছটফটিয়ে উঠল কেঁপে সুব্রতদার মনটা,
রানি বলে, 'মন্ত্রী আমার রাজ্যে নেইকো শিল্প?'
মন্ত্রী বলে, 'ল্যাংচা সেটা শিল্প তো নয় অল্প।'
রানি বলেন 'অল্প বেশি দেখুক গিয়ে ববি',
ববি বলে 'আমার কেবল চেতলাটুকুই লবি'।
রানি হাঁকেন 'বোলাও তবে...বেহালার ঐ পার্থ',

মঙ্গলবার, ১৪ জুলাই, ২০১৫

কদিন হল – শুভাশিষ আচার্য্য

কদিন হল সাহস গুলো বেড়াতে গেছে কিছুনা বলে
কেন্নো যেন কুঁকড়ে থাকি, বুকেতে হাত, বল নেইতো
পণ্য জন্ম হয়েছে কবে, কে জানে কখন লুঠ চলছে
জন্ম ভর দাস জন্ম, মাথাটা নুয়ে নিচের দিকে
কদিন হল সাহস গুলো বেড়াতে গেছে কিছুনা বলে

ওর চোখ দিয়ে – শুভাশিষ আচার্য্য

-- হ্যালো বাবা..
-- হ্যাঁ মা বল
-- কি করছিলে বাবা
-- এই একটু শুয়ে আছি একটু ক্লান্ত লাগছে তাই
-- ... তুমি ভাল আছ বাবা
-- হ্যাঁ রে মা ভাল আছি তুই চিন্তা করিস না
-- হ্যালো বাবাইরে
-- হুমম

না-মানুষের উপকথা - সুদীপ্ত চক্র

স্কুল থেকে ছেলে ফিরতেই বুকের ভিতরটা কেমন যেন কেঁপে উঠল স্কুলের সাদা জামাটায় লাল ছোপ ছোপ দাগ, চুলগুলো সব এলোমেলো কাঞ্চন দৌড়ে গিয়ে জড়িয়ে ধরে ছেলেকে
- কি হয়েছে বাবা ? জামায় এত রক্ত এলো কোথা থেকে !
ছেলে চুপ করে থাকে
কাঞ্চন কি বলবে ভেবে পায় না তার ছেলেতো এমন নয় শান্ত স্বভাবের ছেলের আজ হঠাত্ কি হলো ! ভেবে পায় না কাঞ্চন
- কি হয়েছে বাবা বল আমায়, কেউ কি তোকে মেরেছে ? রাস্তায় কোন দুর্ঘটনা হয়েছে ? চুপ করে থাকিস না বল আমায়

রবিবার, ১২ জুলাই, ২০১৫

মেঘমুলুকে ঝাপসা পথে... - সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়

সোঁদা সোঁদা গন্ধ, ভিজে ভিজে রাস্তা, ঝিম ঝিমে নিস্তব্ধতা আর গোল গোল চোখ নিয়ে দেখি ওই উঁচুতে মেঘের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসেছে আস্ত একখানা আইফেল টাওয়ার। স্থাপত্যবিদ্যা নিয়ে আমার জ্ঞানগম্যির উচ্চতা পেয়ারাগাছ পেরোয় না। পাথর বা ইঁটের তৈরি স্তম্ভ মানেই কলকাতা ময়দানের মনুমেন্ট আর লোহা বা ইস্পাতের তৈরি উঁচুপানা কিছু দেখলেই আইফেল টাওয়ার, এর বাইরে অন্য কিছুর তুলনা টানতে পারিনা। আর এখানা দেখতেও অনেকটা আইফেল টাওয়ারেরই মত। ইয়াব্বড় হাঁ করে তাকিয়েছিলুম। গোটা দুয়েক সাহসী পাহাড়ি মাছি হাঁয়ের ভেতর ঢুকে সরেজমিনে দেখে নিয়ে আবার উড়ে বেরিয়ে গেল। শেষে ভাঙ্গা রাস্তার ঝাঁকুনিতে চোয়াল বন্ধ হয়ে কটা কথা বেরিয়ে এল – ওটা ওখানে উঠলো কি করে?  

শুক্রবার, ১০ জুলাই, ২০১৫

সাংসদ ~ আশুতোষ ভট্টাচার্য্য

​সংসদে কেউ গলা ফাটাবেন আম জনতার স্বার্থে
প্লেনে চড়ে তাঁরা যাতায়াত করে কর দাতাদের অর্থে,
কেউ থাকে শুধু চুপচাপ বসে, বলেন যৎসামান্য
বিস্বয়ে কেউ হতবাক হন, বলেন জীবন ধন্য-
পেছন বেঞ্চে বসে দেন কেউ সামান্য দিবানিদ্রা
গালি দেন কেউ, মন দিয়ে শোনে দিকপাল ভাষাবিদরা;
গরম লাগছে ভয়ানক স্যার, অভিযোগ যায় স্পিকারে
কেউ ঘন ঘন পায়চারি করে গলা ভেজালেন লিকারে,
সংসদে কেউ বক্সিং লড়ে, চলে হাতাহাতি কুস্তি

​অনুগল্প ~ আশুতোষ ভট্টাচার্য্য


রোজকার মত দোকান বন্ধ করে বাড়ির পথ ধরতে আজও ১১ তা বেজে গেল কাজলের। স্টেশানের পাশে ছোট চায়ের দোকান কাজলের, গ্রাজুয়েশান করে কিছুদিন টাইপ, শর্টহ্যান্ড শিখে বা সরকারি চাকরির পরীক্ষাও দিয়েছিল কিছু, তারপর এই চায়ের দোকান।বেশ চলে দুজন কর্মচারী, চা, বিস্কুট চায়ের আবার হরেক রকম লাল চা, লেবু চা, দুধ চা, চিনি ছাড়া যার যা পছন্দ।অনেকে খবরের কাগজ পড়ে, খেলা , রাজনীতি নিয়ে মত দেয়, তর্ক চলে বেশ লাগে কাজলের।

​কাল ছিল ডাল খালি ~ প্রকল্প ভট্টাচার্য্য

​কাল ছিল ডাল খালি (ভাত আর ডাল, ব্যাস?)
আজ ফুলে যায় ভরে (হোলো তো পেটেতে গ্যাস?)
বল দেখি তুই মালি (অন্তরা? ও কী জানে!)
হয় সে কেমন করে? ( বোঝো! কোনও হয় মানে!)
গাছের ভিতর থেকে ( জাইলেম, না কি যেন?)
করে ওরা যাওয়া আসা (ওরা কারা? যাবে কেন?)

বৃহস্পতিবার, ২ জুলাই, ২০১৫

নীল সাদা, সাদা নীল ~ অমিতাভ প্রামাণিক


ধীরে ধীরে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছি বেশ।
দু:খ হয়, জহরলাল জেনে যেতে পারলেন না
তার একটা জুড়ুয়া ভাই ছিল,
কুম্ভমেলায় নয়, সাঁওতাল বিদ্রোহে সে
হারিয়ে গেছে ভীড়ে।