বৃহস্পতিবার, ১৪ মে, ২০১৫

ভালোবাসার টুকরো ছবি - শুভাশিষ আচার্য্য


জীবনের কিছু মোড় আছে কিছু সিদ্ধান্ত আছে যা যে মানুষ টা নিচ্ছে তাঁর কাছে যেমন গুরুত্বপূর্ণ সেরকমই তার চারপাশের জড়িয়ে থাকা মানুষদের কাছে তা হয়ে ওঠে প্রভাবিত করার উপকরণ। আর একটা ব্যাপার আর সবথেকে মুল ব্যাপার হল এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা। সিদ্ধান্ত সময়োচিত হলে তিনি সফল আর তা না হলে সেটা আর সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়না। আর একটা ব্যাপার হল আমাদের দেশ কাল সমাজ। এ এমন এক মৈত্রীমণ্ডল এমন এক ছায়া যুদ্ধ এমন এক অপরিবেশ বান্ধব যে আজ রাতে রুটির সাথে পেঁয়াজ পাতে থাকবে কিনা সে সিদ্ধান্ত আমাদের হাতে থাকেনা অনেক সময়। এরকম একটা বিষম সময় হুট করে তিনি সেই ভুবনজয়ী সিদ্ধান্তটা কত অনায়াসে নিয়েছিলেন। এক জ্ঞান তিতিক্ষু মন নিয়ে মাঝ রাতে ঠিক হয়ে গেল সরকারি চাকরির দরকারি কাজ গুল ছুড়ে দিয়ে কাল সকাল থেকে হবে শুধু লেখা লেখির কাজ। ভুবনজয়ী সিদ্ধান্ত। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন আর আমরা প্রভাবিত হলাম।

সোমবার, ১১ মে, ২০১৫

বাঁচার গান - শুভাশিষ আচার্য্য

ফুল ছোঁড়গো পুষ্প দয়াল মাঝরাতে।
আসর যাব ব্যান্ড বাজছে শিশুর মন,
এলোমেলো কথা বারতা দিগদিশাহীন,
আর কত গো পুড়বো আমি আত্মতেজে,
বাঁচব আমি আরও বাঁচব মধুরবেদন,
যাক ছিঁড়ে যাক সব-ভাবনা গরল দহে,
ফুল ছোঁড়গো পুষ্প দয়াল মাঝরাতে।

শনিবার, ৯ মে, ২০১৫

শেষ হয়েও ... - সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়


টেবিলের কোনায় পড়ন্ত বিকেলের একটুকরো রোদ এসে পড়েছে। দক্ষিন পূর্ব বাভারিয়ায় গ্রীষ্মের তুলনা হয়ত পৃথিবীর কোথাও নেই। ঝিরিঝিরে হাওয়া, নরম সোনালি রোদ। গাছের পাতা গুলো মনে হচ্ছে হালকা সবুজ মাখনের তৈরি, যেন আর একটু রোদ পেলেই গলতে শুরু করবে। এ অঞ্চলের লোকজন ভারি হাসিমুখ। একটু গাঁইয়া বটে, কিন্তু হাঁদা হবার সুবিধে আছে। যাই বোঝানো হোক, ঝটপট বুঝে যায়। বিংশ শতকের শুরু থেকেই জীবনের লয় দ্রুত হতে শুরু করেছে। এই ১৯৩৭ সালের কেজো পৃথিবীর সঙ্গে গত শতকের অভিজাত ধীরলয়ের জীবনের অনেক পার্থক্য। সে জীবনে গতি ছিলোনা বটে, কিন্তু আভিজাত্য ছিলো, চিন্তার খোরাক ছিলো, মাথা খাটাবার জায়গা ছিলো, সুক্ষতা ছিলো, শিল্পের ছোঁয়া ছিলো সব কিছুর মধ্যেই, এমনকি অপরাধ ও অনেক......।

শুক্রবার, ৮ মে, ২০১৫

রাজপ্রাসাদ - শুভাশিষ আচার্য্য

আমাদের একটা রাজপ্রাসাদ আছে। এর নানা রঙ। নানা মহিমা। যখন উচ্ছ্বাস পিছলে বেরয় হৃদয় থেকে আমরা প্রাসাদের এই কক্ষ টাতে যাই। এখানে থরে থরে রয়েছে তাঁর হাতে সাজান আনন্দের উপঢৌকন। যেমন খুশি হাতে নেয়া যায় তা। মনে হয় "আনন্দধারা বহিছে ভুবনে"। ভুবন আলো করা কক্ষ এটা আমাদের রাজার রাজপ্রাসাদে। অন্য দিকে যখন আমরা শোক পাই তখন ওই বিশাল থাম টাকে আঁকড়ে ধরি। মনে হয় সমস্ত শোক তাপ ওখানে প্রাজ্ঞ হয়ে থামটা দাঁড়িয়ে আছে গাছের মত। আমরা যারা কাজ করি, রোদ্দুরে ঘাম ঝরে ক্লান্ত হই, আমাদেরও এক কক্ষ আছে। সেখানে দেখতে পাই আমাদেরই শ্রম এখানে হয়ে আছে নানা কারুকার্য। যারা খেলতে থাকি সারাদিন আর এক দম পড়তে ভালবাসিনা  তাদেরও কঠিন কঠিন পড়া সহজ পাঠ হয়ে খেলা ঘর হয়ে আছে প্রাসাদের ভিতর। আরও কত কক্ষ যে রয়েছে এখানে এক জীবনে তা প্রদক্ষিণ করা মুশকিল।


বৃহস্পতিবার, ৭ মে, ২০১৫

হিট অ্যান্ড রান - কৌশিক সেনগুপ্ত

কারো বুক ধড়ফড়,
কারো আনচান,
কেন আজ জেলে যায়
সাল মান খান?

হাপুস হুপুস - সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়

       - খামোখা ঝগড়া করলেএত রাগ করতে আছে? 

- আমি তো ঝগড়া করিনি, বরং একটা ভালো কথা বোঝাতে চেয়েছিলাম।

- ভারি তো বোঝানো হলো, মাঝখান থেকে রাগারাগি করে খাওয়া ছেড়ে উঠে গেলে

- আমাকে এরকম করতে দেখেছো কখনো?

শনিবার, ২ মে, ২০১৫

ভরসা থাকুক - অবিন দত্তগুপ্ত

সমীরদাকে , প্রথম দেখেছি , ঢাকুরিয়া জোনাল অফিসে । আমাদের বিকল্প বায়স্কোপের মিটিং ছিল । ৯১ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি বস্তি অঞ্চলে একসাথে সিনেমা দেখানো হবে । প্রথম এক্সপেরিমেন্ট । জায়গা বাছার জন্য , সমীর মন্ডল এসছিলেন । মিটিং-এ এক মধ্যবিত্ত কমরেড বলেছিলেন , " ওরা কি এগুলো বুঝবে ? "

শুক্রবার, ১ মে, ২০১৫

সক্কলকার পয়লা মে - শ্রেয়সী রায়

গতকাল শেষ , খুচরো হিসেব -
পান্তা ফুরোয় নুন আনতে ;
আজ শুরু হলো , রোদ উঠলেই
বাসনওয়ালীর পয়লা মে...