বিজেপি সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ২৫শে জুন সংবিধান হত্যা দিবস হিসাবে পালন করা হবে, কারন ১৯৭৫ সালে ওইদিন জরুরি অবস্থা জারি হয়েছিল। জরুরি অবস্থায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলির নেতা-কর্মীরা গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে আজকের বিজেপির উত্তরসুরী জনসঙ্ঘ নেতারা ছিলেন ও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ তথা আরএসএস-এর লোকও ছিলেন। কিন্তু, তার সাথে এটাও সত্যি কথা যে যারা গ্রেফতার হয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে একমাত্র আরএসএস ও জনসঙ্ঘ নেতারাই সেদিন ইন্দিরা গান্ধীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন। সেই ইতিহাসটা একটু জেনে রাখা দরকার।
জেলে ঢুকেই আরএসএস নেতারা মুক্তির খোঁজে
আরএসএস-এর প্রধান মধুকর দত্তারেয় দেওরস ওরফে বালাসাহেব দেওরস আটক হন ১৯৭৫ সালের ৩০ জুন। তার সাথে গ্রেফতার হওয়া মহারাষ্ট্রের আরএসএস সংগঠক ভি এন ভিদে, গ্রেফতার হওয়ার মাত্র ১৫ দিন বাদে লিখলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই বি চ্যবনকে - "সঙ্ঘ এমনকি দূর থেকেও সরকার বা সমাজের বিরুদ্ধে কিছু করেনি। সঙ্ঘের কর্মসূচীতে এ জাতীয় জিনিসের কোনও স্থান নেই। সঙ্ঘ কেবল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে নিযুক্ত রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হচ্ছে। কিন্তু এসব ভিত্তিহীন হিসাবে প্রমাণিত। ...... আমি আপনাকে আটক সঙ্ঘ কর্মীদের মুক্তি দিতে অনুরোধ করছি।" দেওরসের পরামর্শ নিয়েই ভিদে নিশ্চয়ই এই চিঠি লিখেছেন।
আরএসএস প্রধানের ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি
ইন্দিরা গান্ধীকে মোট তিনটি চিঠি লিখেছিলেন দেওরস, হিন্দিতে। তিনটি চিঠি নয়দার এক প্রকাশনা সংস্থা জাগৃতি প্রকাশন ছাপিয়েছে ১৯৯৭ সালে। প্রথম চিঠি ১৫ই আগস্ট, ১৯৭৫ তারিখে দিল্লীর লালকেল্লা থেকে প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দেওয়ার পর। দেওরস লিখলেন - "সপ্রেম নমস্কার, ১৫ই আগস্ট তারিখে দিল্লীর লালকেল্লায় রাষ্ট্রকে সম্বোধন করে আপনি যে ভাষণ দিয়েছেন, তা আমি আকাশবাণীতে এই কারগার থেকে মন দিয়ে শুনেছি। আপনার ভাষণ সময়োচিত এবং উপযুক্ত আর এর জন্য এই চিঠি লিখতে আমি প্রবৃত্ত হয়েছি"। লালকেল্লার ভাষণে ইন্দিরা গান্ধী দেশকে গঠন করার নানা কর্মসূচীতে সাহায্য করার জন্য সমাজের সাচ্চা শক্তিগুলিকে আহ্বান জানিয়েছিলেন। দেওরস চিঠিতে লিখলেন - "১৫ই আগস্টে আপনার ভাষণে এই কাজে সমাজের সাচ্চা শক্তিগুলিকে নিজের নিজের ক্ষেত্র নিয়ে লেগে পড়া চাই বলে আপনি সমস্ত সমাজকে যে ডাক দিয়েছেন তা সময়োচিতই ছিল" । দেশের উত্থানের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর এই দেশ গড়ার আহ্বানে সঙ্ঘ যুক্ত হতে চায় সে কথাই লিখলেন দেওরস - "দেশের উত্থানের জন্য সঙ্ঘের এই শক্তিকে যুক্ত করার আয়োজন হওয়া জরুরি"। চিঠি শেষ করেছেন ইন্দিরা গান্ধীর সাথে দেখা করতে চেয়ে - "আপনি চাইলে, আপনার সাথে দেখা করতে আমার আনন্দই হবে"। ভাবুন, যার বিরুদ্ধে সারা দেশ জুড়ে দুই মাস আগেই আন্দোলন, তার সাথেই দেখা করার জন্য আরএসএস প্রধান ব্যাকুল হয়ে পড়েছেন।
না, ইন্দিরা গান্ধী দেখা করতে চাননি, উত্তরও দেননি। অধৈর্য হয়ে উঠলেন দেওরস। কিন্তু কী উপলক্ষ্য করেই বা আবার চিঠি লিখবেন? আবার সুযোগ এসে গেল। একটি সুখবর এলো ইন্দিরা গান্ধীর জন্য। ১৯৭৫ সালের ১২ জুন এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল যে, ১৯৭১ সালে লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর জেতা অবৈধ। ইন্দিরা গান্ধী সুপ্রিম কোর্টে যান। সুপ্রিম কোর্টে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ ৭ নভেম্বর, ১৯৭৫ ইন্দিরা গান্ধীর নির্বাচনে জেতাকে বৈধ ঘোষণা করে। এই রায় বেরোনোর মাত্র ৩ দিন পরে ইন্দিরা গান্ধীকে অভিনন্দন জানিয়ে দেওরস চিঠি পাঠালেন ১০ ই নভেম্বর, ১৯৭৫ - "সাদর নমস্কার, উচ্চতম আদালতের পাঁচ বিচারপতি আপনার নির্বাচনকে বৈধ ঘোষণা করেছেন বলে আপনাকে হার্দিক অভিনন্দন"। তিনি লিখলেন - "শ্রী জয়প্রকাশ নারায়ণের ---------- আন্দোলনের সাথে সঙ্ঘের কোনও সম্পর্ক নেই"। জয়প্রকাশ নারায়ণ ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে জরুরি অবস্থার আগে থেকেই আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন, যেদিন জরুরি অবস্থা জারি হয় সেদিনও জয়প্রকাশ নারায়ণের নেতৃত্বে দিল্লীতে বিশাল জমায়েত হয়েছিল। তিনি আরও লিখলেন -"আমার আপনার কাছে প্রার্থনা যে আপনি প্রকৃত পরিস্থিতি জানুন...... সঙ্ঘের সম্বন্ধে সঠিক ধারণা বানান ...... সঙ্ঘের কয়েক হাজার লোককে মুক্তি দিন।
.........এটা করলে সঙ্ঘের লাখ লাখ স্বয়ংসেবকদের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার শক্তি সরকারী এবং বেসরকারী পথে রাষ্ট্রের উন্নতির জন্য কাজে লাগবে ও আমাদের সকলের ইচ্ছা অনুসারে আপনার দেশ সমৃদ্ধ হবে। পত্রের উত্তরের অপেক্ষায় রইলাম"।
১৬ই জুলাই, ১৯৭৬ ইন্দিরা গান্ধীকে দেওরসের তৃতীয় চিঠি- "সাদর নমস্কার, আমি আপনাকে আগেই দুটি চিঠি লিখেছি, কিন্তু দুঃখের বিষয় তাদের কোনও প্রাপ্তিস্বীকার বা উত্তর পাইনি। ওই চিঠিগুলিতে আমি আপনি ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা আরএসএস সম্বন্ধে যে অভিযোগগুলি করেছেন তার কিছু ব্যাখ্যা দিয়েছি। অভিযোগগুলির ধরন একই এবং কোনদিন তার স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি। ...... আমি আপনাকে অনুরোধ করছি যে দয়া করে সঙ্ঘ সম্বন্ধে যে ভুল বোঝাবুঝি বিরাজ করছে তার ঊর্ধ্বে উঠুন, বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করুন ও সঙ্ঘের উপর যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে তাকে তুলুন"।
জরুরি অবস্থায় আরএসএস সম্বন্ধে আইবি রিপোর্ট
জরুরি অবস্থার সময়ে ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (আইবি) হেড অফিসে ভিআইপিদের নিরাপত্তার দায়িত্বে উচ্চপদে কাজ করতেন বিখ্যাত আইপিএস অফিসার টি ভি রাজেশ্বর, পরে তিনি আইবি-র ডিরেক্টর হয়েছিলেন। শেষ বয়সে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে 'ইন্ডিয়া, দি ক্রুসিয়াল ইয়ারস' নামে একটা বই লিখেছেন, তাতে বিভিন্ন সময়ে আইবি দপ্তরের কিছু গোপন তথ্য আছে। তাতে লিখেছেন- "জরুরি অবস্থার প্রবর্তনে দক্ষিণপন্থী হিন্দু জাতীয়তাবাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু এর প্রধান বাবাসাহেব দেওরস, নীরবে প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সাথে একটি সংযোগ স্থাপন করেছিলেন এবং দেশে নিয়ম ও শৃঙ্খলা প্রয়োগের জন্য গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের প্রতি দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেছিলেন। ...... আইবি-র একজন সিনিয়র অফিসার আরএসএসের উচ্চস্তরের কিছু লোককে জানতেন এবং দেওরস সহ তাঁদের সাথে কয়েকটি বৈঠক করেছিলেন। দেওরস মিসেস গান্ধী ও সঞ্জয়ের সাথে দেখা করতে আগ্রহী ছিলেন, তবে এটি সম্ভব হয়ে ওঠেনি"।
জরুরি অবস্থাকে কার্যত সমর্থন
ডি আর গোয়াল রচিত 'রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ' বইতে আছে যে বাবাসাহেব দেওরস-এর বক্তব্য ছিল যে আরএসএস-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা না করলে, ইন্দিরা গান্ধীর জরুরি অবস্থার বিরোধিতা করার প্রশ্নই উঠতো না।
আরএসএস-এর শাখাগুলিতে প্রতি সপ্তাহে একটা বক্তৃতা হয়, যাকে বলে 'বৌদ্ধিক'। আরএসএস-এর এক শীর্ষ নেতা বাবা ভিদে, এই সমস্ত বৌদ্ধিকগুলিতে তিনি জরুরি অবস্থার সমর্থনে বক্তৃতা করতেন। এবিভিপির প্রভু চাওলা, বলবীর পুঞ্জ ও শ্রেরাম খান্না হই হই করে ইন্দিরা গান্ধীর ২০ দফা কর্মসূচীতে নেমে পড়েন, ফলে তাদের আর জেলে ঢুকতে হয় না। আরএসএস-এর একনাথ রামকৃষ্ণ রানাডে একটা সংযোগ গড়ে তুলেছিলেন ইন্দিরা গান্ধীর সাথে, তাকে বলা হয় ইন্দিরা গান্ধীর সাথে কথাবার্তা চালাতে।
উত্তরপ্রদেশে জনসঙ্ঘ ১৯৭৬ সালের ২৫শে জুন, জরুরি অবস্থার এক বছর পূর্ত্তিতে ইন্দিরা গান্ধী সরকারকে সম্পূর্ণ সমর্থন করার কথা ঘোষণা করে এবং সরকার বিরোধী কোনও কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ না করার জন্য আবেদন করে। সেখানেই শেষ নয়, উত্তরপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশে ৩৪ জন জনসঙ্ঘের নেতা কংগ্রেসে যোগ দেন।
আরএসএস-এ সাথে যুক্ত পুনের একটি মারাঠী দৈনিক 'তরুণ ভারত' সঞ্জয় গান্ধীর নামে একটি বিশেষ সংখ্যা পর্যন্ত প্রকাশ করে। আরএসএস-এর হিন্দি মুখপাত্র 'পাঞ্চজন্য' ১৯৭৫ সালের ডিসেম্বরে যুব নেতা হিসাবে সঞ্জয়ের উত্থানকে অভিনন্দন জানায়।
আরএসএস-এর মুচলেকা
১৯৭৬ সালের ৩০শে নভেম্বর, আরএসএস-এর মাধবরাও মুলে, দত্তোপন্ত থেনগাডি, মরোপন্ত পিংলে সহ ৩০ জনের উপর নেতা ইন্দিরা গান্ধীকে চিঠি লেখেন যে আরএসএস-এর নেতা-কর্মীরা মুচলেকা দিয়ে জেল থেকে বেরোতে চান ও যদি তারা সকলে মুক্তি পান, তবে তারা জরুরি অবস্থাকে সমর্থন করবেন। মাধবরাও মুলে ছিলেন আরএসএস-এর সাধারণ সম্পাদক। তিনি, তখন আত্মগোপনে আছেন। ইন্দিরা গান্ধীর মিডিয়া উপদেষ্টা তখন ছিলেন এইচ ওয়াই সারদা প্রসাদ, তার পুত্র রবি বিশ্বেস্বরায় সারদা প্রসাদ পরে লিখেছেন যে তার পিতাই আরএসএস নেতাদের মুক্তি দেওয়ার বিষয়টি কার্যকর করার দায়িত্বে ছিলেন।
মহারাষ্ট্রের ট্রেড ইউনিয়ন নেতা বাবা আদভ দেওরসের সাথে একই জেলে ছিলেন, তিনি নিজের চোখে যা দেখেছেন তা লিখেছিলেন- "বন্দীদের জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তারা কোনও অঙ্গীকার বা স্মারকলিপি সই করতে প্রস্তুত কিনা। আমি নিজের চোখে দেখেছি যে বেশিরভাগ আরএসএস বন্দীরা তাদের সম্মতি স্বাক্ষর করছে"।
সুব্রম্মনীয়মের বক্তব্য
সেদিনের জনসঙ্ঘের এক সাংসদ ছিলেন সুব্রম্মনীয়ম স্বামী, ২০১৩ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তিনি 'দি হিন্দু' পত্রিকায় ১৩ জুন, ২০০০ জরুরি অবস্থা নিয়ে একটা প্রবন্ধ লিখেছেন যাতে বলেন যে সেদিনের আরএসএস নেতাদের বেশিরভাগ জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। তিনি লিখেছেন -"অটল বিহারি বাজপেয়ী মহাশয় ইন্দিরা গান্ধীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে পত্র লিখেছিলেন এবং তিনি তাঁকে দয়া করেছিলেন। সরকারের বিরুদ্ধে কোনও কর্মসূচিতে অংশ নেবেন না বলে লিখিত আশ্বাস দিয়ে প্রকৃতপক্ষে ২০ মাসের জরুরি অবস্থার বেশীর ভাগ সময়ে বাজপেয়ী মহাশয় প্যারোলে মুক্ত ছিলেন"।
মাধবরাও মুলের কাছে থেকে সুব্রম্মনীয়ম জানেন যে আরএসএস-এর নেতা-কর্মীরা মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেও, সুব্রম্মনীয়মকে ছাড়া হবে না, কারণ তিনি বিদেশে ইন্দিরা ও সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে প্রচার করেছেন, ইন্দিরার চোখে ভালো হওয়ার জন্য বাজপেয়ীই বিশ্বাসঘাতকতা করে সুব্রম্মনীয়মকে ধরিয়ে দিতে পারেন। বাজপেয়ী সুব্রম্মনিয়মকে ধরিয়ে দিতে শাসক দলকে খবর দিয়েছিলেন কিনা, সেটা জানা নেই, কিন্তু এটা সত্যি যে সেই সময়ে বাজপেয়ী নিজে নিজেই একদিন দেখা করতে গিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্র দফতের প্রতিমন্ত্রী ওম মেহতার সাথে। সুব্রম্মনিয়মের ধারণা যে সেদিন বাজপেয়ী বলে এসেছিলেন যে তিনি আর আরএসএস-এর সাথে আর সম্পর্ক রাখবেন না, এবং তিনি সুব্রম্মনীয়ম স্বামী, মাধবরাও মুলে ও অন্যান্য আরএসএস কর্মীরা যারা তখনো আত্মগোপনে আছে, তাদের সমস্ত হদিস দিয়ে আসেন। স্বাধীনতার আগে থেকেই বিশ্বাসঘাতকতা আরএসএস-এর রক্তে আছে।
পুরো রেফারেন্স
১) Shah Commission of Inquiry – 1st Interim Report, page 25
(২) Shah Commission of Inquiry - 3rd Final Report, page 134
(৩) The Print, 25th June, 2020
(৫) Amit Shah, 'Dictorial Mindset Led To Emergency' , টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ২৬ সে জুন, ২০২১;
(৬) Sushil Kumar Modi. 'A story that needs to be retold', ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, ২৬শে জুন, ২০২১;
(৭) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019; page 124-129
(৮) D R Goyal, 'Rashtriya Swayamsevak Sangh', Radhakrishna Prakashan, 1979, page 116
(৯) M. S. Golwalkar, 'We Or Our Nationhood Defined', Bharat Publications, Nagpur1939, page 32
(১০) M. S. Golwalkar, Bunch of Thoughts, Sahitys Sindhu Prakashana, 1966, page 59
(১১) M. S. Golwalkar, Bunch of Thoughts, Sahitys Sindhu Prakashana, 1966, pages 177-201
(১২) Partha Banerjee, 'In the belly of the beast', Ajanta Books International, 1998, page 155
(১৩) The Hindu, 6 March, 2018
(১৪) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019; page 486-487
(১৫) Neerja Chowdhury, 'How Prime ministers decide', Aleph Book Company, page 66
(১৬) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019; pages 227-228
(১৭) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019; pages 225
(১৮) Bipan Chandra, 'In the name of democracy: JP movement and the emergency' Penguin, 2003, page 172
(১৯) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019; page 488
(২০) Coomi Kapoor, 'The Emergency: A personal story', Penguin, page 117
(২১) मधुकर दत्ताराय देवरस (बालासाहेब देवरस), 'हिंदू संगठन और सत्तावादी राजनीति', जागृति प्रकाशन, नोएडा, 1997
(২২) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019; page 493-494
(২৩) T V Rajeswar, 'India, The crucial years', Harper Collins, 2015, page 79
(২৪) D R Goyal, 'Rashtriya Swayamsevak Sangh', Radhakrishna Prakashan, 1979, page 124-125;
(২৫) Coomi Kapoor, 'The Emergency: A personal story', Penguin, page 47
(২৬) Neerja Chowdhury, 'How Prime ministers decide', Aleph Book Company, 2023 page 67
(২৭) The wire, 29 June 2024
(২৮) PRAJAKTA R. GUPTE, "India:"The Emergency"and the Politics of Mass Sterilization", Education About ASIA, Volume 22, Number 3, Winter 2017, pp. 40-44
(২৯) T V Rajeswar, 'India: The crucial years', Harper Collins Publisher, India, 2015, page 79
(৩০) Neerja Chowdhury, 'How Prime ministers decide', Aleph Book Company, 2023 page 79
(৩১) Bipan Chandra, 'In the name of democracy: JP movement and the emergency' Penguin, 2003, page 217-218
(৩২) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019, page 494-495;
(৩৩) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019, page 181;
(৩৪) Subramanian Swamy, 'Unlearnt lessons of the Emergency', The Hindu, 13 June, 2000;
(৩৫) Ajaz Ashraf, 'Vajpayee, RSS cowered before Indira Gandhi: BJP can't ignore Swamy's account of the Emergency', Firstpost, June 25, 2015.
(৩৬) Coomi Kapoor, 'The Emergency: A personal story', Penguin, page 122
(৩৭) Coomi Kapoor, 'The Emergency: A personal story', Penguin, page 133
(৩৮) Neerja Chowdhury, 'How Prime ministers decide', Aleph Book Company, 2023, page 36-37
(৩৯) N P Ulekh, 'The untold Vajpayee: politician and paradox', Penguin 2017, page 83-84
(৪০) Coomi Kapoor, 'The Emergency: A personal story', Penguin, page 19
(৪১) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019, page 183
(৪২) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019, page 185
(৪৩) Neerja Chowdhury, 'How Prime ministers decide', Aleph Book Company, 2023, page 66
(৪৪) The Indian Express, 26 February 1977
(৪৫) A G Noorani, 'The RSS A Menac to India', Left Word, 2019, page 197;
(৪৬) The Times of India, 11 April 1977
(৪৭) The Indian express, 8 May 1977
(৪৮) The Times of India 13 February 1980
(৪৯) Neerja Chowdhury, 'How Prime ministers decide', Aleph Book Company, 2023, page 67
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন