১২ই নভেম্বর ২০০৭: ওই বছরে নিহত নন্দীগ্রাম এলাকার ২৭ জন সিপিএম কর্মীদের নাম প্রকাশ হলো। একই সাথে গত এগারো মাস ঘরছাড়া শতাধিক সিপিএম পরিবার আশ্রয় নিয়েছিল অস্থায়ী ত্রান শিবিরে। সেই ঝুপড়িগুলো পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, অতিবাম, বিজেপি চক্র। বুদ্ধিজীবী, মিডিয়া আশঙ্কা ব্যক্ত করলো - পরিবার গুলি বাড়ি ফিরতে চাইলে সংঘাত বাড়বে। কবিতাটা ওই সময়েই লেখা। তারপর গত ষোলো বছরে অনেক জার্সি বদল হয়েছে, ঘর পুড়েছে, পুড়ছে। লেখাটার প্রাসঙ্গিকতা বদলায়নি বোধ হয়...
ত্রাণ শিবিরের সনেট
শুভাশীষ মোদক চৌধুরী
চেষ্টাও কোরোনা, তোমার ঘরে ফিরতে মানা।
তোমার জন্যে এই কলমে কান্না ঝরবেনা।
তোমার মরা ছেলের শরীর আঁকবেনা রং-তুলি,
তোমার গায়েও চিহ্ন আছে। বাতাসেতে শুনি
সেটার বাজার বিশেষ নেই। তুমি অপাঙক্তেয়।
আমরা তোমার বেঁচে থাকাই করেছি সন্দেহ!
তোমার ভাঙ্গা বাড়ির কথা দু-এক জনে জানে,
কিন্তু বাড়ি ফিরতে গেলে জানবে উনিশ কোটি।
এখন সুশীল সমাজ কাঁদি এগারো মাস পরে -
তোমার দিকে নজর দিলেই তৃতীয় পাতার ক্ষতি।
বদলে জামা সেই পাতাতেই জায়গাটুকু করে,
বুদ্ধিজীবীর নিয়ম মত পাল্টি খাবো পরে
সময়বুঝে। বিকিকিনি খানিক চোখের জল...
মিডিয়া চায়, আমিও চাই - জানতে তোমার দল।