সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১২

হাসি নিয়ে থাকো হাসিমুখে থাকো... ~ কবীর সুমন

হাসি নিয়ে থাকো
হাসিমুখে থাকো...

শান দাও হাসিতে, বারানসী কাশীতে , কলকাতাতেও
বঙ্গ রঙ্গ হোক, হেসে নিক সব লোকো যন্ত্রণাতেও
হাসি থাক শেষ কাঠে, যে কোনো শ্মাশানঘাটে চোখ বুঝে শুয়ে
কবরেও হাসি পাক, মরে গিয়ে হাসি পাক সুকুমার ছুঁয়ে।

ফুলসজ্জ্বায় হাসি, আদরের প্রত্যাশী, হাসি সঙ্গম
হাসিতে লজ্জ্বা ভাঙা, হাসিতে শরম রাঙা প্রেম অনুপম।

হাসি হোক মুখে ভাত, হাসিতে ধারাপাত চার একে চার
অবোধ শিশুও জানে ছোট্টো হাসির মানে, কোন্‌ হাসি কার
হাসিতে খরচ নেই, হাসি তো এমনিতেই মুখে এসে যায়
দাঁড়াও না নেতামনি, হাসির পরশমণি আছে আয়নায়।

আয়নায় মুখ দেখো, একটু হাসতে শেখো, স্বাভাবিক হাসি
খোঁচা দেওয়া হাসি নয়, তাতে সন্দেহ হয়, বুঝি দিবে ফাঁসি
আমি আছি ফেসবুকে, হাসি নিয়ে আছি সুখে, হাসি নিয়ে গাই
আমারও আসবে দিন, আপাতত হু চি মিন, হাসিটা শানাই...

কবীর সুমন



HASHI NIYE THAKO Posted on April 15, 2012 by Kabir Suman

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১২

আইন ভেঙেছিস সাইবারে ~ অনামিকা

হয়তো তোদের ভাতের থালায় রোজদিনই কেউ ছাই বাড়ে
ফেসবুকে সেই সত্যি জানাস? ক্রাইম করেছিস সাইবারে!

ইন্টারনেট চক্রী যারা, সকাল এবং রাত জেগে
জানিস নাকি সবার সেরা হিটলার এই রাজ্যে কে।

সেইজন্যেই বুঝতে পারি কী কাণ্ড হয় পার্কস্ট্রিটে
পুলিশ লাঠির নিখুঁত বাদ্যি কোথায় এবং কার পিঠে

ইচ্ছে আমার শেষ করে দিই সকল ষড়যন্ত্রীকে।
যেমন দিলাম দিনেশ এবং যেমন দময়ন্তীকে।

বিরুদ্ধমত? আইন ভেঙেছিস। করিস না আর ভরসাটা?
সাইবার আইন লেলিয়ে দেব। চামড়াতে দ্যাখ দেয় কাঁটা।

রক্ত যখন ছিটিয়েছিলাম বুদ্ধদেবের মুখ জুড়ে
তখন কি আর জানতাম এই দুঃখের দিন নয দূরে।

শিল্প বোঝেন শিল্প আঁকেন যোগেন শুভাপ্রসন্ন।
আমরা এখন কুর্সিতে ভাই। আঁকবি আমায়? কী জন্য?

শায়েস্তা ঠিক করব তাদের বলবে যারাই "কী মন্দা !"
পূর্ণেন্দু আইনটা জানেন, সবটা জানেন মদনদা'।

আমার পোষ্য আমজনতার চোয়ালপেশীর জোর কত
লেলিয়ে দিলেই টের পাবি যে সন্দেহ নেই অন্তত।

ভাত যোগানো কঠিন বড়ই। বিক্ষোভও খুব তাই বাড়ে।
নেট খুলে তুই মুখ খুলেছিস? আইন ভেঙেছিস সাইবারে !


পিটিশন

সদাই মরে ত্রাসে, এই বুঝি কেউ হাসে ~ অনিন্দিতা


সাবধান, সাবধান, চোদ্দোশ উনিশে
হা হা করে হাসলেই ধরে নেবে পুলিশে। 
হাসি যদি একান্ত চেপে রাখা নাই যায়,
অনুমতি নিয়ে হেসো ঠিক রাত বারোটায়। 
হাসা, ভালোবাসা বাদ, কাজ নেই রঙ্গে 
পরিবর্তন এলো পশ্চিমবঙ্গে !!! 




কার্টুন ~ দেবায়ুধ চ্যাটার্জী

এর চেয়ে সহজ কিছু এখনো আসেনি পৃথিবীতে 
একটা কার্টুন পারে রাষ্ট্রের মুখোশ খুলে দিতে...।।

Online Cartoon Exhibition



শনিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০১২

রসিক মহাপাত্র ~ দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য্য


পরিপাটি কেশ 
অম্বিকেশ
রসিক ছিলেন বটে
হঠাৎ করে পুড়ল কপাল
দিদি উঠলেন চটে
ছবি নিয়ে রসিকতাটাই
কাল হল তার  শেষে
তবুও আজ বঙ্গ সমাজ 
রঙ্গে চলে হেসে 
বঙ্গ জুরে রঙ্গ আনে
রসায়নের ছাত্র 
সবাই তাকে চিনবে এবার
রসিক মহাপাত্র!


এ কোন সকাল ~ সৌমেন কুমার

বড্ড ভয় করছে;
বড়ো ভয় করছে
মধ্যরাতে অমাবস্যার নিস্তব্ধতা ভেঙে,
কড়া নড়ে উঠবে না তো ?
শান্তির ওম, গরাদ ঘরের শীতলতায় বদলে যাবে না তো?

......না লিখে কলমের কালি শুকিয়ে গেছে
বাকরুদ্ধতায় অসারতা গ্রাস করেছে জিহবা,
ছবি আঁকিনা বহু দিন - হয়ত বা বর্নান্ধতা সমাগত
রঙ খুঁজে পায় না তুলি, তুলি খুঁজে ফেরে ক্যানভাস !
দিগন্ত বিস্তৃত মানবতার হাহাকার - মানবেরই খোঁজে
খোয়াইয়ের স্নিগ্ধতায় প্রেম খুঁজে ফেরে আশ্রয়,
মধ্যরাতের স্বপ্নে ভারী বুটের শব্দ ফিরে ফিরে আসে
হাজার বছরের অভ্যাস, পূর্ব দিগন্তে ফিরে আসে সূর্য।

তবু এ কোন সকাল?
মায়াবী আলো নেই, শিশিরের স্নিগ্ধতা নেই,
ময়দানে কুয়াশা নেই, কুয়াশা ঢাকা ভিক্টোরিয়া নেই।
এক্কাগাড়ি ছুটে চলেছে, ঠুং ঠুং শব্দ নেই;
মিছিল নেই, প্রতিবাদ নেই, মোহরকুঞ্জে বিতর্ক নেই;
নন্দিনীর আর্তি চাপা পড়েছে রাজার দামামায়।

এ কোন সকাল - নিস্তব্ধ শীতলতা
বড়ো ভয়াল নিস্তব্ধতা ,
বড় আতঙ্কে রয়েছি রঞ্জন - বড় আতঙ্কে...
এসো রঞ্জন, বসন্তের আগমন বার্তা নিয়ে এসো
বিশুর দল জাগিয়ে রাখো নন্দিনীকে;
রঞ্জন যে আসবে - শুরু হবে এক নতুন জয়যাত্রা।






অটোকার্টুন ~ সোমনাথ রায়

তৃণমূলে সরকার চৈত্রের শেষ
কার্টুনে ভরে দ্যায় বাংলা ও দেশ
সুভাষিত মমতার মোক্ষম জোক
ফেসবুকে নীলসাদা পুলিশের চোখ
... মাঝরাতে কড়া নাড়ে, ও অবনী, বাড়ি?
কমেডির মহড়ায় কিছু তাড়াতাড়ি
চিত্রনাট্যে আছে লক আপে শয়ান
প্রতিদিন পড়ে যাবে দিদি ভগবান-
সভাসদ পারিষদ দশমুখে স্তোক
ক্ষমতার পূর্ণতা প্রোমোটড হোক
আর কোনও কৌতুকই নেই দরকার
অটোকার্টুন, নিচে সই- সরকার



শুক্রবার, ৬ এপ্রিল, ২০১২

মোমবাতি সুশীল ~ সৌমিক দাশগুপ্ত

ধুর শালা, লাভ আছে এঁদো নেড়ী পুষিলে ?
ইনভেস্ট করা ভালো মোমবাতি সুশীলে
আরামসে খাবে দাবে, ন্যাজ নেড়ে আহ্লাদ
"ভুলো লুঃ" বললেই, তেড়ে গিয়ে ভীমনাদ
কিছু মাল কস্টলি, কিছু মাল ফোকটাই
কিছু মাল দাড়ি রাখে, কিছু 'স্মার্ট', নেকটাই
কেউ কেউ আঁতু ছানা, জামরঙ্গা লিপস্টিক
কোন শালা নাটুকে - (হায় হায় ! ধিক ধিক !!!)
ক্যামেরার সামনেতে মুখখানা 'উচ্ছে'
অলওয়েজ ক্যান্ডেল, গুঁজে রাখে গুহ্যে।
একটাই প্রবলেম, বলিয়াছে 'প্রতিদিন'
এঁদো নেড়ী চিরকাল, সুশীলরা কিছুদিন

বুধবার, ৪ এপ্রিল, ২০১২

পরিবর্তন ~ অমিতাদিত্য সান্যাল

তোমার জন্য রইল আমার সস্রদ্ধ প্রণাম
দিবা রাত্রি লইব আমি তোমার মহানাম।
কেউ বলল শিলাদিদি কেউ বা বলে মিথ্যেরানি
দেশের তুমি হাল ফেরাবে জানি শুধু আমরা জানি।
দীনেশ মুকুল বেচা মদন যেথায় যত বন্ধু সজন
বাংলা টাকে পালটে দিতে লড়াই চলছে মরন পণ।
উত্তর টা সুইজারল্যান্ড ব্রিটেন হল কলকাতা
লাল পার্টি আর কাগজ গুলো হিংসে করে বলছে যাতা ।
রোশন গুরুং বগল দাবা মাও এর মুখে বসিয়ে থাবা
ঘোমটা টেনে পোষণ করে কলকাতা কে করলে কাবা।
রাজপথের ওই নতুন বাতি কি ছরাল তোমার খ্যাতি ?
ভেবে দেখ ও দিদিভাই নেশার ঘোরে পুশলে হাতি।
চকচকে ওই আলোর নিচে খিদের জ্বালায় করুন মুখ
তোমার কাছে ভিক্ষে করে দুটি ভাতের টুকরো সুখ।
'বেঙ্গল লিড'' আশিহাজার গরম গরম টাকার বাজার
ভাঁড়ার যদি শুন্য থাকে কি কমিশন কেই বা সাচার ?
ছুরি ছিনতাই রাহাজানি এক লাফে তো দিগুন হল
দলের ভেতর সবাই রাজা কালু পোঁচা শিবু নেলো।
দাদার গালে মেরে চাটি শাহরুখ ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর
রাজ্য সভার গদির বেলায় নির্লজ্জ চাটুকার ।
তোমার কাছে অনেক আশায় আনল তোমায় জনগন
তোমার ঠ্যালায় কাঁপছে কেমন সনিয়া প্রনব মনমোহন ।
তুমি স্থিতি তুমি নীতি তুমি ছাড়া সবাই বাদ
কিছু দিনেই ল্যাংটো হব ইনক্লাব জিন্দাবাদ। —

রবিবার, ১ এপ্রিল, ২০১২

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও ~ সম্বুদ্ধ আচার্য্য

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
যেটুকু ঘর আটকে ছিল-
এই আগুনে পুড়িয়ে দাও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
কখন থেকে মাছের কাঁটা-
আটকে গলায়? উগরিয়ে দাও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
মরবে যারা মরুক শালা,
ওদের আবার প্রানের কি দাম?
আমরা আছি, পড়িয়ে টুপি,
জয়ধ্বজা শূন্যে উড়াও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
এই তো ছিল হাজার মানুষ,
এই তো ফাঁকা, ম্যাজিক দেখাও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
কান্না ওদের ভাওতাবাজি,
নীল-সাদা তে শহর সাজাও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
থাকবে ওরা গাছের নিচে,
রেললাইনে, খালের ধারে,
আমরা বসি অট্টালিকায়,
দেখলে ওদের কেলিয়ে ভাগাও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
মধ্যবিত্ত বিবেক জাগে?
ওসব ছেড়ে আখের গুছাও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও,
দেশের অভিশাপ ওগুলো,
ওদের মরে যাওয়াই ভালো,
সাজবে শহর, নাচবে শহর,
আমরা বসে গুনব টাকা.
ছোটলোকের প্রাণ ওগুলো,
জাগার আগে ই জ্বালিয়ে দাও.

বস্তি উধাও, বস্তি উধাও.