বৃহস্পতিবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১১

সহজ পাঠ : 2011 ~ মাধবীলতা

Mixed-কালার রেলের গাড়ি-
শিল্প-কর্মে শিল্পী দাড়ি।

শিলা জোগায় ভাইটি মদন।
পাতা জুড়ে চন্দ্র-বদন।

সুশীল হাজির নৈশাহারে,
প্রায়শঃই আদি-গঙ্গা পারে।

ভাগের ইয়ে গুটিয়ে এনে,
real estate বেচে কেনে।

নাগাল ছাড়ায় পেঁয়াজ-মুলো,
কিনতে চাইলে, 'গান্ধী' ফ্যালো।

বাম 'গরমেন্ট' পথের কাঁটা।
আবার না হয় বেগার খাটা!

বাবা সাথে মতুয়া মাতা,
রিজার্ভে বেঞ্চে 'পদ্ম'পাতা।

fund-এ থাকা লাভের গুড়ে,
শত্রু নজর বেড়ায় ঘুড়ে।

এদ্দিন ধরে নৌকো বেয়ে,
এবার ঘাটে 'ধন্যি' মেয়ে।

আরেক 'কানাই' যাদবপুরে,
মজেই আছে 'ছত্রধরে'।

'নৌকো' হয়ে স্নানের ঘাটে,
"পরিবর্তন" সাঁতার কাটে।

জবাবদিহি ~ রাত্রি

ভক্তিভরে মা কালীর পুজো দিনু আাজ,
"power-point", bare রূপে কিবা আছে লাজ??
অসীম শক্তিরূপে মহামায়া তিনি ।
ধ্বংসের কান্ডারী, most like শনি ।
কালী-শনি format বুঝি নাকো অত …
রোজ রাতে খুন হয় সহস্র-শত ।
অধিকাংশই হয় beheaded লাশ…
বদলের নামে কালি, দিচ্ছিস বাঁশ???
একালের কালী ইনি, higeinic ভীষণ !
খাঁড়ার আড়ালে রাখেন সুশীলি স্বজন !!
গর্দান নিয়ে নিয়ে ফুরায়েছে ধার … ;তাই
গুলি,বোমা, বাতেলাতেই বৈতরণী পার !!!
Attacked হইয়া শেষে "হার্মাদ" বিষে,
বুলেট চালান তিনি "মাও"-"মাটি" বেশে ।
"মৃত্যু-ঘন্টা" বাজায়ে, মা দিলেন সাজা-
ফাঁকা মাঠে গরু চড়ে, আহা কি মজা !!
"make me sure", যেন সবকটা মরে,
প্রমান রাখিসনে, যদি সি.বি.আই-এ ধরে ??
মার বুক থেকে ছেলে কেড়ে নিয়ে এসে…
আছড়ে, থেঁতলে তারে নিকেশিলি শেষে ?
কাতরালো দেহখানি কাটা পাঁঠার মত…
এই দেখে, মা কালী তুই মজা পেলি এত ?
রোজ ঘাটে কটা বডি পোড়ে, তা জানিস?
মিছে sympathy নিয়ে বড় মিছিল করিস !!!
বাংলার মা-মাণুষ ভোলেবাবা সম…
সেই বাবাকেই পায়ে দলিস অমন???
যে বীজ পুঁতলি মা, সে বিষবৃক্ষ হল ।
হিংসার বিষে মাটি রক্তে রাঙালো ।

স্বামী-ছেলেহারা নারী একদম চুপ ।
নির্বাক চাউনিতে জ্বলে বারুদের স্তুপ।
দুই হাতে ধরে গলাকাটা দুটি মুখ…
আজ চিনে নিয়েছে সে তোর ferocious রূপ !!

মা তোর পুজোতে বারুদ লাগে শ'য়ে শ'য়ে…
ফিরে আসে যদি তারা বুমেরাং হয়ে???
একবার পিছনপানে মা তকিয়ে দ্যাখ্….
Measure করে নে তোর পাপেভরা track…
হিসেবের দুই দিক, debit ও credit ।
মাণুষ মিলিয়ে নেবে তোর answer ঠিক !

এই বলে, গড় ক'রে নমিলুম তবে,
মা তুই সত্যিকারে "মাণুষ" হবি কবে?

মঙ্গলবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১১

ফন্দী ~ অনির্বাণ দত্ত

যতই ওরা ফন্দী আঁটুক,
তৈরী হচ্ছি আমরা .
আকাশ ওরা কালোয় ঢাকুক ,
ক্ষুধায় সেঁকেছি চামড়া।

সুমন , মমতা , শাঁওলি , ব্রাত্য ...
চিনেছি ওদের এইবার .
খুইয়ে মুখোশ 'সুশীল' পার্থ ,
পালাবার পথ নেই আর.

কাঁধে কাঁধ রেখে শিখেছে চলতে
লাঙল , হাতুড়ি , কাস্তে .
নেভানো প্রদীপ-এ নতুন সলতে ,
বাঁচবার মতো বাঁচতে।

রবিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০১১

বিনায়ক সেন ~ আশিসবরণ ব্যানার্জী

বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে
কাঁদছে দেখো মা,
শিশুর অসুখ সারাবে যে
সেই তো আসছে না!

হাসপাতালটা অনেকটা দূর
পয়সা লাগে যেতে,
ইজ্জতটা বেচবেনা সে
চাইবেনা হাত পেতে।

চোখের জল শুকায় চোখে
বুঝতে চায়না কিছু,
মরদটার কাম জোটেনি
ঘুরছে নেতার পিছু।

জানতো যে মা একটি মানুষ
ছিল তো তার গ্রামে,
অসুখ হলে দিত ওষুধ
ভালবাসার খামে।

গরীব বাঁচাও মন্ত্র নাকি
জপতো সে দিনরাত,
খোঁজ পেয়ে তাই বজ্জাতেরা
বেঁধেছে তার হাত।

স্বেচ্ছাতে সে ত্যাগ করেছে
গাড়ী বাড়ীর সাধ,
এই ভারতে এটাই নাকি
ঘৃণ্য অপরাধ!

পড়ছে ঢলে কোলের শিশু
সবাইতো বলছেন,
আহা যদি থাকতো পাশে
সেই বিনায়ক সেন।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১১

লজ্জা ~ সুকন্যা

লজ্জা আসে রক্তহোলির মত্ত নাচে,

লজ্জা কাঁদে দমনপীড়ন অত্যাচারে,

লজ্জা বাজে নির্মমতার কঠিন তারে,

লজ্জা পোড়ে অগ্নিশিখার তপ্ত আঁচে।


লজ্জা বোঝে দুধের শিশুর রাতকাড়া ভয়,

লজ্জা মরে ঘাসফুলদের লাঠির ঘায়ে,

লজ্জা হাসে বুদ্ধিজীবির মিথ্যে কথায়,

লজ্জা দ্যাখে জয়ের নেশায় নরকপ্রলয়।


লজ্জা শোনে মায়ের কান্না পুত্রশোকে,

লজ্জা হাঁটে লালমাটির সব দগ্ধপথে,

লজ্জা ভাসে অভুক্তপেট শ্যাওলা জলে,

লজ্জা ভাবায় পুরোনোদিন ত্রস্ত চোখে।


লজ্জা জ্বলে লালগড়ে আর নন্দীগ্রামে,

লজ্জা ঢাকে কিশোরীমেয়ের বেওয়ারিশ লাশ,

লজ্জা হারায় শবের মিছিল রাজনীতিতে,

লজ্জা খোঁজে দেশের চিঠি বন্দী খামে।


লজ্জা বলে প্রতিবাদ চাই সবার ঘরে,

লজ্জা বলে গর্জে ওঠো রুখতে শেখো,

লজ্জা বলে লালপতাকা নামো পথে,

লজ্জা বাঁচে কাস্তে-হাতুড়ি আঁকড়ে ধরে।

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারী, ২০১১

দুটি কবিতা ~ সোম

সময়ে অসময়

তোমার সাথে কাটানো সময়
নিতান্ত কম নয়
ভাবিনি সে সময়
অসময় না দুঃসময়
বিশ্বাসের ভাঁজে ভাঁজে
লুকোনো ভালবাসা
উদাসীন পাগলামী
আর স্বপ্ন দেখা
বলিনি তোমাকে
ঠিক কোন সময় ছুঁয়েছো হৃদয়
ভাবনার গভীরতায়
মুছেছো সব সংশয়
মেঘের গায়ের স্বপ্নগুলো
বাড়িয়েছে অনুভূতি
বহু পথ চলতে হবে
প্রশান্তি…সাথে তুমি
বাড়ছে দূরত্ব
অপেক্ষামান সময়ের কারাগারে
যে আমি ছিলাম সবচেয়ে দামী
অবহেলায় তাকেই ঠেলে দিলে দূরে
অজস্র হারানো সময়
নাকি স্বপ্নহীন অসময়?
কল্পনারা স্তব্ধ নাকি অবুঝ?
এ সময় তো ছিল,ফিরে পাওয়ার সে সময়।

 
সবুজ সন্ত্রাস
সন্ত্রাস শুধু রক্ত চায়
রক্ত পেলেই নাকি হবে ক্ষমতার জয়
কিছু ভাঙ্গচুড় আর হরেক রকম খুন
বাড়াও আতঙ্ক দিন-প্রতিদিন
মানুষের বাঁচা মরা থাক আমাদের হাতে
শেষে ভুলোনা যেন সংঘাত লাগিয়ে 'বাম' নামটা নিতে
আমি সাম্রাজ্য চাই আমার,সাথে সিংহাসন
রক্তে লেপো শহর,দিক কেউ কেউ প্রাণ
মানুষ থেকে মানুষে ছড়াক ভয়,তবেই তো হবে আমার জয়
মনে রেখো আমিই সন্ত্রাস অন্য কেউ নয়
সবুজে আজ রক্ত লেগেছে,কালো কালো শুধু ছাপ
বাড়ছে শুধু পাপ আর পাপ,আর সাধারনের অভিশাপ ।

 

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১১

লাশ পাচারকারী ‘চাঁড়াল’রা খোলা বাজারে নেমেছে ~ আজিজুল হক

প্রতিক্রিয়াপন্থী বুদ্ধিজীবিদের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে লেনিন একবার বলেছিলেন, "... এরা মৃত মায়ের চামড়া ছাড়িয়ে ডুগডুগি বাজিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করতে পিছপা হয় না...।" হ্যা, 'আধুনিক সাংবাদিকতা'র নামে আজ এই পশু-মানুষদেরই রমরমা| স্তালিনের কথাতে: "চৌকিদারের বউ নিজের মাথা নিজে ফাটিয়ে পাড়া-পড়শিকে জড়ো করে"।

লাশ চোররা সক্রিয়। লাশ বিক্রি করে দেউলিয়া রাজনীতির ঘরে পুঁজি বাড়ানই উদ্দেশ্য। হেমব্রমের লাশ থেকে মঙ্গলকোটের লাশ! লাশ দেখিয়ে ভোটে ভিক্ষা! ছিঃ! এরা ওই ডাক্তারটার থেকেও অধম, যে রাস্তার ছেলেদের ধরে এনে খুন করে লাশ বিক্রি করত| তার বাড়ির পেছন থেকে একশটি ছেলের করোটি পাওয়া গেছে| এখনো কেস চলছে...

৩১-এ ডিসেম্বর-এর সভার পর আতঙ্কিত তৃণমূলি-মাওবাদী জল্লাদরা এলাকার মানুষের আশঙ্কাকেই সত্য প্রমান করেছে নেতাই গ্রামে| সাত সাত জন'কে খুন করে বাজারি প্রচারমাধ্যম আর নানান দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত কেন্দ্রের আনুকূল্যে ওরা মাটি খুঁজছে| কিন্তু ওরা ভুলে যাচ্ছে, যে মাটিতে ছবি মাহাতো-কে ধর্ষণ করে জ্যান্ত পুঁতে ফেলা হয়েছে, সেই মাটি আজ জেগে উঠছে|

আমি সদ্য ওই মাটির স্পর্শ পেয়ে এসেছি| দেখে এসেছি মানুষের মেজাজ...! সাবধান মমতা,সাবধান| বাইরে থেকে ভাড়া করে লোক নিয়ে গিয়ে আর, কবীর সুমন-এর তথ্যে সত্য বলে প্রমানিত, জার্মান, ব্রিটিশ আর মার্কিনি টাকার গরমে কিছু তথাকথিত পেশাদার খুনি-আমলা এবং কলমবাজ গুন্ডাকে খরিদ করে এই মেজাজকে অস্বীকার করতে যাবেন না| সর্বনাশ করবেন নিজের| লেডী ম্যাকবেথ-এর মতো তখন সাত গঙ্গার জলে হাত ধুয়েও রক্তর দাগ ওঠাতে পারবেন না| ছবি মাহাতোদের লাশগুলো তখন মিছিল করে কথা বলবে| পারবেন তো বাংলার মসনদ সামলাতে? ওই মানুষগুলো তো বলছেন, "বামফ্রন্ট জিতলেও আমাদের লড়তে হবে,হারলেও লড়তে হবে|" মনে রাখবেন, ভাড়াটে কলমবাজরা ভারাটেই| একদা 'বুদ্ধিজীবি',বর্তমানে 'মমতাময়'-কে দেখে বুঝলেন না? খেতাব আর টাকার জন্য ওরা সব পারে| মৃতজননীর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজতেই ব্যস্ত| নিজেদের মধ্যে আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করে (সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক!), সামনে তোষামোদি| সাবধান! বাংলার রাজনৈতিক সংস্কৃতিটাকে লোপাট কোরে পাপ্পু যাদবদের হাতে তুলে দিচ্ছেন আপনি|

দালালবৃত্তিতে অভ্যস্ত সংবাদ-মাধ্যম কি উত্তর দেবেঃ (১) ৬ তারিখে নেতাই গ্রামে কে বা কারা ধানের গাদা জ্বালিয়েছিল? সশস্ত্র সেই বাহিনী কি কাঁথি থেকে রপ্তানি করা বাপ-ব্যাটার সুপারি কিলার-রা নয়? ওরা ভেবেছিল, এত কষ্টে খরা মোকাবিলা করে যত্সামান্য গাদা করা ধান জ্বলছে দেখে ঘরে ফেরা মানুষজন বেরিয়ে আসবে আর জল্লাদগুলো ওদের বুকে বুলেট বিঁধে দেবে! (এক দল সাংবাদিক-ও সেখানে উপস্থিত 'এক্সক্লুসিভ' মারার জন্য) মানুষগুলো দাঁতেদাঁত চেপে সেই তান্ডব দেখেছেন, সহ্য করেছেন| ফাঁদে পা দেন নি| (২) ফাঁদ ব্যর্থ হবার পর সাত সকালে বন্দুকের ডগাতে নন্দীগ্রাম স্টাইল-এ ক'একজন মহিলা-কে সামনে রেখে পেছনে এ.কে. ৪৭ আর .৩৫৪ রাইফেল-ধারী ওরা করা ছিল, যারা ঘরে ফেরা মানুষগুলোর ঘর জ্বালাতে মিছিল করেছিলো? (৩) নির্দোষ মিছিল হলে ওদের সাথে কেরোসিন, পেট্রলের টিন আর সাত সকালে জ্বলন্ত মশাল ছিল কেন? (৪) সদ্য ঘরে ফেরা মানুষগুলো নিজেদের পুড়তে দিতে রাজি হয়নি—এই ছিল তাদের অপরাধ? প্রতিরোধের মুখে পড়ে গুলি চালিয়েছিল কারা?মরলেন কারা? পাঁচজন সংগঠক—যারা ৩১-এর জমায়েতে এলাকার মানুষজন-কে নিয়ে গেছিলেন; তাই নয় কি?

ছিঃ! সাংবাদিকদের লজ্জা| সত্যেন মজুমদারের ভাষায়, "জননীর গর্ভের লজ্জা"| সরোজ'দার ভাষায় ঘুরিয়ে বললে বলতে হয়ঃ ব্রিটিশ-জার্মান-মার্কিন কর্পোরেটের ঔরসে বাংলার সামাজিক কর্তৃত্ব হারানো জোতদার-জমিদার-গ্রামিন ওয়ারলর্ড (অধিকারীদের মত)-দের গর্ভজাত একদল কলমবাজ গুন্ডা, হিটলারি কুত্তার দল|

লাশ চুরি করতে নেমেছে এরা| শ্মশানের লুম্পেন চন্ডালদের মত মরা বিক্রি করে আখের গোছাতে ব্যস্ত| সাবধান বাংলা| হিম্মত হারিওনা ভাই সব| যতদিন না ওদের উত্সটাকে কবরে পাঠাতে পারছ, ততদিন এই উত্পাত তোমাদের সহ্য করতে হবে| দেখছ না, সুন্দর বনের সংরক্ষিত বনাঞ্চল থেকেও মাঝে মধ্যে নরখাদক লোকালয়ে ঢুকে পরে? আমেরিকা-ব্রিটেন-জার্মানি এবং চিদাম্বরমের সংরক্ষিত এই সব নরখাদকরা মাঝে মধ্যে হামলা করবে|আগুন জ্বালিয়ে, কানাস্তারা পিটিয়ে এদের জঙ্গলেই পাঠাও| এই বর্বর জল্লাদ নরখাদকদের লোকলয়ে রাখার মানেই মৃত্যু| গড়ে তোল প্রতিরোধ। মানুষ জানেন, এই মৃত্যুর দায় ওই চাঁড়ালদেরই| শ্মশানের পাশেই ওদের ঘর|
 

অব্যক্ত ~ সোম সরকার

দীর্ঘশ্বাস আজ
অনেক গভীর থেকে আসা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
ইতিহাস ফিরে দেখা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
রক্তে শরীর মাখা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
মৃত্যুর সাথে জীবনের খেলা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
মরণের ছক কষা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
স্বাধীন স্বপ্ন দেখা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
ভালবাসার লাল পতাকা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
ছেলের রাজনীতিতে নামা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
শত্রুতা জয় করা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
মাতৃক্রোড় উজাড় হওয়া
দীর্ঘশ্বাসে আজ
মা কপালে তোর শেষ চুমুটা আঁকা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
সন্ত্রাসে সাম্রাজ্য ঘেরা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
ক্ষমতা রক্তে লেখা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
বেদনার রাত নামা
দীর্ঘশ্বাসে আজ
লজ্জা?রাজনীতির অর্থ-টা?

শনিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০১১

লালগড়ে খুন, কার লাভ? ~ তৃনমাও কংগ্রেস বলছি

মাও কারা? জঙ্গল মহলে এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া কঠিন। সালকু সোরেন থেকে শুরু করে কয়েক শত সিপিএম কর্মীকে যারা খুন করেছিল তারা মাওবাদী। মেয়েদের কে সামনে রেখে বিকাশের ভাই ছত্রধন যখন সিপিএম এর পার্টি অফিস পোড়ায় তারা জনসাধারনের কমিটি। ভোটের সময় তারা সিপিএমকে হারানোর লড়াই করে তারা তৃণমুল কংগ্রেস। এ কারনেই বলা খুব কঠিন ছ্ত্রধর কি? মাওবাদী, জনসাধারনের কমিটির নেতা, নাকি তৃণমুল।

যৌথ বাহিনীর লড়াই এ যখন জঙ্গলমহলে মাও ও জনসাধারনের কমিটি পিছু হটেছে তখন মাওরা নতুন রুপে নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিল। দেখলো সবথেকে নিরাপদ হোল তৃণমুলের রুপ ধারন করা। এবং লালগড়ে যখন সিপিএম এর বিরাট সমাবেশ হল তাদের কাছে জনসমর্থন প্রায় নেই বলেই প্রমানিত হলো। এখন একটাই উপায় ছিল খুন সন্ত্রাস।কিন্তু মাও রুপে যখন তা করা যাবেনা তখন তৃণমুল রুপেই করা যাবে, আর সিপিএম কে খুন করে রাজনৈতিক মাইলেজ যতটা পাওয়া যাবে এই মূহুর্তে তৃণমুল খুন করে সিপিএম এর উপর দোষ চাপালে তার থেকে বেশী পাওয়া যাবে তা দুগ্ধপোষ্য শিশুও জানে। কেননা তারা যখন শয়ে শয়ে সিপিএম কে খুন করে তখন তার জায়গা হয় খবরের কাগজের ভিতরের পাতায় এক কোনে কিন্তু তৃণমুলের লোক খুন হলে তার জায়গা হবে প্রথম পাতায় বড় করে, আর তার ফলে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের চাপ মাওদের দিক থেকে ঘুরিয়ে দিতে হবে সিপিএম এর দিকে। বিশেষ করে হার্মাদ নামে কল্পিত ব্যক্তিদের বাস্তব চেহারা দিতে এত গুলো সাধারন মানুষকে খুন করা খুব দরকার ছিল।
তবে খবরের কাগজকে কেউ বিশ্বাস করেনা সেটা তাদের জানা উচিত।

জ্ঞানেশ্বরী কান্ডে সিপিএমকে দোষ দেওয়া হয় পরে প্রমানিত হয় পিছনে তৃণমুলের স্নেহধন্য জনসাধারনের কমিটি।

শেষ খবর যতটুকু পাওয়া গেল:

PCPA এর ৬টা লাস মমতা নিয়ে লালগড় ছাড়ায় চটেছে পি.সি.পি.এ. কিন্তু p.c.p.a.র বিপদের সময় কারা পাশে দাড়িয়ে ছিল পিসিপিএর. মমতাই তখন তাদের পাশে যান, তারা মাওবাদী হলেও তাদের পাশে মমতা গিয়েছিলেন এখন তাদের ৬টা মৃতদেহ মমতা কাজে লাগালে তাদের আপত্তি থাকবে কেন। মমতার কাছে তাদের ঋনী থাকা উচিত। তাছাড়া লাস গুলো নিয়ে পি.সি.পি.এ করবেটাই করবে টাই কি। ভোটে তাদের তেমন কোন ভূমিকা নেই. তাছাড়া মিডিয়াতে সেভাবে লাসগুলো বিক্রি করতেও পারতো না তারা। বা যৌথবাহিনীর সামনে রাস্তায় শো করাতেও পারতো না তারা। আর তারা যেন না ভোলে মমতা শক্তিশালী হলেই যৌথবাহিনী ফেরানো সম্ভব, আর তখন ওই অঞ্চলকে পুনরায় মাওবাদীদের মুক্তাঞ্চল বানানো সম্ভব। সেই বৃহৎ লাভের দিকেই পি.সি.পি.এ র লক্ষ্য রাখা উচিত।

শেষ খবর যতটুকু পাওয়া গেল তা থেকে জানা যাচ্ছে লালগড় কান্ডে নয় মোড়। জনসাধারনের কমিটির সম্পাদক টিভিতে জানালেন যে গতকাল লালগড়ে মাওবাদী তৃণমুলের অত্যাচারে ঘরছাড়া দের ক্যাম্প ঘিরে ফেলা হয় জনসাধারনের কমিটির নেতৃত্বে। তাদের মতে মৃত ও আহতরা সকলেই জনসাধারনের কমিটির সমর্থক। তাদের নেতৃত্বেই ক্যম্প আক্রমন হয়। লড়াইএর মুখে মৃত্যু হয় কমিটির সমর্থকদের। এখন জনসাধারনের কমিটি ও তৃণমুল বাস্ববে অভিন্ন হওয়াতেই দ্রুত মৃতদেহ নিয়ে লালগড় ছাড়েন মমতা। এবং সেই মৃতদেহ আর লালগডে আনেননি। বরং ওই মৃতদের দেখিয়ে গোটা মেদনীপুরে ভোটের প্রচারে কাজে লাগাতে উদ্গীব হয়ে ওঠেন তিনি। মমতা মৃতদেহ গুলি নিয়ে পালানোয় বিক্রমের মতোই জনসাধারনের কমিটি বিরক্ত।

কারন মমতা যৌথ বাহিনী প্রত্যাহারের দাবী তে মন্ত্রী সভার লোভ ছাড়তে রাজী নয়, অথচ জনসাধারনের কমিটির সদস্যদের মৃতদেহ নিয়ে ভোটের বাজারে ফেরী করছেন বশংবদ কাগজ ও চ্যানেল দিয়ে। ভোটে জিতলে মমতা জনসাধারনের কমিটি বা মাওবাদীদের পাশে কতটা থাকবেন তানিয়ে সন্দিহান বিক্রমের মতোই জনসাধারনের কমিটি।

শনিবার, ১ জানুয়ারী, ২০১১

বর্ষ বরণ ~ অনামিকা

আজকে নতুন বছর এসেছে,আজই,

আমরা নতুন স্বপ্ন দেখতে রাজি।


গত বছরের স্বপ্নরা গেছে ভেসে,

বাঁচার গল্পে মিশে গেছে সন্দেহ ।

উস্কানি দেওয়া খুনিদের নির্দেশে,

চেনা মুখগুলি হয়ে গেল মৃতদেহ।


মিছে অক্ষরে,শব্দ সাজালো কবি।

গুজব লেখাল মালিকের দেওয়া পেন !

গিটার শোভিত সৌখিন বিপ্লবী,

ধর্মতলায় বিদ্রোহ শেখালেন।


লাশ খুঁজছিল,উৎসুক মৃতভোজী,

ঝলসালো তাই,বোমা গুলি বন্দুক।

আমি আর ভাই,চিতার আগুনে রোজই,

সনাক্ত করি,নিজেদের মরা মুখ।


আগুন খেলছে,নৈরাজ্যের খেলা।

স্কুলে কলেজেও,চেনা কৌশলি ছক!

দেরি হয়ে যাবে,না রুখলে এই বেলা। 

এক্ষুনি তাই,প্রতিরোধ শুরু হোক!



আজকে নতুন বছর এসেছে,আজই,

আমরা আবারও স্বপ্ন দেখতে রাজি !