সোমবার, ২৭ জুলাই, ২০০৯

এক সৌভাগ্যবান মোসাহেব কাহিনী ~ জ্যোতির্ময়



কলকাতা তে কিছু নতুন স্তাবক কুল দেখা গেছে।
কলকাতার ইতিহাসে বাবুদের সঙ্গে মোসাহেব থাকতো আমরা পড়েছি
তারা বাবুদের তোশামদ করে জীবন কাটাতো, বাবুর ছড়ানো উচ্ছিষ্ট খেয়ে।
কিন্তু বিবি'র মোসাহেব এর কথা কলকাতা তে নতুন।
ইনিয়ে বিনিয়ে কথা বলে অন্য কে দলদাস বলে তারা বিবি কে প্রসন্ন করেছেন।
আর তাই বিবি এখন ক্ষমতায় এসে তাদের উচ্ছিষ্ট বন্টন করছেন,

আসুন দেখি সেই সব বিবির উচ্ছিষ্ট খাওয়া মোসাহেবদের কাহিনী



ভাবছেন তো , বিবি তার তোশামদকারী কে উচ্ছিষ্ট ছড়ালো তো
তোমাদের কি

জণগণের পয়সা তো , ওর মধ্যে আমাদের সবার ট্যাক্সো আছে যে
আর তার চেয়ে বড় কথা কাদের ভাতে মেরে স্তাবক গুলো কে মাখন
সেটাও দেখুন, হ্যাঁ সব কাগজ সব খবর ছাপে না

কেউ মোসাহাবের খবর ছাপে আর কেউ ছাপে ঠিকা শ্রমিকের
কারুর কারুর গণশক্তি নামে আবার লঙ্কাবাটা জ্বলে, তাও বলছি পড়ে দেখুন

কারা কাজ করে পয়সা পায়না ,
আর কারা তোষামদ করে মাখন খাবে

সোমবার, ২০ জুলাই, ২০০৯

শ্রদ্ধেয় বিমানবাবু ~ সিদ্ধার্থ রায়

"তাঁর (মেধা পাটকর) টিকি নেই চুল আছে, তা সেটা কোথায় বাঁধা সেটা আমাদের জানা আছে"
বিমান বসু, ১৪ মার্চ নন্দিগ্রামের ঘটনার পর এক TV ইন্টারভিউতে


শ্রদ্ধেয় বিমানবাবু,

কাল সন্ধ্যায় আবারও আপনাকে TV-র পর্দায় দেখলাম প্রাইমটাইম-এ আপনার কমেন্ট্‌স দিচ্ছেন মঙ্গলকোটের 'অমঙ্গল' কান্ড নিয়ে। আপনি আপনার চিরাচরিত বিচক্ষন শব্দচয়নের মাধ্যমে জানালেন আপনার তীব্র নিন্দা, উক্ত ঘটনার প্রতি। কংগ্রেসি বিধায়ক এবং দলনেতাদের প্রতি আপনার ব্যক্ত উদ্বেগ খুবই সমিচিন এবং সদর্থক। এখানেই না থেমে আপনি কড়া ধমক দিয়েছেন আপনার নিজের পার্টীকর্মিদের এবং অতি দ্রূতভাবে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যবস্থাও করেছেন। মার্ক্সবাদী কম্যুনিস্ট পার্টীর রাজ্য সম্পাদকের পদে আপনার এই ক বছরে উপরুক্ত নিন্দা প্রকাশের কাজে আপনি অতুলনিয় পারদর্শিতা দেখিয়েছেন। বিভিন্ন জায়গায় ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার পরে আপনার পরিস্থিতির প্রতি কড়া নজর রাখার আশ্বাসও বাংলার মানুষের কাছে অপরিচিত নয়। তবে যেটা অভূতপূর্ব এবং অপরিচিত সেটা হল দ্রুত এবং দৃঢ পদক্ষেপ নেওয়া। বিগত কয়েক বছরে হিংসাচারের ঘটনা বিরল নয় এটা অনস্বীকার্য তবে এ হেন ক্ষেত্রে, অর্থাৎ যার পরে আপনি এত শীঘ্র এত দৃঢ় পদক্ষেপ নিলেন, তাতে এই ঘটনা নিশ্চয় বিরল!


মানসবাবু তথা বাকি "আক্রান্ত" কংগ্রেসি দলের নেতারা নিশ্চয়ই খুব ভাগ্যবান যে তাঁরা এক বিরল পুরষ্কারের পাত্র হলেন এই মঙ্গলকোটের ঘটনায়। পুরষ্কারটি হল আপনার দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপ যা কয়েকশ হতভাগা মার্ক্সবাদি কর্মিদের নাগালের বাইরে। যদিও বা তাঁরা সিঙ্গুর নন্দিগ্রাম লালগড় তথা বাকি জায়গায় আপনার এবং বাকি নেতৃবৃন্দের দেওয়া ডাককেই রুপায়িত করতে গিয়েই প্রান হারাচ্ছেন, তাও তাঁরা এত সৌভাগ্যের অধিকারি নয়। দলিয় মুখপাত্রের এক লাইন হওয়ার সৌভাগ্য তাদের হলেও তাঁরা বা তাদের আত্মিয় পরিজনেরা আপনার দ্রুত এবং দৃঢ় পদক্ষেপের প্রার্থি নয়। বোধ হয় পার্টী নেতৃত্ত্বে আর বিশ্বাস না থাকায় মাঠেঘাটের পার্টীকর্মিরা নিজেরাই পদক্ষেপ নিচ্ছেন। তবে আপানার কড়া বক্তব্যে এটা পরিষ্কার যে পার্টী এবং তার কর্মিদের আপনি অকাতরভাবে আরও সংশোধনের দিকে নিয়ে জেতে ইচ্ছুক। মনে পড়ে ছেলেবেলায় মামার বাড়িতে রক্ষেকালি পুজোর সময়ে বলি হওয়ার আগে মন্দিরের অনতিদুরে বাঁধা পাঁঠকে দেখে কাঁদছিলাম বলে আমার এক মামা আমায় বলেছিলেন "ওরে বোকা ও তো এক বড় কাজের জন্য মরছে আর তাতে তুই কাঁদছিস্‌? ছিঃ ছিঃ কি বোকা রে তুই!" বুঝতে পারছি আজও সেই বোকাটা রয়ে গেলুম।

ইতি

এক জনৈক হতভাগা

রবিবার, ১৯ জুলাই, ২০০৯

খোলা চিঠি ~ জ্যোতির্ময়

মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
পশ্চিমবঙ্গ সরকার,
না এই চিঠি টা কমরেড বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য কে নয় , এটা মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বুদ্ধদেব বাবু কে । আর কতজন সি পি আই এম কর্মী মারা গেলে তবে আপনার পুলিশ একজন খুনী কে ধরতে পারবে স্যার। শুধুমাত্র সি পি আই এম করার অপরাধে যারা খুন হচ্ছেন তাদের ও জীবন রক্ষা করার শপথ নিয়ে আপনি কিন্তু রাইট্রাস ব্লিডিং এ বসেছিলেন। না সেই শপথ মনে করাতে চাই না শুধু জানতে চাই ওদের দোষ কি ? ওরা তো যুদ্ধে শহীদ নয় , শুধু লোকসভা ভোটে পাঁচ লাখ মানুষ বিরোধীদের বেশি পচ্ছন্দ করায় কি ওঁদের মৃত্যুর মুখ দেখতে হবে ? কি অদ্ভুত দেখুন সি পি আই এম এর সদস্য আর কর্মীরা সবাই হার্মাদ আর বিরোধী দলের মানুষরা সবাই দেবদূত! কিন্তু হার্মাদ হলেই কি মেরে ফেলতে হবে ? আমি জানিনা ভারতবর্ষের আইন তাই বলে কিনা ? তা বোধহয় নয়, তবে খুনীদের ধরা হচ্ছে না কেন ? শুনলাম আপনি বিধানসভায় বলেছেন খুনীদের নিয়ে নাকি মিটিং করছেন বিরোধী দলের নেতারা, তা খুনী কে যারা আশ্রয় দেয় তাদের জন্যও তো আইন আছে ? নাকি ভোটে জিতলে আইন প্রয়োগ করা যায় না ? এরকম কোন আইন নতুন হয়েছে বলে তো শুনি নি। আচ্ছা মার খেতে খেতে কুকুর বেড়ালরাও তো পালটা কামড়াতে যায়, আর মানুষ যদি নিজেকে বাঁচাতে অস্ত্র ধরে তাহলে কি খুব ভুল হবে স্যার ? তাতে যদি আবার হার্মাদ উপাধি পায় পাক না, কারুর যদি হাড় হিম হয় হোক না, কেউ যদি আবার মোমবাতি নিয়ে রাস্তায় বসে পড়ে পড়ুক না, হোক না তারা আপনার এক সময়ের কাছের মানুষ, নাই বা তাদের খুঁজলেন নন্দনের ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। ওরা তো আপনার শ্রেনী মিত্র নয়, জানিনা আপনি মন্ত্রী হয়ে নিজের শ্রেনী মিত্রদের ভুলে গেছেন কিনা ?শ্রমিকের ধর্মঘটে আপনার তো আপত্তি, আপনি তো গণতন্ত্রের নান রঙে বিশ্বাস করেন। আমরা পারিনা স্যার, আজও শ্রেনী সংগ্রাম শব্দটাকে আকঁড়ে ধরে আছি, ওটা ছাড়া এক পা এগোতে রাজি নই, আনন্দবাজার যতই আমাদের ডাইনোসরাস বলুক। আমরা আনন্দবাজারের প্রশংসা ভালবাসি না। আনন্দবাজার প্রশংসা করলে বুঝতে হবে ভুল পথে যাছি, আর সমালোচনা শুনলে মনে করি ঠিক পথে আছি। কথাটা কিন্তু আমার নয়, আপনার আমার সবার প্রিয় শ্রদ্ধেও এক নেতার। কে জানে ভুলে গেছেন কিনা ?


ফাল্গুনীর হত্যাকারীরা এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে খোলা হাওয়ায়, শিশু সুমনার পোড়া লাশ এখনও দেখতে পাচ্ছি চোখের সামনে। তাই মঙ্গলকোটের মা বোনেরা যখন শয়তান গুলোকে তাড়া করল, খোলা রিভালবার উচিয়ে ওরা ভয় দেখাতে গিয়েছিল শয়তানরা, তাও ভয় পায়নি ওঁরা , আপনার পুলিশ যা পারে না তাই করে দেখাতে গিয়েছিল ওরা। সত্যি বলছি স্যার রাইট্রাসে বসে আপনি যতই রাগ করুন সেদিন অনেক দিন বাদে হাসতে ইচ্ছে করছিল, আর জোর গলায় বলতে ইচ্ছে মঙ্গলকোট লাল সেলাম, ঠিক যেরকম আপনারা বলতেন তোমার নাম আমার নাম ভিয়েতনাম ভিয়েতনাম। কিন্তু তারপর দু দিন কি দেখালেন স্যার, কতগুলো শয়তান, খুনীর শাকরেদ তাড়া খাওয়ায় ঢিল খাওয়ায় বাংলা জুড়ে বলে কয়ে বাস জ্বালালো ওরা, আজকাল কাগজে দেখলাম, কাধে ভ্যানিটি ব্যাগ নিয়ে এক সুবেশি! তরুণী বাস ভাঙচ্ছে, আর পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে। আপনার পুলিশ কি তাড়া করতেও ভুলে গেছে ?
ব্যাস আর কি বীরের দল অম্লান বদনে ১৪ টা বাস ভাঙচুর করল, আর তারপর দিন , সকাল থেক একটিও সরকারী যানবাহন চলল না, মন্ত্রীর আদেশে ! বনধ ডেকে ছিল কিন্তু বিরোধীরা। আপনারা মঙ্গলকোটের ঘটনা তে খুব দুঃখ পেয়েছেন শুনলাম, হোক না খুনীর মদতদাতা আপনাদের বিধানসভার সদস্য বলে কথা। আচ্ছা হিজলগঞ্জে যখন বিধায়ক কে গুন্ডারা আনন্দবাজারের সঙ্গে সাড় করে কাদা মাখালো, আপনার সভা ভুন্ডুল করতে ছদ্ম বাণভাসি সাজলো, আপনার রাগ হয়েছিল কি ? কোন ব্যবস্থা হয়েছিল কি ? হয় নি তো, নাকি বিরোধী করলে সব মাপ। এত ভয় ৩৫৬ ধারার, এত ভয় সরকার চলে যাওয়ার ? কি হবে এই ভাবে সরকারে থেকে যে সরকার নিজের শ্রেনীমিত্রদের জীবন রক্ষা করতে পারে না ?


রাস্তা দেখাচ্ছে মঙ্গলকোট, মরার আগে পালটা মেরে বাঁচার রাস্তা, প্রশাসনের যা করার ছিল ওঁরা করে দেখিয়েছে এবার আপনার দেখানোর পালা, পারবেন তো স্যার
------ইতি




শনিবার, ১৮ জুলাই, ২০০৯

হত্যাকারিকে বাঁচিয়ে রাখার অর্থই মৃত্যু ~ আজিজুল হক

মানস ভুঁইয়া মার খেয়েছে। মানস বিশেষ বন্ধু। বারো ভুঁইয়াদের এক ভুঁইয়া- সামন্ত পরিবারের ছেলে। খারাপ লাগছে।

আরো খারাপ লাগছে এই ভেবে, ফাল্গুনির মত একজন তরতাজা মানুষকে খুন করলো, তখন তো মানস গেল না? কেন? যখন ২৮ জন কৃষককে উচ্ছেদ করা হ’ল, মানস গেল না কেন? যখন খেজুরিতে ছ’জন মন্ত্রী কে পিটিয়ে ফেরত পাঠান হ’ল, মানসের কন্ঠস্বর রুদ্ধ করেছিল কে? ফাল্গুনির খুনের আসামিদের নিয়ে এলাকায় গেলেন কোন উদ্দেশ্যে ?

স্পষ্টতঃই প্ররোচনা। খেজুরিতে যদি মন্ত্রীদের অবরোধ করাটা গণ বিক্ষোভ হয়। এটা হবেনা কেন? সি পি আই (এম) সরকারে থাকার মূল্য দিচ্ছে। খুঁটিতে বাঁধা গরুর মত- দড়ির দৌড় যতদুর, ততদূর যেতে পারে। মানুষ সতঃস্ফুর্তভাবে প্রতিরোধে নেমেছে। ১৯৭২ এর পুনরাবর্তন রোধে মঙ্গলকোট বিন্দু ভাঙ্গা। আমি চাই সব বামপন্থী দলের কর্মীরা মঙ্গলকোট- এর আগুন সর্বত্র ছড়িয়ে দিন। ১৯৭২ এর পুনরাবর্তন রোধ করতেই হবে। প্রশ্নটা রাজনৈতিক দলের নয়। প্রশ্নটা হ’ল শ্রেণির। গ্রাম বাংলাতে সামাজিক কর্তৃত্ব হারানো সামন্ত শয়তানগুলো আবার রাজনৈতিক কর্তৃত্বের মাধ্যমে জমিদারি কায়েম করতে নেমেছে।

মেদিনিপুরের অধিকারিরা তাদের বেনামী খাস জমিগুলো উদ্ধারে নেমেছে। বর্গাদারদের সি পি আই (এম) বলে জমি এবং বাস্তু থেকে উচ্ছেদ করছে।

প্রতিক্রিয়ার অভ্যুত্থান ঘটছে। মেদিনিপুর, দঃ ২৪পরগনা প্রমান করলো উচ্ছেদ না করলে নিজেদের উচ্ছেদ হ’তে হয়। হত্যাকারিকে বাঁচিয়ে রাখার অর্থই
মৃত্যু

শুক্রবার, ১৭ জুলাই, ২০০৯

মঙ্গলকোট, মানুষ এবং কতগুলো শূয়ারের বাচ্চা ~ রুদ্র

যা হয়েছে, বেশ হয়েছে। খুব ভালো হয়েছে। আগে কেন হলোনা সেই প্রশ্ন টা রাখবো দু পক্ষের কাছে। এক -আমাদের মাননীয় সিপিআই(এম) নেতৃবৃন্দের কাছে। কেননা এই রাজ্যে সরকার এবং পার্টি দুটোই তাঁরা চালান। আর দুই, এই যে আপনি আমার এই অপগন্ড মার্কা খিস্তি-খেউড় পড়ছেন, সেই আপনার কাছে। মাফ করবেন, আমি আর ওই সাদা ধবধবে ধুতি পাঞ্জাবী পরা নেতাদের মত সুশীল হতে পারছি না। সকাল বেলা খবরের কাগজে, জলখাবার খেতে খেতে কতগুলো রক্তাক্ত লাশের ছবি দেখতে পারছিনা আমি। পারছিনা কমরেড কথাটার অপমান সহ্য করতে। মুখে বলছেন শালবনিতে গতকাল খুন হয়েছেন তিন জন কমরেড, আর কাজের বেলা? কি করেছেন আপনি? জবাব দিন। মুখ ঘুরিয়ে লুকোবেন কোথায়? সোজা তাকিয়ে দেখুন, ওই মঙ্গলকোট পথ দেখিয়েছে।

বলি অনেক তো হলো। গাদা গাদা থিয়োরি, উন্নয়নের মডেল, সংস্কৃতি সবই তো দেখলাম। এবারে একটু খান্ত দিন না এইসবে? মারছে মশাই মারছে। মেরে শেষ করছে মানুষকে। রোজ মারছে। আর মজা দেখুন, যারা মারছে, তারাই সন্ত্রাসের জীগির তুলেছে, আর সেই ইস্যুতে বাঙলা বন্ধ্‌ ডাকছে। আর আপনি কি করছেন? ১৪ জন পার্টি কর্মীকে পুড়িয়ে মারা হলো ধরমপুরে, কিন্তু যেহেতু সরকারি হিসেব বলছে লাশ সনাক্ত হয়েছে চার জনের, অতএব, বাকিরা নিখোঁজ, তাই গনশক্তিও সেই হিসেবই দিলো আপনাকে, আর আপনিও সেই কথাটি কোঁত করে গিলে ফেললেন। বলি ভেতরের মানুষটা কি মরে গেছে আপনার? চোখে কিছু দেখতে পাননা? আপনাকে ধরে চাবকানো উচিত সেটা জানেন? যদি সামান্য মনুষ্যত্ব এখনো থেকে থাকে, তো গড়ে তুলুন আপনার এলাকায় আপনার নিজস্ব মঙ্গলকোট। দেখি কত দম আছে আপনার। করান দৌড় ওই ওদের ওই ভাবে ধুতি তুলে। পালাক ওই ভাবে। পালাক বাংলা ছেড়ে। দয়া করে আর সুশীল হতে চেয়ে বসে থাকবেন না। একটু গা তুলুন কমরেড।

পার্টির মাথারা মঙ্গলকোটের নিন্দে করেছেন? তাতে কি এলো গেলো? আজ শালবনি লালগড়, কাল ওরা আসবে আপনার বাড়ি। তখন আপনার শীর্ষ নেতারা আপনাকে বাঁচাবেন তো? তাহলে তাঁদের কথাই শুনুন। শুধু ভেবে দেখুন, আপনার টিকি টা বাঁধা কার কাছে, বুদ্ধ বিমান? নাকি মানুষের কাছে? আজ যদি মনে হয় নেতারা ভুল করছেন তাহলে চুপ করে মেনে নেবেন? ধরিয়ে দেবেন না? কিসের দায় আপনার? সরকারের প্রতি? একটা বুর্জোয়া রাষ্ট্রকাঠামোর মধ্যে থাকা অঙ্গরাজ্যের সরকার, সে নিজেও তো সেই চরিত্রেরই হলো, তাকে বাঁচাবার এত কিসের দায় আপনার? যাক না চুলোর দুয়োরে। শালা মরতে হলে গান্ধিবাদী হয়ে মরব নাকি? ওসব ছাড়ুন মশাই। মানুষের দাবী না মানলে নেতারা সরুন। মানুষ নিজেই নেতা তৈরি করে নেবেন। নয়ত ওই ছাতার তলা থেকে বেরিয়ে এসে রোদের আঁচ সয়ে নতুন বাড়ি তৈরি করতে হবে। হ্যাঁ হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন। যা বুঝেছেন, সেটাই বোঝাতে চাইছি।

প্রতিরোধ করুন, প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। মঙ্গলকোট একটা গ্রামের নাম। সেখানে ছিলো কতগুলো মানুষ আর কতগুলো শুয়ারের বাচ্চা। আপনি কাকে কি ভাবেন, তার ওপরে নির্ভর করছে আপনি কোন দিকে যাবেন। বাকি জানেন আপনি। আপনি ভাবুন, আমি চললাম বন্ধ ভাঙতে।

মঙ্গলকোট লাল সেলাম

বুধবার, ৮ জুলাই, ২০০৯

তোমারই জন্য ~ অনামিকা মিত্র

তোমারই জন্য সব সহ্য করি নর্দমাসদৃশ
রাজপথে পা ডোবাই পানপাত্রে বিষও
অকাতরে পান করি ভাবি সেটা অমৃতসমান
তুমি নীতিবাক্য দাও মেপে মেপে বিঘতপ্রমান,
তাতেই কৃতার্থ আমি লাথি মেরে ফেলো যদি ড্রেনে,
মহানন্দে নেচে উঠি তুমিতো আমারই সৃষ্টি জেনে,
একশ ভুল মেনে নিই মেনে নিই একলক্ষ চুরি
মেনে নিতে বাধ্য হই অপমান মেশানো চাতুরি!

নীতিবাক্য সরে গেলে আমি দাস তুমি ক্যাপিটাল!
যূথবদ্ধ ... অনায়াসে ডেকে নেবো বিমূঢ় সকাল
প্রেমের উলটো পিঠে ঘৃণা ছিল সে কথাও খাঁটি,
এতদিন যা পারিনি ... পার হবো লক্ষ্মনরেখাটি!
সর্বনাশ এতদিনে ছাড়িয়েছে প্রতিকার সীমা
এইবার ধ্বংস হবো, ভেঙ্গে ফেলবো সাধের প্রতিমা

নিজে ধ্বংস হতে হতে অনুভব করি গন্ধ কার?
তুমিও ধ্বংস হচ্ছ, একই সাথে ... প্রিয় অন্ধকার ...