শনিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

লিখিস যারা ~ প্রকল্প ভট্টাচার্য্য

লিখিস যারা, লিখতে থাকিস। মারিস যারা, মার।
সবাই নিজের জাত চেনালি, এটাই পরিষ্কার!
বলার কথা হবেই বলা, দিলেও ভেঙ্গে মুখ,
জানবে সবাই কোনটা উচিত, কোনটা অহেতুক।
আদালতের নেই প্রয়োজন করতে এ বিচার!!
মার খেতে ভয় পাই না তোদের, মরতেও প্রস্তুত,
ভয় তো তোদের নিজের মনে, ধরা পড়ার ভুত!
বুঝবি নিজেই, লড়াইতে আজ কার জিত কার হার!!
লিখিস যারা, লিখতে থাকিস। মারিস যারা, মার।

শুক্রবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

তোমারই কবর ~ শঙ্খ করভৌমিক

​পূবদিকে সূর্য ওঠে, এই বুঝি তোমার বিশ্বাস?
যারা বলে পশ্চিমে তারা এসে ফেলে দেবে লাশ।
নীল রঙ প্রিয় বুঝি? ততটা পছন্দ নয় লাল?
মেলা থেকে ফিরে তুমি মারা পড়তেই পারো কাল।
শিরোনাম হতে গেলে আজকাল লাগছে না সেরকম ব্যতিক্রমী গুণ।
গান্ধী বা কেনেডি না, তুমি বা আমিও পারি যখন তখন হতে খুন।
ভেবে যদি থাকো শুধু এইসব ঘটে থাকে খবর কাগজে-
অর্ধেক মরে আছ- এইবেলা শান দাও নিজের মগজে।
নিতান্ত অকারণে হয়ে যেতে পারো তুমি গরম খবর।
চুপ করে থাকা মানে নীরবে খুঁড়তে দেখা তোমারই কবর।

শনিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

২১শে ফেব্রুয়ারি ~ সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়


ফেব্রুয়ারির দিনটি থাকে যুদ্ধসাজে
সকাল সকাল যন্ত্রিরা সব বর্ম আঁটে
মাতৃভাষায় স্বপ্নরা খুব ছোঁয়াচ লাগায়
"ভায়ের রক্ত" ছড়িয়ে থাকে রাস্তাঘাটে

জেতার মতই যুদ্ধটি হয় বাংলা জুড়ে
মুহূর্মুহূ বর্নমালার জয়ধ্বনী
উথলে ওঠে মাতৃভাষায় ঘনিষ্ঠতা
সাইনবোর্ডেও বাংলা আখর বিজ্ঞাপনি

সন্ধ্যে নামলে রনক্লান্ত আঁধার ঘণ
বই-কেতাবে পরিশ্রান্ত বাংলা লেখা
শুকিয়ে যাওয়া জিভ ওদিকে গলাও ভাঙ্গা
"বাংলা অতীত" এইটা কেবল ভাবতে শেখা

মধ্যরাতে নদীর বুকে ভাসছে ডিঙ্গি
গাইছে কারা? ভাটিয়ালি? জারি, সারি?
কোন ভাষাতে? বাংলা কিনা, কি এসে যায়?
মনের ভাষা, এইটুকু তো বলতে পারি।


মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

বঙ্গীয় রাজনীতির অবস্থা ~ অমিতাভ প্রামাণিক

বেশি না, এই সপ্তাখানেক আগেই বোধহয় লিখেছিলাম, আমাদের বাংলা হচ্ছে ছোটলোকের জায়গা। উরিব্বাবা, তাতে জনগণের কী রাগ! হাতের সামনে পেলে আমায় কুচি কুচি করে কেটে কুকুর দিয়েই খাইয়ে দিতো।

এখন দেখো! ভোটের রেজাল্ট দেখো।

ছোটলোক বলেই এখানকার লোক লোভে পড়ে নিজের জমানো শেষ পয়সাটা তুলে দেয় অজানা ঠগের হাতে, ঠকে গিয়ে হা-হুতাশ করে, হ্যান করেঙ্গা ত্যান করেঙ্গা বলে গালাগালি দেয়, আবার সেই ঠগ পার্টিকেই ভোটে জেতায়।

বলেছিলাম কিনা?


রাজনীতির অবস্থা দেখুন।

"কুণাল চোর? টুম্পাই চোর? মদন চোর? মুকুল চোর? আমি চোর?"

চোরদের লিস্ট বেরিয়ে এলো 'ঠাকুরঘরে কে রে' টাইপ! একে একে ঢুকতেও লাগল সব যেখানে তাদের মানায় ভালো।
মুকুল এখন বোঁটা থেকে ঝুলছে। যে কোনো মুহূর্তে খসে পড়বে। টুম্পাই অলরেডি খসে গেছে।

হঠাৎ উপনির্বাচনে দল জিতে যেতে বিপক্ষদের ধ্বনি-প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে - আহা, এতদিন ধরে যে লোকটা দল গড়লো, আজ কিনা তাকেই সাইডলাইন করে দিচ্ছে! এ তো ঘোর অন্যায়।

অর্থাৎ সে যে কাঙালের ধন চুরি করেছে, সেটা তেমন অন্যায় নয়। ওসব ভুলে গেলেও চলবে। সে দল গড়ার নায়ক, তাকে সাইড করে দেওয়াটাই মেইন ফ্যাক্টর! জনগণ নাকি এই অন্যায়ের প্রতিশোধ নেবে।
নীতি-ফিতির কোনো সংজ্ঞাই এদের কাছে পরিষ্কার না। কোন দু:খে জনতা এদের ভোট দেবে?

কিন্তু কেসটা এই রকম।

লোকজন জানে, বোঝে যে তৃণমূলের ওপরতলার দাদা-দিদি মানেই জালিস্য জালি। এক এক করে জেলে ঢুকছে, মানুষ জানবে না, বুঝবে না, এতই কি হাঁদা? কিন্তু উপায় কী? ভোট যে দেবে, কাকে দেবে?

বাম-কে? তার মানে তো ভোটটা জলে ফেলে দেওয়া। কেননা, গুন্ডা-ফুন্ডা বেরিয়ে গিয়ে বামে যারা পড়ে আছে, তাদের ইমেজ অনেক ক্লীন হলেও, নেতা কই? এদের জিতিয়ে লাভ কী? অতীতের অভিজ্ঞতা তো জানাই। রুখেছি, রুখবো। আর থিওরেটিক্যাল দাদাগিরি। নিজে কিচ্ছু করবে না, অন্যকেও করতে দেবে না। কেউ দাঁড়িয়ে বলছে না - আমি হলে এটা না, এই রকম করতাম, তাতে এই রেজাল্ট হত। তাহলে?

বিজেপি-কে? সে আর এদের চেয়ে আলাদা কী? এও তো স্কীমার। যে দল ভেঙে বিজেপিতে ঢুকতে চায় পিঠ বাঁচাতে, সে অসৎ না, তার সার্টিফিকেট রেডি, তাকে জেল যেতে নাও হতে পারে। প্লাস, এ রাজ্যে এদের নেতা কে? ম্যাড়মেড়ে রাহুল সিনহা? ভাঁওতাবাজ বাবা রামছাগলের আশির্বাদধন্য বাবুল? এর থেকে ওর গলায় ঝুলে যাওয়া লকেট? ছো:।

যারা মনস্থির করতে পারেনি, তারা তৃণমূলকেই আবার ভোট দিয়েছে। যারা পেরেছে, তারা বাম-বিজেপির মধ্যে আলাদা কিছু পায়নি, তাই দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে ভোট ভাগ হয়েছে। ফল সবার সামনে।

ভাবছ, জনতা খুশি? নো ওয়ে। দে সিম্পলি ডোন্ট নো হোয়াট টু ডু। গো আস্ক দেম।

আমাদের এখনই প্রবলভাবে একটা অরবিন্দ কেজরিওয়াল চাই। একটা আম আদমি। যার কোনো ব্যাগেজ নেই। দুর্নীতি নেই। দাস ক্যাপিটাল নেই। পাশার চাল নেই। হিংসে নেই। লোভ নেই। শুধু বাঙালির গরিমা আছে, অভিমান আছে, তুষের আগুনের মত বুকের মধ্যে কোথাও এক চাপা অহঙ্কার আছে। নিজের কাছে প্রশ্ন আছে - রামমোহন বিদ্যাসাগর রবীন্দ্রনাথের জন্মভূমি এইভাবে বারোভূতে লুটেপুটে খাবে?

কোই হ্যায়? আছো কেউ?

বৃহস্পতিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

প্রমিস ডে ~ আশুতোষ ভট্টাচার্য্য

মালতিকে কি প্রমিস করেছিল তপনে
মাখোমাখো ভালোবাসা নলবনে গোপনে,
মনে আছে নাড়ুদাকে বলেছিল শিবানী
লালুভুলু ভালো ছেলে, কথা বলে কি ফানি;
বিকেলের মরা রোদে বলেছিল পামেলা
রেগুলার দেখাকরা ফালতু এ ঝামেলা;
মনে আছে প্রতিজ্ঞা করেছিল সাকিরা
বর হেটে যাবে আর গাড়ি চেপে বাকিরা;
কেঁদে কেটে একদিন বলেছিল শ্রাবণী
হ্যারিকেনে তেল নেই আগে কেন ভাবনি?
কি জানি কি বলেছিল গোবিন্দ, গোপালে
টিনাদিকে হানিমুনে নিয়ে যাবে নেপালে;
সকালের কৈশোরে বলেছিল হাসিনা
ঝালমুড়ি ভালবাসি, তোকে ভালবাসিনা;
প্রতিজ্ঞা করেছিল লালটু কি কারনে
বুলাদিকে নাকি নিয়ে যাবে মহাকরণে;
ভয়ানক প্রতিজ্ঞা করেছিল অশোকে
রাত্তিরে কিছুতেই ঘুমবেনা তোষকে;
ম্লান মুখে একদিন বলেছিল তাপসে
নেড়িটা তো রাত্তিরে শুয়ে থাকে পাপোশে;
প্রেমে বিতাড়িত হয়ে বলেছিল মনিশে
হৃদয়ের দাগা যদি উঠে যেত ভ্যানিশে;
একদিন বলেছিল অনাবিল জোছনা
স্টেডি প্রেম কেটে গেছে? বিচলিত হোস না;
প্রতিজ্ঞা করেছিল পিতামহ ভীষ্ম
ডন বৈঠক দিয়ো কিবা রোদ গ্রীষ্ম;
প্রতিজ্ঞা করেছিল অর্জুন ভীমেতে
স্বাস্থ্যর উদ্ধারে রোজ যাবে জিমেতে;
কেউ বলে শোনা কথা সহদেব নকুলে
রাধিকার সাথে নাকি লুডু খেলে গোকুলে;
আরো কত প্রতিজ্ঞা চারপাশে ছড়ানো
প্রমিসের আমি তুমি সাদা খাতা ভরানো।।

বুধবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

​ও মেয়ে… অবুঝ মেয়ে ~ অনামিকা মিত্র

সেমিনারে কখা ওড়ে, রাশি রাশি ধ্যান ওড়ে।
ও মেয়ে, অবুঝ মেয়ে, জন্মালি কেন রে?

হিসেব জানিস না কি? তোর কী কী প্রাপ্য?
তোর যা গল্প, সে'তো ভ্রুণেই সমাপ্য।

সমাপ্ত নয়? যদি কাহিনিটি গড়ালো…
কেউ হেসে বলবে না … হল এই ঘর আলো

কেউ ডেকে বলল না এলি যদি বাঁচ রে।
বরঞ্চ মেরে ফেলা হোক তোকে আছড়ে!

যদি বেঁচে যাস, নিস যৌবন চিহ্ন
লোভে আর অধিকারে তুই হবি ছিন্ন।

কান্নারা গড়াবেই… আজ থেকে কালকে
পার্ক স্ট্রিট… কামদুনি… কখনও বা শালকে'।

এ'টাই ভাগ্যলিপি, যা লিখেছে কোষ্ঠী।
ছোট্ট ঘটনা… নাকি দ্বন্দ্বের গোষ্ঠী।

মেনে নিতে না পারলে রাষ্ট্রের ভাষ্য…
জ্বলে ওঠ। ক্রোধ হোক ক্রমশ প্রকাশ্য।

মঙ্গলবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

'লজ্জা' ~ সুশোভন পাত্র

​'লজ্জা' ! আর এই 'লজ্জা' নিয়েই পড়েছি মহাফাঁপরে ! গত কয়েকদিন ধরেই দোকানে, হাটে-বাজার, রাস্তা-ঘাটে সর্বত্র হন্যে হয়ে খুঁজে বেড়াচ্ছি, যেকোনো মূল্য দিতেও প্রস্তুত, কিন্তু কোথাও দেখছি 'লজ্জা' কিনতেই পাওয়া যায় না। গাছেও ধরে না 'লজ্জা' ! মাটি খুঁড়েও পাওয়া যায় না 'লজ্জা' ! বিদেশ থেকে আমদানিও করা যায় না 'লজ্জা' ! সমস্যাটা গভীর।

ফ্লিপকার্ট, স্ন্যাপডিল, জাবং, মিন্ত্রা এরকম দস্তুর অনলাইন সাইটে শুনেছি নাকি কেঞ্জাকুড়ার গামছাও পাওয়া যায়, বিভিন্ন সময়েই বিশেষ ছাড়ের ব্যবস্থাও থাকে। কদিন আগে চিরুনি তল্লাসি করলাম। সার্চ অপশেনে গিয়ে গোটা গোটা অক্ষরে বাঙলায় লিখলাম "১০০ গ্রাম লজ্জা"। পাতি ইংলিশে জবাব এলো "No matching products available." বাধ্য হয়ে গেলাম একটা শপিং মলে। খুঁজে খুঁজে ওঁদের সেলএক্সিকুইটিভ কে জিজ্ঞেস করলাম "দাদা লজ্জা কত কেজি?" শুনে সে তো এক বারে রেগে খাপ্পা। জানেন কি বলল ? বলল "লজ্জা খুঁজে আপনি এখানে এসেছেন ?এক্ষুনি 'মল ত্যাগ' করুন না হলে পুলিশ ডাকবো কিন্তু।" মনের দুঃখে মল ত্যাগ করলাম, বেরিয়ে আসতেই চোখে পড়ল পান-বিড়ি-সিগারেটের দোকানে লেখা "ধার চাহিয়া লজ্জা দেবেন না ।" জয়গুরুর নাম করে সটান দোকানে ঢুকে বললাম "দাদা ধারে একটা গোল্ড ফ্লেক দিন তো। আর দয়া করে আপনি যে লজ্জাটা পাবেন ওটা আমাকে দিন। যা দাম চান দেবো।" শুনে ভদ্রলোক এমন ভাবে তাকালেন যেন গিলেই ফেলবেন। উফ! শেষে গেলাম এক বইয়ের দোকানে বললাম "দাদা লজ্জা আছে?" " বললেন "হ্যাঁ। আছে। ক-কপি চান ?" যেই আমি বললাম " মানে, কেজি দরে পাওয়া যায় না দাদা ?" দিলেন দোকান থেকে ঘাড় ধাক্কা ! ভাবুন একবার !

ছোটবেলার এক বিকেলে তবলার শেখানোর মাস্টারমশায় কে বসিয়ে রেখে, বাথরুম যাবার নাম করে পিছনের দরজা দিয়ে খেলতে চলে গিয়েছিলুম, ফিরে আসার পর মা বলেছিল "তুই এটা করতে পারলি ? এতটুকু লজ্জা লাগলো না তোর ? জীবনে তুই তবলা শিখতে পারবি না, দেখিস।" সেদিনই বুঝেছিলাম 'লজ্জা' হল লাগার 'বস্তু'। মায়ের ভবিষ্যৎ বানী পাই টু পাই মিলে আমার তবলার ভবিষ্যৎ অচিরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেও 'লজ্জা' আমি পেতে শিখেছিলাম। যখন জানলাম গাছের প্রাণ আছে প্রমান করা যায় লজ্জাবতী লতা ছুঁয়ে, বুঝলাম 'লজ্জা' প্রাণের একটি সুন্দর আবেগ। আবার যখন শুনলাম 'লজ্জা নারীর ভূষণ'। তখন ভাবলাম তাহলে পুরুষ মাত্রই বোধহয় 'বি-ভূতি-ভূষণ'। কিছুদিন আগে লোকে বলছিল "VC'র গণ্ডারের চামড়া ! লজ্জা নেই।" বুঝলাম গণ্ডারের বোধহয় 'লজ্জা' নেই তাহলে। মামাবাড়ি গেলেই দিদা বলত "খাওয়ার সময় লজ্জা করতে নেই "। বুঝলাম খেতে বসার আগেই 'লজ্জার' মাথা চিবিয়ে খেতে হয়। দিদার কথা এখনও শিরোধার্য। কিন্তু তসলিমা'র আবার বিখ্যাত 'লজ্জা' আছে। ভারতের ক্রিকেট টিমও বিদেশে মাটিতে সময় অসময়ে ভালোবেসে আমাদের অনেক 'লজ্জাই' দেয়, জার্মানি নাকি এ বারের বিশ্বকাপে ব্রাজিল কে শ্রেষ্ঠ 'লজ্জা' উপহার দিয়েছে , বলিউডে মাধুরী দীক্ষিতের 'লজ্জা' একসময় বক্সঅফিস কাপিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ তো কবেই লিখে গিয়েছেন "...প্রাণ চায় চক্ষু না চায়,/মরি একি তোর দুস্তর লজ্জা..." মোটকথা পৃথিবীতে ম্যাদামারা ভদ্দরলোক যেমন নিজের মতো করে লজ্জা পায়, বোদা গামবাট লোকেরও তাদের মতো করে লজ্জা পায়।

আসলে লজ্জার সাথে আত্মসম্মান, আত্মবিশ্বাস, বিবেক, বুদ্ধি, মর্যাদা, মান, হুশের, অঙ্কের ভাষায় একটা 'সমানুপাতিক' সম্পর্ক আছে। এসব থাকলে আপনি ভুল করলে, অন্যায় করলে, নিজের স্বার্থ লাভের জন্য অন্য কে বঞ্চিত করলে, প্ররোচিত করলে লজ্জা পাবেন। লজ্জিত হবেন। আর এসব এর সঙ্গে আপনার সম্পর্ক ব্যস্তানুপাতিক হলে, বিবেক, বুদ্ধি, মান মর্যাদা, বিক্রি করে নির্লজ্জ হয়ে, মুখে রং মেখে, সানগ্লাস পরে সং সেজে, রাস্তায় রাস্তায় 'পরিবর্তন চাই পরিবর্তন চাই' করে মাস দু -এক টানা কেত্তন আর ঢং করে সঠিক সময় কর্পূরের মত উবে যেতে পারলেই... তবেই, একমাত্র তবেই আপনি 'বুদ্ধিজীবী'।

ঠাকুর তো কবেই বলে গেছেন 'ইষ্টলাভের' জন্য , লজ্জা, ঘৃণা, ভয় -- তিন থাকতে নয় ...