শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১২

পোষাকী কথা ~ অরুণাচল দত্তচৌধুরী

আমি অতি পাতি লোক নিজেকে উলঙ্গ জেনে তবু
অশ্লীল সাহস নিয়ে চলাফেরা করি রাজপথে
অন্যরাও ন্যাংটো খুব। পোষাকের গভীরে ভিতরে
আদম ইভের দল বয়ে চলে নিষিদ্ধ আপেল

আপেল নিষিদ্ধ নয় শুধু যদি বেছে খাওয়া যেত
পচা দাগী পোকালাগা সে সকল ধর্মত বারণ
খিদের দাপটে বাবা লুপ্ত হয় সব ধর্মকথা
আমরা আপেল নয় খরিদ্দার আলু পটলের

এলামাটি মাখা আলু রঙ মাখা প্রাচীন পটল
মনোহারি বাজারের মেঝে জুড়ে দেয় গড়াগড়ি
উলঙ্গ মানুষজন খুঁটে খায় ভূত ভবিষ্যত
অনেক ওপরে বসে ঠোঁট চাটে উলঙ্গ রাজারা

আকাশের চাঁদ সূর্য নীহারিকা গ্রহতারারাজি
পোষাকবিহীন এই পৃথিবীকে দেখে হাসে যদি
ওদেরও পোষাক নেই
আমিতো অতীব পাতি, আমি তাই পোষাক খুঁজিনা

তোমাকে ধরে রাখতে পারিনি ~ অনামিকা

আমরা হিমুর সাথে একজন্ম হেঁটে যেতে পারি
মিশির আলির সাথে যেতে পারি শুভ্রদের বাড়ি
অনন্ত নক্ষত্র বীথি আলোবর্ষ অনায়াসে পার
হয়ে যাবো, কেননা তা চেয়েছিলে তুমি বারবার
আমাদের বেঁচে থাকা ওই কলমের কাছে ঋণী

তোমাকে যে ধরে রাখব
সে'টুকুই আজকে পারি নি

বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১২

রাধা ~ অমিতাভ প্রামানিক

‎"পায়ে ধরে সাধা, তবু রা নাহি দেয় রাধা -"
সবাই বলে এ উহারে, উল্লুক, না গাধা?
বলেই চলেন, কালাম -
শুধু তারেই জানাই সালাম।
হঠাৎ দেখি পালটিয়ে রং বলেন, প্রণবদাদা!

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১২

বোকা মেঘ ~ অরুণাচল দত্ত চৌধুরী

উত্তরে খুব বৃষ্টিমেঘের ঝলকানি
দক্ষিণে নেই তেমন উতল জলখানি।

দু'এক বিন্দু জল ঝরেছে। যার সে নিক।
আমরা গরীব। হাতের মুঠোয় আর্সেনিক।

দারুণ নাকাল নিত্যদিনের সার্কাসে
বর্ষাদিনের মেঘ চলে যায় তার কাছে

মেঘের আপন হলেও আমি তার তো পর
একলা সে খুব ভিজতে থাকুক স্বার্থপর

ভিজল বলেই তাকাই না আর ওর দিকে।
ভয় করি প্রেম। ভয় করি জ্বর সর্দিকে।

মধ্যবিত্ত কুষ্ঠি মানেই ডিউ শনি
মাসকাবারের সম্বল ওই টিউশনি।

অবাক কাণ্ড এ'সব জেনেও ডাকলে সে,
বোকার মতই ... মেঘের মতই ... যাই ভেসে।

শুক্রবার, ৬ জুলাই, ২০১২

ঈশ্বর কণা ~ অরুণাচল দত্তচৌধুরী

ঈশ্বর নিজে নয় তার এক অতিক্ষুদ্র কণা
আমাদের কুঁড়েঘরে উঁকি দিযে গেছে
আমরা বিস্মরণে রোজ তবু কণা নয় 
সমগ্রকে ডাকি
আর রোজই ভুলে যাই কোথাও যাবার কথা ছিল 
কী কথা দিয়েছি তাকে ... ঠিক কী কী কথা

আমার মুহূর্তরা পরবর্তী ধ্রুব মুহূর্তকে 
নিছক প্রকৃতিবশে চিনে নেয়... 
প্রাকৃতিক নিয়মকানুন এড়ানো কঠিন বড় 
এটাই দৈব 
তবু কোনও কোনও অনিশ্চয়তায়
আমার একাকী বিশ্ব অসীম বিশ্বে ভেঙে যায়

অকিঞ্চিত ভর দিয়ে ডেকে নিই অযুত কণাকে
সমস্ত ভালোবাসা ঢেকে দেয় ... লক্ষ কোটি সময়ের ঢেউ ...

আর যদি কেউ
তন্মুহূর্তে এসে বলে ... সাথে যাবো ...
অপলক এই কুঁড়ে ঘর
চিনে নেয় ... 
কণা নয় ... এসেছে ঈশ্বর!