সোমবার, ৩০ জানুয়ারী, ২০১২

বাপুজির শহিদ দিবসে ~ শ. ব.

অসময়ে সময় হোল?  
আর তিন দিন না হয় কেঁচো হয়ে, ঘৃণা হয়ে
দেনা হয়ে, মরা হয়ে
এ জীবন
যেতো কি যেতো না ভেবে না ভেবে
দেশের দশের হাজার বা কোটির বাপ
হে রাম! কত পাপ! ভেসে যেতো। 
ঈশ্বরীর উঠনে, এঁদো, বোজা, 
পচা, আবহমান, নালা বয়ে।


জানতেন না কি শহিদের পবিত্র কাল
এলো বলে ঠিক তিন দিন পর
তিন বিঘা বারো কাঠা  ঁভূতনাথ পাল। 


আগুনখেকো কবি, কবিতা, ও কন্যার পাপ
ধুয়ে বয়ে চলা উঠনের পবিত্র পচা নালা, 
ফড়েদের নিও-লিবারেল লালা, শান্তির জল, ফলিডল 
লাইনেই ছিলাম বাপ।
না বাপুজী বোধয়।
ঁধনা টুডু,  ঁহরিদাস রত্ন,  ঁকেনারামরাও লাইন দিয়ে 
চন্দ্রবিন্দু হয়।


৩০/০১/২০১২ 

বৃহস্পতিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০১২

ভাত দে হারামজাদা ~ রফিক আজাদ

ভীষন ক্ষুধার্ত আছিঃ উদরে, শারীরবৃত্ত ব্যেপে
অনুভূত হতে থাকে - প্রতিপলে - সর্বগ্রাসী ক্ষুধা
অনাবৃষ্টি যেমন চরিত্রের শস্যক্ষেত্রে জ্বেলে দেয়
প্রভূত দাহন - তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ

দু'বেলা দু'মুঠো পেলে মোটে নেই অন্য কোনও দাবি
অনেক অনেক-কিছু চেয়ে নিয়েছে, সকলেই চায়ঃ
বাড়ি, গাড়ী, টাকাকড়ি- কারো বা খ্যাতির লোভ আছে;
আমার সামান্য দাবিঃ পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর-
ভাত চাই-এই চাওয়া সরাসরি - ঠান্ডা বা গরম,
সরূ বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চাল হ'লে
কোনো ক্ষতি নেই মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাইঃ
দু'বেলা দু'মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য সব দাবি!

অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি নেই যৌন ক্ষুধা-
চাইনি তো নাভিনিম্নে পড়া শাড়ি, শাড়ির মালিক;
যে চায় সে নিয়ে যাক - যাকে ইচ্ছা তাকে দিয়ে দাও -
জেনে রাখোঃ আমার ও সব এ কোনও প্রয়োজন নেই।
যদি না মেটাতে পারো আমার সামান্য এই দাবি,
তোমার সমস্ত রাজ্যে দক্ষযজ্ঞ কান্ড ঘটে যাবে;
ক্ষুধার্তের কাছে নেই ইষ্টানিষ্ট, আইন-কানুন -
সমুখে যা পাবো খেয়ে নেবো অবলীলাক্রমে;
যদি বা দৈবাৎ সম্মুখে তোমাকে, ধর, পেয়ে যাই -
রাক্ষুসে ক্ষুধার কাছে উপাদেয় উপাচার হবে।

সর্বপরিবেশগ্রাসী হ'লে সামান্য ভাতের ক্ষুধা
ভয়াবহ পরিনতি নিয়ে আসে নিমন্ত্রণ করে!

দৃশ্য থেকে দ্রষ্টা অবধি ধারাবাহিকতা খেয়ে ফেলে
অবশেষে যথাক্রমে খাবোঃ গাছপালা, নদী-নালা,
গ্রাম-গঞ্জ, ফুটপাথ, নর্দমার জলের প্রপাত,
চলাচলকারী পথচারী, নিতম্ব-প্রধান নারী,
উড্ডীন পতাকাসহ খাদ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রীর গাড়ী-
আমার ক্ষুধার কাছে কিছুই ফেলনা নয় আজ।

ভাত দে হারামজাদা, তা না হলে মানচিত্র খাবো।

শনিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০১২

একটি অরাজনৈতিক ছড়া ~ শঙ্খ ঘোষ

আহ্লাদে মেতেছে আজ খুকু
দুহাতে ন্নতুন খেলনা পেয়ে
চোখে হাসি মুখে ফোটে ছড়া
ভাবলেশ নেই এতটুকু।
আমরা ভাবি: খেলুক খেলুক
অরও সুখ, আমাদেরও সুখ।

দণ্ডদুই পরে ফিরে দেখি
মেঝেতে ছড়ানো পুতুলেরা
হাত-পা ভাঙা ছিট্‌কে দূরে দূরে
মুন্ডুগুলি ধড় থেকে ছেঁড়া!

বলে উঠি তার দিকে চেয়ে:
'এ কী করেছিস ওরে মেয়ে?'
খিলখিল খিলখিল হেসে হেসে
খুকু বলে: 'পারি, সব পারি।
এতদিন একটা ছিলও শুধু
এখন করেছি রকমারি।'

দুহাত ছড়িয়ে বলে খুকু:
'দেখো আমি কতকিছু পারি!'

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১২

মন ও মৌনতা ~ সোম সরকার


অনেকটা পথ পেরিয়েও
স্তব্ধ সময়
পেছন ফিরে দেখি
কাল আর আজ দুটো দিন
বেদনা সাজানো আশ্রয়

মীমাংসিত হাহাকার
অবহেলিত জীবন
তুমি আছো? কি তুমি নেই?
টলমল…অস্থির
এ সময়ই আমার….আজীবন

কষ্ট পেতে,..কষ্টই চেয়েছি
যেন অবিরাম তোমাকে পাওয়া
ঘর বাঁধা হবে,
এক চিলতে সরু সুখ লুকোতে
কালিমার আলো….আগুণ নেভানো ধোঁয়া

আজ পথ আলাদা
জন ভীড়ে অভিমানী একলা
আমি শুধু হাঁটি আজ
ওলি গলি শহর থেকে শহরতলি
পাল্টেছে.. পরিবর্তন?
নাকি আর্তনাদ…সারাবেলা

যখন আমি কাঁদি
আহ্লাদিত অশ্রু গুলি ধূলো মাখে
তখন যদি হাত বাড়িয়ে বলো…আছি
নিমিষে সুখ হতে পারি সকল পূর্ণতাকে ছুঁয়ে
যেমন রোজ ভুলি তোমাকে কাল মনে করবো বলে

আমি পথ খুঁজি
যদি পাই এই নিদারুন যুদ্ধ থেকে ছুটি
আমার যুদ্ধে স্লোগান নীরব
ঝাপসা…নষ্ট কষ্ট
যে স্বপ্নই দেখবো ভাবি
নয় প্রথমবার..নয় তা আমার
তবুও আর একটা দিন,
আর একটা রাত…আমি এমনি করেই চলি…