বৃহস্পতিবার, ৯ জুলাই, ২০২০

বামফ্রন্টের ৩৪ ~ ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত

৩৪ বছরে এমন কী কী হয়েছিল যার জন্যে আপনার এত গর্ব?
মাঝে মাঝে এরকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান নাকি?
বন্ধু সংখ্যাতত্ত্ববিদ ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আপনার জন্যে ১৫টি ( মাত্র ১৫) কারণ রেডি করে দিয়েছেন। 
ভূমি সংস্কার আর পঞ্চায়েত বাদ রেখে  ।  
চোখ বুলিয়ে নিন , গর্বের ৩৪ কেন আমাদের উদ্বুদ্ধ করে আজও। 

১. সাক্ষরতা, গড় আয়ুষ্কাল ২০১১ সাল পর্যন্ত  জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। 
২. মহিলা থেকে পুরুষ সাক্ষরতার ব্যবধান: ভারতের গড়ের  চেয়ে অনেক কম। 
৩. শিশু মৃত্যুর হার - ভারতের তুলনায় অনেক কম। 
৪. বছরের শিশুর মৃত্যুর হার - ভারতের তুলনায় অনেক কম । 
৫.  ভারতের তুলনায় শিশু অপুষ্টি সূচক কম। 
৬. ভারতের সর্বনিম্ন প্রজনন হারের  (ফারটিলিটি রেট) মধ্যে একটি। 
৭. একমাত্র রাজ্য যেখানে রাজ্য সরকার পরিচালনাধীন  শীর্ষস্থানীয় দুটি  বিশ্ববিদ্যালয়  দেশের সর্বোৎকৃষ্ট দশটির তালিকায় ।
৮. কাঠামোগতভাবে খাদ্য ঘাটতি রাজ্য  খাদ্য রফতানিকারী রাজ্যে   পরিণত হয়েছে। 
৯. কাঠামোগতভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি রাজ্য  বিদ্যুত- উদ্বৃত্ত অবস্থায় পরিণত । 
১০.  গ্রামীণ দারিদ্র্যের হারের বিচারে    ১৯৭৩-৭৪ সালে ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ যে রাজ্য , ২০১১-১২-এর মধ্যে সেখানে গ্রামীণ দারিদ্র্য জাতীয় হারের নিচে হ্রাস পায় । 
১১. এনসিআরবি'র পরিসংখ্যান অনুসারে, গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তর দশকে  সর্বাধিক অপরাধ প্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে  অন্যতম এমন একটি রাজ্য  ২০০০ সালে ন্যূনতম অপরাধের রাজ্যগুলির একটিতে পরিণত হয়েছিল। 
১২. সবচেয়ে দাঙ্গা-প্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম একটি রাজ্য  স্বল্পতম ধর্মীয় সংঘর্ষের একটিতে পরিণত হয়েছিল। ১৩.  ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বৃদ্ধির   হার দেশের সর্বোচ্চ। 
১৪. কৃষক আত্মহত্যা  অতি সামান্য  পর্যায়ে। 
১৫. ১৯৮৭-২০১১ সালের মধ্যে পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের সব বড় রাজ্যের মধ্যে দ্রুততম জিএসডিপি প্রবৃদ্ধি। 
১৬. ২০০৪-২০১১  পর্যন্ত  ভারতে সমস্ত নতুন উত্পাদন কাজের ৪০% সৃষ্টি হয় এই রাজ্যেই। 

তাই একটু গর্ব তো করাই যায় ৩৪ নিয়ে, বলুন?

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন