৩৪ বছরে এমন কী কী হয়েছিল যার জন্যে আপনার এত গর্ব?
মাঝে মাঝে এরকম চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যান নাকি?
বন্ধু সংখ্যাতত্ত্ববিদ ইন্দ্রনীল দাশগুপ্ত আপনার জন্যে ১৫টি ( মাত্র ১৫) কারণ রেডি করে দিয়েছেন।
ভূমি সংস্কার আর পঞ্চায়েত বাদ রেখে ।
চোখ বুলিয়ে নিন , গর্বের ৩৪ কেন আমাদের উদ্বুদ্ধ করে আজও।
১. সাক্ষরতা, গড় আয়ুষ্কাল ২০১১ সাল পর্যন্ত জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি।
২. মহিলা থেকে পুরুষ সাক্ষরতার ব্যবধান: ভারতের গড়ের চেয়ে অনেক কম।
৩. শিশু মৃত্যুর হার - ভারতের তুলনায় অনেক কম।
৪. বছরের শিশুর মৃত্যুর হার - ভারতের তুলনায় অনেক কম ।
৫. ভারতের তুলনায় শিশু অপুষ্টি সূচক কম।
৬. ভারতের সর্বনিম্ন প্রজনন হারের (ফারটিলিটি রেট) মধ্যে একটি।
৭. একমাত্র রাজ্য যেখানে রাজ্য সরকার পরিচালনাধীন শীর্ষস্থানীয় দুটি বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোৎকৃষ্ট দশটির তালিকায় ।
৮. কাঠামোগতভাবে খাদ্য ঘাটতি রাজ্য খাদ্য রফতানিকারী রাজ্যে পরিণত হয়েছে।
৯. কাঠামোগতভাবে বিদ্যুৎ ঘাটতি রাজ্য বিদ্যুত- উদ্বৃত্ত অবস্থায় পরিণত ।
১০. গ্রামীণ দারিদ্র্যের হারের বিচারে ১৯৭৩-৭৪ সালে ভারতের মধ্যে সর্বোচ্চ যে রাজ্য , ২০১১-১২-এর মধ্যে সেখানে গ্রামীণ দারিদ্র্য জাতীয় হারের নিচে হ্রাস পায় ।
১১. এনসিআরবি'র পরিসংখ্যান অনুসারে, গত শতাব্দীর ষাট ও সত্তর দশকে সর্বাধিক অপরাধ প্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম এমন একটি রাজ্য ২০০০ সালে ন্যূনতম অপরাধের রাজ্যগুলির একটিতে পরিণত হয়েছিল।
১২. সবচেয়ে দাঙ্গা-প্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে অন্যতম একটি রাজ্য স্বল্পতম ধর্মীয় সংঘর্ষের একটিতে পরিণত হয়েছিল। ১৩. ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে বৃদ্ধির হার দেশের সর্বোচ্চ।
১৪. কৃষক আত্মহত্যা অতি সামান্য পর্যায়ে।
১৫. ১৯৮৭-২০১১ সালের মধ্যে পূর্ব ও উত্তর পূর্ব ভারতের সব বড় রাজ্যের মধ্যে দ্রুততম জিএসডিপি প্রবৃদ্ধি।
১৬. ২০০৪-২০১১ পর্যন্ত ভারতে সমস্ত নতুন উত্পাদন কাজের ৪০% সৃষ্টি হয় এই রাজ্যেই।
তাই একটু গর্ব তো করাই যায় ৩৪ নিয়ে, বলুন?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন