সোমবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২১

আগ্রাসন – ফিরে দেখা ~ রাজা সিংহ

বাংলার থুড়ি কলকাতার বুদ্ধিজীবী কুলে গেল গেল রব, বিহারি, গুজরাতি, মারাঠি, কাশ্মীরি, এস্কিমো সবাই মিলে নাকি কলকাতার কালচার গ্রাস করে ফেলছে। তারা বাংলা বলে না, তারা হনুমান পুজো করে, করওয়া চৌথে সোনালি চুমকি বসানো লাল শাড়ি পরে য়সরাজ ফিল্ম বা সুরজ বরজাতিয়ার ফ্যামিলি ড্রামার ধরণে ছাদে গিয়ে চালনি দিয়ে চাঁদ ও বরের মুখ দেখে। আগ্রাসন বলে আগ্রাসন। এমন তেজের সঙ্গে স্বয়ং অগ্নিদেবতাও বোধহয় খাণ্ডবদাহন করেন নি।  কলকাতার বুকে (আজ্ঞে বাঙলা মানে তো কলকাতাই) বুকে রাজস্থান আর গুজরাতের মহল্লা নাকি বেড়ে উঠছে ফনফন করে। এক ভয়াবহ চক্রান্তের করাল ছায়া ধীরে ধীরে গ্রাস করছে বঙ্গদেশকে। ঠিক কি না? কান পাতুন চারদিক থেকে ধ্বনি উঠবে ঠিক ঠিক।

এবার একটু অন্যভাবে দেখা যাক।  আমার শৈশব ও কৈশোরের বেড়ে ওঠা বিহারের এক প্রত্যন্ত শহরে। শহরটি ছিল দুইভাগে বিভক্ত,  দুর্গন্ধময় নালা, পুরনো রংচটা গায়ে গায়ে লাগানো কদর্য বাড়ি, শ্যাওলা পড়া প্রায়ান্ধকার গলির সিভিল এরিয়া আর চওড়া পিচ রাস্তা, সবুজ মাঠ, লাইব্রেরী, থিয়েটার হল, ফুটবল মাঠ আর সুন্দর কোয়ার্টারে ঘেরা রেলওয়ে কলোনি। সিভিল এরিয়ায় বাস ছিল স্থানীয়, বিহারি, ভোজপুরি অর্থাৎ বিহারের স্থানীয় বাসিন্দাদের আর সুন্দর সাজানো রেলওয়ে কলোনি জুড়ে ছিল বাঙালী রেল বাবুদের বাস। সেই ছোট্ট শহরটিতে অন্তত: পঞ্চাশটি দুর্গাপূজা হত। আর এত ধুমধাম আর খরচ করে দুর্গাপুজো হত যে তাদের স্থানীয় ও সর্ববৃহৎ উৎসব ছটপুজোতেও অমন চাকচিক্য ও জাঁকজমক চোখে পড়ত না। বাঙালির বারোমাসে তেরো পার্বণের যাবতীয় উপকরণ তা শীতল ষষ্ঠীর তালপাতার পাখা, কচি বাঁশের কোড়ল, ডাঁট শুদ্ধ খেজুর যেমন বিক্রি হত তেমনি লক্ষ্মীপুজো, সরস্বতীপুজোর যাবতীয় উপকরণের মেলা বসে যেত উৎসবের দিনগুলিতে। আড়াইটি বাংলা স্কুলে নিয়ম করে পালন হত রবীন্দ্র-নজরুল। বাংলার সংস্কৃতি ধরে রাখার যাবতীয় বন্দোবস্ত ছিল সেখানে। চাকুরীজীবী বাঙালীরা শুধু যে স্থায়ী বাসস্থান গড়ে তুলেছিলেন তাই নয় তাদের সংস্কৃতি, উৎসব সব কিছুই বজায় রেখেছিলেন বহুল প্রাচুর্যে। 

দেওঘর, গিরিডি, যশিডি, শিমুলতলা এদিকে বেনারস, এলাহাবাদ, কানপুর, দিল্লী, মুম্বাই, পুনে তে বঙ্গ-সন্তানেরা তাদের উৎসব, সংস্কৃতির চর্চা অব্যাহত রেখেছেন বহু বছর ধরে। বাবার চাকরি সূত্রে ঘুরতে হয়েছে বহু জায়গায়। কোথাও শুনি নি, সেখানকার বাসিন্দারা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছে, মার শালাদের, আমাদের উৎসব সংস্কৃতি বানের জলে ভেসে গেল, সবই  গ্রাস করে ফেলছে এই বঙ্গ-পুঙ্গবরা। আজ নয় বহু বছর ধরেই বাঙালি যে শহরে বাসা বেঁধেছে তারা নির্মাণ করেছেন কালীবাড়ি। দিল্লী, পুনে, মুম্বই, ব্যাঙ্গালোর কোথাও তার ব্যতিক্রম নেই। স্থানীয় মানুষকে বলতে শুনি নি এই রে, এবার তো আমাদের আইয়াপ্পা মন্দিরের কিংবা গণেশ টেম্পলের খ্যাতিতে ভাগ বসবে। 

আজ ব্যাঙ্গালোরের যে কোন রেস্টুরেন্টে ঢুকে আমি নির্দ্বিধায় যে কোন ওয়েটারের সাথে বাংলায় কথা বলি। কারণ তাদের নব্বই শতাংশ বাঙালী। শুধু ব্যাঙ্গালোর কেন খোঁজ নিয়ে দেখুন গত তিরিশ বছরে ভারতের অন্যান্য সব শহরগুলিতে বাঙালির সংখ্যা বেড়েছে হু-হু করে। তারা ভাগ বসিয়েছে স্থানীয়দের কর্মসংস্থানে। কলকাতা থেকে বেড়াতে আসা বন্ধুবান্ধবরা বেশ গর্বের হাসি হেসে বলেন, 'বাওয়া সব জায়গায় বাঙালি, অ্যাঁ?' শপিং মলে দক্ষিনী পাঁপড়ের পাশেই বাংলা হরফে লেখা গোবিন্দ ভোগ চালের প্যাকেট, বাংলার বড়ি, খেজুর গুড়। মাছের দোকানে আঁকাবাঁকা বাংলা হরফে লেখা 'এখানে কলকাতার মাছ পাওয়া যায়।' দক্ষিণের মত ভাষা সচেতন প্রদেশগুলিতে চল্লিশ-পঞ্চাশ বছর ধরে বসবাসকারী বাঙালিরা বেশীরভাগই এখনো স্থানীয় ভাষা শেখেন নি। খোদ ব্যাঙ্গালোরের বুকে হ্যাল মার্কেট যেন লেক-মার্কেট বা গড়িয়া-হাট মার্কেটের মিনি সংস্করণ। স্থানীয় বাসিন্দাদের কখনো বলতে শুনিনি, এইরে এই বঙ্গ-সন্তানেরা তো মিনি কলকাতা বানিয়ে ফেলেছে। তাদের কেন মনে হয় না, তাদের মহল্লা, টোলা, হাল্লি গুলো সব বাগবাজার, বৌবাজার কিংবা বাঘাযতীন হয়ে যাচ্ছে। এমনই তো হবে, চাকরি কিংবা ব্যবসার সূত্রে মানুষ বহমান হবে এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে, সাথে করে নিয়ে আসবে তাদের খাদ্যাভ্যাস, ভাষা, সংস্কৃতি, অচেনা প্রদেশে গড়ে তুলবে তাদের সুখ-বসত বা কমফোর্ট জোন। সেখানে পালন করবে তাদের নিজস্ব উৎসব। গড়ে তুলবে নিজের প্রার্থনা-ক্ষেত্র। বাংলার বাইরে ছড়িয়ে থাকা ও ছড়িয়ে পড়া বাঙালিদের উৎসব, সাহিত্য, সংস্কৃতি পালন দেখতে যদি আপনাদের ভালো লাগে, বেশ 'অ্যাট হোম' বোধ হয় তবে একই জিনিস বাংলার বুকে প্রত্যক্ষ করলে এত প্রতিরোধ কেন? বাঙালি রিক্সা টানবে না, মোট বইবে না, ঠেলা চালাবে না। সে কাজ নির্দ্বিধায় তুলে নিল শ্রমজীবী বিহারের লোক। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে তারা মাছ ভাত কেন খাবে? তারা লিট্টি চোখাই খাবে। তারা কৃত্তিবাসী রামায়ণ নয় বরং তুলসিদাসী রামায়ণ ও হনুমান চালিশাই পড়বে। সুদূর মারোয়ার, গুজরাত থেকে ব্যবসা করতে আসা মানুষজন নিজের চেষ্টায় গড়ে তুলেছে, বাড়িয়েছে বাণিজ্য। তারা পালন করবে তাদের চৌথ, তিজ কিংবা রাস উৎসব। যেমন আমরা করি 'বছরে তেইশ বার চিত্রাঙ্গদা আর শ্যামা, শাপমোচনের অশ্রুমোচন, বাংলায় কিংবা বাংলার বাইরে। 

বাংলার বুদ্ধিজীবীদের এই হঠাৎ 'তফাৎ যাও' মনোভাব যদি ছড়িয়ে পড়ে দেশে এবং বিদেশেও, বাংলার বাইরে বসবাসকারী বাঙালিদের কিন্তু এর মাসুল গুণতে হবে পুরোদস্তুর। যেমন নিউটন সাহেব তার তৃতীয় সূত্রে বলেছেন আর কি।

কুড়ি বছর আগের সেন্সাস অনুযায়ী ভারতবর্ষে হিন্দি ভাষীর সংখ্যা (তেরটি রাজ্য মিলিয়ে) ৫৩.৬ শতাংশ ছিল। তার পরেই ইংরেজি, ৪১ শতাংশ। এটা কুড়ি বছর আগের অর্থাৎ ২০০১ এর সেন্সাস। তার মানে দাঁড়ায় একটি 'নানা ভাষার দেশে' এই দুটি ভাষা 'মাস ল্যাঙ্গুয়েজ' বা 'মাস কমিউনিকেশন ল্যাংগুয়েজ'   হিসেবে কাজ করতে পারে। ঠিক তার ভিত্তিতেই স্থানীয় ভাষার পাশাপাশি, হিন্দি ও ইংরেজির ব্যবহার হয় রেলওয়ে স্টেশনের নেম-বোর্ড হিসেবে। ওড়িয়া বা কোঙ্কনি ব্যবহার হয় না।
আর কেন এই তেরোটি প্রদেশ হিন্দি বলেন, বোঝেন তার কারণ হিসবে স্থানীয় ভাষার উৎপত্তিগত ছোট্ট চার্টটি দিলাম। এবার হিন্দি প্রচার প্রসারের জন্য সরাসরি দেবভাষাকে দোষারোপ করতে পারেন। 

আর যারা চান স্থানীয় ভাষাই হোক কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ তাদের বলি শুধু স্থানীয় ভাষায় বাস, ঠিকানা, দোকান ইত্যাদি লেখা থাকলে যে কি পরিমাণ অসুবিধেয় পড়তে হয় তার চাক্ষুষ প্রমাণ দেখা যায় বাংলা থেকে দক্ষিণে বেড়াতে, ডাক্তার দেখাতে আসা বাঙালির বিরক্তি ও হতাশা দেখলে।  

'মাস কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ' না থাকলে আপনাকে ২৯টি রাজ্য সাতটি ইউনিয়ন টেরিটরিজ এর ভাষা শিখতে হবে, পড়তে ও বলতে পারার মত। আমার কিছু শ্রদ্ধেয় বন্ধু যারা 'আগ্রাসনের' ধুয়ো তুলেছেন তাঁদের কেউ কেউ বাংলার বাইরে তাঁদের গোটা চাকুরী জীবন স্বচ্ছন্দে কাটিয়ে, বাংলায় ফিরে গেছেন স্থানীয় ভাষাটি বিলকুল না শিখেই। কি ভাবে? ঐ 'মাস কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ' – ইংরেজি বা হিন্দির কল্যাণে। কোন ভাষা সেই প্রয়োজন মেটাবে তা নির্ভর করবে তা নির্ভর করবে কয়েকটি বিষয়ের উপর ১। তার বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক প্রয়োজনে সেই ভাষার ব্যবহার। এই প্রয়োজন মেটাতেই বাঙালি একদিন ইংরেজ প্রভুর ভাষা আত্মস্থ করেছিল। ২। ভাষার সহজবোধ্যতা – এটি না থাকলে সে ভাষার প্রচার ও প্রসার মুশকিল, তার আদ্যন্ত প্রমাণ মালয়ালম ভাষা, এমনকি দক্ষিণের তামিল, তেলেগু ও কন্নড়রাও স্বীকার করেন মালয়ালম শিখে নেওয়া তেমন সহজ সাধ্য নয়। ৩। সে ভাষাটি রাজভাষা কিনা (এখানে তুমুল আলোড়ন উঠতে পারে) কিন্তু একথা অস্বীকার করা যায় না যে ৭৩ বছরের বেশিরভাগ সময়টাই দিল্লীর মসনদে যারা আরোহণ করেছেন তাঁদের ভাষা ছিল হিন্দি। রাজভাষার কারণেই ভারতে ব্যুৎপত্তি পেয়েছিল ফারসি, উর্দু ও পরবর্তীকালে ইংরেজি।

স্থানীয় ভাষার সিরিয়ালে হিন্দি ব্যবহার হবে না কোঙ্কনি? তা নির্ধারণ করেন সেই সিরিয়ালের দর্শক, তাঁরা ডিক্টেট করেন টি আর পি, পরিচালক শুধু সেই নির্ধারিত দর্শক সমূহ বা টার্গেট অডিয়েন্সকে পরিবেশন করেন। তাই হিন্দি ব্যবহার অগ্রাহ্য করে নিজের ভাষাটিকে আরও আরও বেশি জনপ্রিয় করলে তা কাজ দেবে বেশি।

আমার এক প্রিয় সুহৃদের প্রশ্নের উত্তরে বলি, 'না দক্ষিণে হিন্দি 'চাপিয়ে' দেওয়া সম্ভব হয় না।' বরং এঁরা যথেষ্ট সুচারু ও নির্মম ভাবে, স্থানীয় ভাষা চাপিয়ে দেন। বাংলায় কোন ব্যাঙ্কে গেলে তাকে হিন্দিতে কথা বলতে বাধ্য করা হয় এমন তথ্য আমার জানা নেই। তবে দক্ষিণে সমস্ত সরকারি আপিস, কাছাড়ি, প্রপার্টি রেজিস্ট্রেশন থেকে ম্যারেজ রেজিস্ট্রেশন সব ফর্ম স্থানীয় ভাষায় লেখা। তাঁরা কিছুতেই অন্য ভাষায় কথা বলবেন না। আমার এক সুহৃদ একটি অ্যাকসিডেন্ট কেসের কারণে বাধ্য হয়েছিল কন্নড় শিখতে। কারণ পুলিশ এবং তার আইনজীবী মায় জজ সাহেব পর্যন্ত কেউ তাঁর সাথে মাস কমিউনিকেশন ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করেন নি কঠোর এবং স্বেচ্ছা অভিপ্রেত ভাবে। এই চাপিয়ে দেওয়া গুলি কিন্তু আমার মত অনেকেরই যথেষ্ট অসুবিধের কারণ হয়, আপনারও হবে। তাই চাপিয়ে দেওয়াটা যে একতরফা নয় সেটা বুঝতেই পারছেন। সেই অসুবিধেটা আপনিও করবেন কিনা ভেবে দেখবেন।

আরও একটা কথা দক্ষিণে স্থানীয় ভাষাগুলিকে সংরক্ষণ করা হয় নিষ্ঠাভরে। তাঁরা শুধু উষ্মা প্রকাশ করে ক্ষান্ত থাকেন না। শিক্ষক, পুলিশ, প্রযুক্তিবিদ, নাট্য-ব্যক্তিত্ব এমন কি ওলা ড্রাইভার নিখরচায় কন্নড় ক্লাস করান সপ্তাহান্তে অস্থানীয় ভাষাভাষীদের জন্যে। হাতে গুনুন তো ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো মানে নিজের গাঁটগচ্চা দিয়ে নিজের ভাষা শেখানোর কটি প্রকল্পের সাথে আপনি জড়িত। 

আরেকটা কথা বলি, আগেই বলেছি রাজভাষা শিখতেই হয়, বাংলার মতই দক্ষিণেও বা সারা ভারতবর্ষেই 'ব্যবসাজীবি' যে সম্প্রদায়রা রয়েছেন তাঁরা কিন্তু স্থানীয় ভাষা শিখে নিয়েছেন পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে। হ্যাঁ তাঁদের উচ্চারণ নিখুঁত নয়, যাকে বলে অ্যাক্সেন্টেড। তা সে তো ইংরেজির ক্ষেত্রেও হয় বাঙালি থেকে অস্ট্রেলিয়ান সবার ইংরেজিতেই স্থানীয় প্রভাব রয়েছে এবং তা স্বীকৃত।

যারা প্রবাসে বাঙালিদের লাঞ্ছিত হতে হয় বলে কমেন্ট করেছেন, সে উত্তর গুলি এখানে দিলাম না, কারণ সে অন্য প্রসঙ্গ। এই পোস্টের উদ্দেশ্য ছিল 'চাপানো' সংস্কৃতি বা কালচার শাঁখের করাতের মত। তাই  নিজেকে সেখানে বসিয়ে দেখা যায় কি না। 

অনেকে উল্লেখ করেছেন বটে তবে প্রবাসের যাতনা নিয়ে এ পোস্ট নয়।  আমার কাছের এক দক্ষিণী মানুষ যারা তিনপুরুষ কলকাতায় এবং যে কোন বাঙালির মত স্বচ্ছন্দ বাংলা বলেন তাকেও মাঝে মধ্যে তির্যক 'তেঁতুল' মন্তব্যটি শুনতে হয়। 'খোট্টা, মেড়ো, গুজ্জু' শব্দগুলি বাঙালি শব্দ ভাণ্ডারে এমনি এমনি উঠে আসে নি। না কারো প্রবাস জীবনই ফুলশয্যা হয় না। তাই বিহারে আমাদের যখন 'বঙ্গালী মচ্ছি কা কাঙ্গালি'  বলে কৌতুক করেছে তখন আমরাও 'বিহারী ভূত, খাটিয়া পর সুত, টিক্কি মে আগ লগি, ধরফড়াকে উঠ' ইত্যাদি বলতে ছাড়ি নি। আরও আরও অনেক আছে। বাঙালিদের উদার মেলামেশার  সংস্কৃতির জন্য বাঙালি মেয়েদের সহজলভ্য মনে করা হয়েছে। এমন অনেক আছে। যেমন 'জাদু-টোনাওয়ালি বঙ্গালন' আপনি শুনেছেন তেমনি আসামের নারীরা যুগ যুগ ধরে তকমা বয়ে বেরিয়েছেন যে তারা পুরুষদের 'ভেড়া' বানিয়ে রাখেন। কিন্তু সে সম্পূর্ণ অন্য প্রসঙ্গ, এগুলির সাথে ভাষার আগ্রাসনের সম্পর্ক নেই। আছে মানসিকতার, মানবিকতার সম্পর্ক।



কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন