বুধবার, ২৫ জুলাই, ২০১৮

মেডিকেল কলেজ ~ ডা: সমুজ্জ্বল মাইতি

ডাঃ নারায়ন রায় ও ডাঃ ভূপাল বসু, ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজের দুই ছাত্র, দুজনেরই ১৯৩০ সালে ডালহৌসী স্কোয়্যার বোমানিক্ষেপ মামলায় (চার্লস টেগার্ট সাহেবের গাড়িতে বোমা মারেন দীনেশ মজুমদার) দ্বীপান্তর সাজা হয়, জেল খাটেন আন্দামানে। ১৯৩৩ সালে এঁরা দু'জন এবং উল্লাসকর দত্ত ও সতীশ পাকড়াশির নেতৃত্বে একটানা ৪৫ দিন অনশন করেন পাঁচটি দাবীতে - খাবার যোগ্য খাদ্য, স্নানের জন্য সাবান, ঘুমানোর জন্য বিছানা, নিজেদের মধ্যে কথা বলার সুযোগ ও পড়বার জন্য বই চাই। ন'দিনের মাথায় জোর করে অনশন ভাঙতে গেল কুখ্যাত ব্রিটিশ জেলর ডেভিড ব্যারী। বাধা দিতে গিয়ে প্রাণ হারালেন তিন বন্দী বিপ্লবী - মহাবীর সিং গদর, মোহিত মৈত্র ও মনকৃষ্ণ নবদাস। পরের দিন জলের ঘটিতে দুধ রেখে দেওয়া হ'ল লুকিয়ে। বিপ্লবী সুশীল দাশগুপ্ত রেগে চিৎকার করলেন, 'ওরা জলের জায়গায় দুধ রেখে গেছে, কি করা উচিত আমাদের?' পাশের সেল থেকে ডাঃ নারায়ন রায়ের উত্তর ভেসে এল - 'ফুটবল খেলিস নি কোনোদিন ? কিক্ করতে জানিস না ?' যেমন বলা, তেমনি কাজ। লাথি মেরে দুধের ঘটি ফেলে দিলেন সুশীল। ৪৬-তম দিনে যখন সকলেই প্রায় মরণাপন্ন, বাধ্য হয়ে সব ক'টা দাবী মেনে নিল জেল কর্তৃপক্ষ। দাস ক্যাপিটাল আর কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো সাপ্লাই দেওয়া হয়েছিল ওঁদের দাবী মেনে। শিক্ষক ডাঃ রায় ও ডাঃ পাল, বাকীরা ছাত্র।
                                                                                       
১৯৩৭ সালে মুক্তির দাবীতে আবার শুরু হ'ল আমরণ অনশন। এবারো নেতৃত্বে ডাঃ রায় ও ডাঃ পাল। দাবী মিটল ৩৬ দিন পর। একে একে ছাড়া পেলেন সকলে, পরের বছর জানুয়ারিতে চিরতরে বন্ধ হ'ল সেলুলার জেল।
সিপিআইএম নেতা ডাঃ রায় পরে কোলকাতা কর্পোরেশনের কাউন্সিলর হ'ন, আমৃত্যু অসংখ্য সমাজসেবামূলক কাজে যুক্ত ছিলেন। ডাঃ পাল প্রথমে ফরোয়ার্ড ব্লক, পরে সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্ব দিয়েছেন।                                                         
১৯৩৭ সাল ।চীন,জাপানী সাম্রাজ্যবাদী যু্দ্ধে আক্রান্ত । সাংহাই শহরের পতন আসন্ন ।সুং চিং লিং হংকং-এ ।গঠিত হয়েছে China Defence League,International Peace Hospital,যুদ্ধ ফ্রন্টের জন্য বিয়াল্লিশটি Mobile Medical Unit এবং আটটি Medical School।এহেন পরিস্থিতিতে জাপানী আক্রমণের তীব্রতা আরো বৃদ্ধি পেলে,কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটিতে গৃহীত হয় ভারত থেকে চীনে মেডিকেল মিশন প্রেরণের সিদ্ধান্ত । অবশেষে ১৯৩৮ সালে ডাঃ মোহনলাল অটল,ডাঃ মোরেশ্বর রামচন্দ্র চোলকার,ডাঃ দ্বারকানাথ শান্তারাম কোটনিস,ডাঃ রনেন্দ্রনাথ সেন এবং ডাঃ দেবেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়-কে নিয়ে পাঁচ সদস্যের মেডিকেল মিশন গঠিত হয় । ডাঃ দেবেশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ছিলেন কোলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্র,কোলকাতা মেডিকেল থেকে ডাক্তারি পাশ করে তিনি আসামের ডিব্রুগড়ে চিকিৎসা করতেন। মেডিকেল মিশনের আহ্বান তিনি সাদরে গ্রহণ করেন এবং নেতাজীর সাথে সাক্ষাৎ করে বিদায় সম্বর্ধনা নেন।এই মিশনেরই অন্য সদস্য ছিলেন ডাঃ রনেন্দ্রনাথ সেন,তিনি ছিলেন বেআইনি কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য এবং কোলকাতায় কমিউনিস্ট পার্টির অন্যতম সংগঠক।কিন্তু কমিউনিস্ট বিপ্লবী হওয়ার কারণে সরকার তাঁকে পাসপোর্ট দিতে অস্বীকার করে।তাই তাঁর জায়গাতে মেডিকেল মিশনের অন্তর্ভুক্ত হন ডাঃ বিজয়কুমার বসু।তিনিও ছিলেন কোলকাতা মেডিকেল কলেজের ছাত্র।তিনি ছাত্র জীবনে রাজনীতির সংস্পর্শে আসেন এবং রনেন সেনের মাধ্যমে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন।স্বভাবতই চীনের ঘটনাবলী প্রত্যক্ষভাবে দেখবার সুযোগলাভে তিনি খুবই আগ্রহী ছিলেন।চীনে পৌঁছে হাঙ্কাউয়ের হাসপাতালে একটানা সতেরোদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করে জাপানী আক্রমণে আহত রোগীদের সেবা করেন।এরপর ইচাং-এর একটি হাসপাতালেও প্রায় একমাস কাজ করেন।১৯৩৯ সালে ঘোড়া থেকে পড়ে গিয়ে চৌ-এন-লাইয়ের হাত ভেঙে গেলে তিনি তাঁর চিকিৎসা করেন।১৯৩৯ সালে তিনি ইয়েনানের মডেল হাসপাতালেও যোগ দেন।এখানেই মাও-সে-তুঙ এবং এডগার স্নো-এর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ হয়।১৯৪০ সালের শেষের দিকে তিনি চিন ছাছি অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছলেন।ডাঃ নর্মান বেথুনের Beshao হাসপাতালেই তিনি নিযুক্ত হন।
১৯৪০-১৯৪২ পর্যন্ত ইয়েনানের জীবনযাত্রা কতটা কষ্টকর ছিল তা ডাঃ বসু প্রত্যক্ষ করেন।খাদ্য বস্ত্র ওষুধের খুব অভাব।শুরু হল 'Production Movement'।এই সময়ে তিনি ইয়েনানের উপকণ্ঠে 'আন্তর্জাতিক শান্তি হাসপাতালে' কাজ করেন।পরে তিনি অষ্টম রুট বাহিনীর Central Outdoor হাসপাতালে নাক-কান-গলা বিভাগের প্রধান হন।ডাঃ বসু ছিলেন প্রথম ভারতীয় যিনি চীনের নির্বাচিত পার্লামেন্টের সদস্য হন।১৯৪১ সালে তিনি চীনের কমিউনস্ট পার্টির ও সভ্যপদ লাভ করেন।
অন্যদিকে,মেডিকেল কলেজের আরেক ছাত্র ডাঃ দেবেশ মুখার্জী।মেডিকেল মিশনের সঙ্গেই চীনে যাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে তিনি ভারতে ফিরে আসতে বাধ্য হন।তাঁর একটি কিডনি অপারেশন করে বাদ দিতে হয়।তাসত্ত্বেও সুস্থ হয়ে ওষুধপত্র জোগাড় করে তিনি আবার চীনের পথে রওনা হন।এই সময়ে তিনি প্রায় ১লক্ষ টাকার ওষুধ সংগ্রহ করেন এবং খিদিরপুর ডক থেকে বর্মা উদ্দেশ্যে রওনা হন।কিনতু বর্মাতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ব্রিটিশ সরকার তাঁর পাসপোর্ট কেড়ে নেয় ও তাঁকে ভারতে প্রেরণ করে।ডাঃ দেবেশ মুখার্জী পরবর্তী কালে জাতীয়তাবাদী বিপ্লবী ভাবধারার প্রভাবে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ অনুসরণ করেন।১৯৪২ সালে তাঁর কর্মপদ্ধতিতে এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
এরপর এল ১৯৪২ সালের অক্টোবর মাস।ভয়াবহ সাইক্লোন আর সামুদ্রিক বন্যার আঘাতে মেদিনীপুর আর ২৪ পরগণা বিধ্বস্ত।২৪৯ বৌবাজার স্ট্রীটে গঠিত হল পিপলস্ সাইক্লোন রিলিফ কমিটি।আবার ১৯৪৩ সালে দামোদরের বন্যা।এবার গঠিত হল পিপলস্ ফ্লাড রিলিফ কমিটি।অনতিবিলম্বে আছড়ে পড়ল ১৩৫০-এর দুর্ভিক্ষ।এই সমস্ত কমিটিগুলিকে মিলিয়ে দিয়ে তৈরী হল পিপলস রিলিফ কমিটি।কোলকাতা মেডিকেল কলেজের বহু ছাত্র,চিকিৎসক এর সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন।১৯৪৬ সলে নোয়াখালির দাঙ্গার পর এবং রংপুরে দুর্ভিক্ষ কবলিত এলাকাতে পিআরসি ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে।মেডিকেল কলেজের যে সব কৃতি ছাত্ররা পিআরসি-র সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন তাঁদের মধ্যে ডঃপূর্ণেন্দু ঝাঁ,ডাঃবিমল সেনগুপ্ত,ডাঃকনক কাঞ্জিলাল,ডাঃ হিমাংশু রায়,ডাঃনীরদ মুখার্জীদের নাম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয়।প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে,ডাঃ পূর্ণেন্দু ঝাঁ ছিলেন কোলকাতা মেডিকেল কলেজ স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে অন্যতম।এই কলেজ থেকেই এমবিবিএস পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারী ডাঃ পূর্ণেন্দু ঝা বিভিন্ন গণ-আন্দোলনে অংশ নিয়ে কারাবরণ করেন, আলিপুর ও বক্সার জেলে বন্দী ছিলেন বহুবছর। ১৯৪৮ সালে বিপিএসএফ মেডিক্যাল কলেজে প্রথম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন গঠন করলে তিনি সম্পাদক হ'ন। এই সিপিআইএম নেতা পরে কোলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ নির্বাচিত হ'ন।                                                         

ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজের আর এক কৃতী ছাত্র ডাঃ রমেন কুন্ডুর নেতৃত্বে একদল তরুন বিপিএসএফ সদস্য ১৯৪৭ সালে বি টি রণদিভের ডাকে সাড়া দিয়ে রাইফেল কাঁধে তেলেঙ্গানা সশস্ত্র সংগ্রামে যোগ দিতে বেরিয়ে পরেন। সিপিআইএম সদস্য ডাঃ কুন্ডু দেশে-বিদেশে রেডিওলজিতে অধ্যাপনা করেছেন।
এরপর এল ১৯৪৭-এর জানুয়ারী মাস।২১শে জানুয়ারী পালিত হবে ভিয়েতনাম দিবস।ইউনিভারসিটি সিনেট হলের সামনের সিঁড়িতে বিক্ষোভরত ছাত্রদের ওপর পুলিশের গুলি চললো।মেডিকেল কলেজের ছাত্র ধীররঞ্জন সেনকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পর মারা গেলেন।শোকপ্রস্তাব প্রকাশিত হল ভিয়েতনাম স্টুডেন্টস্ অ্যাসোশিয়েশনের Hanoi সম্মেলনে।               
১৯৫২ সালে ধর্মতলা স্ট্রীটে যাঁর চেম্বারে শুরু হ'ল স্টুডেন্টস হেলথ হোমের পথ চলা, সেই ডাঃ অমিয় বোস, হেলথ হোমের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ অরুন সেন, দুজনেই ছিলেন ক্যালকাটা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র। ডাঃ সেন বিপিএসএফের কর্মী।
১৯৫৯ সালের আগস্ট মাস।খাদ্য আন্দোলন শুরু হল।৩১শে আগস্ট সভা ও আইন অমান্য কর্মসূচী নেওয়া হল।প্রায় ১লক্ষ মানুষের শোভাযাত্রা রাইটার্স বিল্ডিং-এর দিকে অগ্রসর হল।'আন্দোলনকারীদর শিক্ষা' দেওয়ার বাসনাকে চরিতার্থ করতে গিয়ে পুলিশের লাঠির আঘাতে ৮০জনের বেশী মানুষ নিহত হলেন। পরের দিন ১লা সেপ্টেম্বর সারা পশ্চিমবঙ্গে সর্বাত্মক ধর্মঘট পালিত হল।ছাত্ররা মিছিল করে রাইটার্স বিল্ডিং-এর দিকে অগ্রসর হলে পুলিশ ছাত্রদের ওপর গুলি চালায়।৪জন ছাত্র নিহত হয়।পরেরদিন মেডিকেল কলেজে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহগুলি নিয়ে পুনরায় মিছিল হয়।এই গোটা ঘটনার প্রতি সংহতি জানিয়ে এগিয়ে আসে মেডিকল কলেজের ছাত্ররা।মেডিকেল কলেজে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন ডাঃ জ্ঞানব্রত শীল,ডাঃ ইন্দ্রজিৎ রায়।প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য ডাঃ জ্ঞানব্রত শীল ছিলেন মেডিকেল কলেজ হস্টেল স্টুডেন্টস্ ইউনিয়নের সম্পাদকও।স্মৃতিচারণায় তিনি লিখেছেন, Our Principal, Prof. Sudhir Bose  came,was stuck dumb for some moment and then commented, I HAVE NOT SEEN SUCH BRUTAL KILLING EVEN IN BRITISH PERIOD''…there was a reportedly Bullet-proof Ambulance in our hospital and our principal allowed some of us to take it in search of Casualties''…                               
ডাঃ অমিত পান, কোলকাতা মেডিক্যাল কলেজের আরেক ছাত্রনেতা এসএফআই রাজ্য কমিটির সদস্য ছিলেন, তাঁর নেতৃত্বে ছাত্ররা কেরোসিনের দাবীতে প্রথমে পুরুলিয়ায়, পরে সারারাজ্যে ব্যাপক ছাত্র-আন্দোলন গড়ে তোলে সাতের দশকে। '৭১ থেকে '৭৭ সন্ত্রাসের পর মেডিক্যাল কলেজে গণতন্ত্র ফেরানোর লক্ষ্যে মেডিক্যাল কলেজ ডেমোক্র্যাটিক স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (MCDSA) গঠন হ'লে তার প্রথম কনভেনর হ'ন SFI নেতা অমিত পান ও স্বরূপ সরকার।
                                                                 
পাঠক,এটাই ছিল খুব সংক্ষেপে আমাদের মেডিকেল কলেজ বেঙ্গল-এর আন্দোলনের ঐতিহ্য।এর মধ্যে আছে আরো অসংখ্য ছোট বড় ঘটনা।বহু কিছু ই আজ বিস্মৃতপ্রায়।এর পরও আছে নকশাল যুগে বহু মানুষ,ছাত্রের,চিকিৎসকের আত্মত্যাগের ইতিহাস।যে ইতিহাসের সঠিক তথ্য দলিল দস্তাবেজের অভাবে আজ লিখে উঠতে পারলাম না।শুধু বলার বিষয়,''আমরা মেডিকেল কলেজে পড়ি''..এর মধ্যে একটা গর্ব আছে বটে।তবে গর্বটা ঠিক কোন জায়গায় সেটা উপলব্ধির বিষয়।আর যারা আজ হঠাৎ ১৯৭৭ সাল থেকে চল্লিশ বছর হিসাব করে বসলেন,তাদের বলি '৭৭-এর আগে একটা '৭১ ছিল,একটা '৬৬ ছিল,একটা '৫৯ ছিল,একজন ধীররঞ্জন সেন ছিলেন।কিছু মেডিকেলের ছা্ত্রর কিছু ব্যক্তিগত উ্দ্যোগ ছিল।সেই সব কিছুকে ভুলে যাওয়াটা ইতিহাস,ঐতিহ্যকে অস্বীকার করা,সংগঠিত ছাত্র আন্দোলনের অমর শহীদদের অস্বীকার করা।আশা করি নির্দিষ্ট রাজনীতিকে চ্যাম্পিয়ন করতে গিয়ে মেডিকেল কলেজের এত বড় একটা অধ্যায়কে ভুলে যাবেন না।
             ( ডাঃ সুবর্ণ গোস্বামীর কাছ থেকে তথ্য নিয়ে লেখাটিকে একটু বর্ধিত করলাম। )                       

তথ্য সংগ্রহঃ
১। চীনে ভারতীয় মেডিকেল মিশন-অমলেন্দু দে
২। পিপলস্ রিলিফ কমিটির দ্যুতিময় ইতিবৃত্ত
৩। স্টুডেন্টস্ হেলথ্ হোম(প্রথম দশক)-পশুপতিনাথ চট্টোপাধ্যায়
৪। ভারতীয় উপমহাদেশের ছাত্র আন্দোলন-হীরেন দাশগুপ্ত,হরিনারায়ণ অধিকারী
৫। Medical College &  Hospital, Kolkata Wikipedia

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন