- "বাবা, এটা কিসের ছবি?"
- "হারমিট ক্র্যাব, সন্ন্যাসী কাঁকড়া।"
- "ওরকম নাম কেন?"
- "এরা খুব নিরীহ। সাধুদের মত। কেউ ওদের খেতে চাইলেও ওরা কিছু বলে না।"
- "তাহলে সবাই ওদের খেয়ে ফেলে না কেন?"
- "কি করে খাবে? ওরা তো ফাঁকা ঝিনুক বা শাঁখের খোলায় ঢুকে থাকে। ওটা খুব শক্ত হয়, তাই ওদের কেউ কামড়াতে পারে না।"
- "ও তাইতো, ওর জামাটা শাঁখের মত দেখতে।"
- "হ্যাঁ, জামাও বলতে পারো, বাড়িও বলতে পারো।"
- "বাবা, ও যে শাঁখটাকে জামা বানিয়ে পরে নিল, শাঁখটা কোথায় গেল?"
- "মরে গেছে। ওরা তো আর জ্যান্ত শাঁখ দিয়ে জামা বানায় না।"
- "সবাই মরে যায়?"
- "যায়।"
- "তুমিও মরে যাবে?"
- "হ্যাঁ, তবে তুমি বড় হবার পর।"
- "আমার যে খুব কষ্ট হবে। আমার সঙ্গে কে খেলবে?"
- "বললাম যে, তুমি বড় হয়ে যাবে। আমার সঙ্গে খেলার মত ছোট আর থাকবে না।"
- "তাহলে তোমার বাবা মরে যাবার পর তুমি কেঁদেছিলে কেন? তুমি তো বড়।"
- "বাহ! আমি বাবার সঙ্গে খেলতাম না তো কি হয়েছে। গল্প তো করতাম।"
- "এখন তো তুমি আমার সঙ্গে গল্প করতে পারো।"
- "হ্যাঁ, সেইজন্যই তো আর কাঁদি না।"
- "জানো বাবা, আমি আগে ভাবতাম শুধু আমারও বাবা আছে। দাদা স্টার হয়ে যাবার পর বুঝলাম তোমারও বাবা ছিল।"
- "স্টার? হতেও পারে।"
- "কি বলছ? মরে গেলে সবাই স্টার হয়ে যায় না?"
- "ওইরকম ভাবতে ভাল লাগে আর কি।"
- "মরে গেলে লোক তাহলে কোথায় যায়?"
- "আমরা সবাই জল, মাটি, বাতাস এসব দিয়ে তৈরি। তাতেই মিশে যায়।"
- "তাহলে তোমার বাবা এখনো আছে?"
- "যা দিয়ে তৈরি সেটা থেকে যাওয়া মানে যদি থাকা হয়, তাহলে আছে।"
- "তাহলে তুমি মাঝে মাঝে মন খারাপ করো কেন?"
- "যেমন আমার ভাই বিদেশে থাকে। তোমার বোন বিদেশে থাকে। আমরা জানি ওরা আছে, তবু দূরে আছে বলে মন খারাপ করি- অনেকটা সেরকম ব্যাপার।"
- "তাহলে তুমি স্টার হয়ে গেলে আমার মন খারাপ হবে না।"
- "সেকি, কেন?"
- "তুমি তো জল, মাটি, বাতাস এসব হয়ে থেকেই যাবে। আর আকাশের দিকে তাকালেই তোমাকে দেখা যাবে। ওয়েবক্যামট্যামের দরকারই হবে না।"
- "হারমিট ক্র্যাব, সন্ন্যাসী কাঁকড়া।"
- "ওরকম নাম কেন?"
- "এরা খুব নিরীহ। সাধুদের মত। কেউ ওদের খেতে চাইলেও ওরা কিছু বলে না।"
- "তাহলে সবাই ওদের খেয়ে ফেলে না কেন?"
- "কি করে খাবে? ওরা তো ফাঁকা ঝিনুক বা শাঁখের খোলায় ঢুকে থাকে। ওটা খুব শক্ত হয়, তাই ওদের কেউ কামড়াতে পারে না।"
- "ও তাইতো, ওর জামাটা শাঁখের মত দেখতে।"
- "হ্যাঁ, জামাও বলতে পারো, বাড়িও বলতে পারো।"
- "বাবা, ও যে শাঁখটাকে জামা বানিয়ে পরে নিল, শাঁখটা কোথায় গেল?"
- "মরে গেছে। ওরা তো আর জ্যান্ত শাঁখ দিয়ে জামা বানায় না।"
- "সবাই মরে যায়?"
- "যায়।"
- "তুমিও মরে যাবে?"
- "হ্যাঁ, তবে তুমি বড় হবার পর।"
- "আমার যে খুব কষ্ট হবে। আমার সঙ্গে কে খেলবে?"
- "বললাম যে, তুমি বড় হয়ে যাবে। আমার সঙ্গে খেলার মত ছোট আর থাকবে না।"
- "তাহলে তোমার বাবা মরে যাবার পর তুমি কেঁদেছিলে কেন? তুমি তো বড়।"
- "বাহ! আমি বাবার সঙ্গে খেলতাম না তো কি হয়েছে। গল্প তো করতাম।"
- "এখন তো তুমি আমার সঙ্গে গল্প করতে পারো।"
- "হ্যাঁ, সেইজন্যই তো আর কাঁদি না।"
- "জানো বাবা, আমি আগে ভাবতাম শুধু আমারও বাবা আছে। দাদা স্টার হয়ে যাবার পর বুঝলাম তোমারও বাবা ছিল।"
- "স্টার? হতেও পারে।"
- "কি বলছ? মরে গেলে সবাই স্টার হয়ে যায় না?"
- "ওইরকম ভাবতে ভাল লাগে আর কি।"
- "মরে গেলে লোক তাহলে কোথায় যায়?"
- "আমরা সবাই জল, মাটি, বাতাস এসব দিয়ে তৈরি। তাতেই মিশে যায়।"
- "তাহলে তোমার বাবা এখনো আছে?"
- "যা দিয়ে তৈরি সেটা থেকে যাওয়া মানে যদি থাকা হয়, তাহলে আছে।"
- "তাহলে তুমি মাঝে মাঝে মন খারাপ করো কেন?"
- "যেমন আমার ভাই বিদেশে থাকে। তোমার বোন বিদেশে থাকে। আমরা জানি ওরা আছে, তবু দূরে আছে বলে মন খারাপ করি- অনেকটা সেরকম ব্যাপার।"
- "তাহলে তুমি স্টার হয়ে গেলে আমার মন খারাপ হবে না।"
- "সেকি, কেন?"
- "তুমি তো জল, মাটি, বাতাস এসব হয়ে থেকেই যাবে। আর আকাশের দিকে তাকালেই তোমাকে দেখা যাবে। ওয়েবক্যামট্যামের দরকারই হবে না।"
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন