জ্ঞানেশ্বরীতে মাওবাদী গণহত্যার দায় সিপিএম এর ঘাড়ে চাপিয়ে মমতা চাটুকার বুদ্ধিজীবিরা বলেছিলেন এতে লাভ হচ্ছে সিপিএম এর। তাই ওই ঘটনার পিছনে সিপিএমই আছে। পরে সিবিআই তৃণমুল ঘনিষ্ট জনসাধারনের কমিটিকেই দায়ী করে। ফলে মমতা বিষয়টি নীরবতার রাজনীতিই করছেন এখন। এখন স্বপন কোলে হত্যার পর টিএমসি বলছে বাংলায় এতখুনোখুনি প্রশাসনের ব্যর্থতা। সুতরাং সিপিএম এর পদত্যাগ করা উচিত। তাহলে খুনোখুনিটা রাজনৈতিক ভাবে টিএমসির পক্ষেই লাভজনক হয়েযাচ্ছে। আর একারনেই বাংলায় পরিকল্পিত ভাবে খুনের রাজনীতি করছে টিএমসি? প্রশ্নটা উঠছে।
এর পিছনে কিকি লাভ দেখছে টিএমসি?
এক্ষেত্রে সিপিএম এর ব্যাপক সংখক মানুষকে খুন করে প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় সিপিএম এর ঘাড়েও চাপান যাবে। দ্বিতীয়ত যারা অ্যাকটিভ কর্মী তাদের খুনের দায়িত্ব মাওবাদীরা যে সকল অঞ্চলে নেয়নি সেখানে সরাসরি খুন করবে টিএমসি। এর ফলে সিপিএম এর অ্যকটিভ কর্মীর সংখ্যা কমবে যাতে সিপিএম এর সংগঠন দূর্বল হবে। তৃতীয়ত এর ফলে বহু সিপিএম কর্মী বিধানসভা ভোটের আগে ভয়ে কাজ করবে না।
কিন্তু টিএমসির সমস্যা অন্য জায়গায়-- তাহল নিজের দলের দুএকটা না মরলে গোটা জিনিষটার বিশ্বাস যোগ্যতা থাকেনা। কিন্তু টিএমসি কর্মীরা মরছে খুব কম। সিপিএম হত্যার রাজনীতিতে গিয়ে দেখেছে লাভ নেই। কারন এতে টিএমসি বা মাওদের সঙ্গে পারা যাবেনা। সেক্ষেত্রে মাওবাদী বা ঝাড়খন্ড পার্টির বা জনসাধারনের কমিটির কেউ মারা গেলে তাকেই নিজের শহীদ হিসাবে না তুলে ধরে টিএমসির কোন উপায় নেই।আসলে জনসাধারনের কমিটি বা মাওবাদীরা অনেকেই প্রত্যক্ষ ভাবে বা পরোক্ষ ভাবে তৃণমুলের কর্মী। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া রেখে যে কোন মাওবাদী মারাগেলেই তাকে নিয়ে রাজনীতি করে জনমত পাশে আনা যাবে। তাই দেখা গেল জনসাধারনের কমিটির কেউ মারা যেতেই তাকে মেদনিপুর থেকে আমদানি করে কোলকাতায় নিয়ে এসে মিছিল করলো তৃণমুল। ঠিক স্বপন হত্যার পরের দিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন