সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০১০

লেখা আমার মা.... ~ জয়দেব বসু

লেখা আমার মা,
আমায় ছেড়ে যেন তুমি কোথাও যেও না ....

এই যে এত আলস্য আর নিজেকে এত ঘৃণা
ঘোষিত নির্বিবেক থেকে অমানদক্ষিণা,
এ-সব থেকে নিষ্ক্রমণের তেমন কোনো ভূমি
থাকলে পরে সেই মাটিতে পৌঁছে দিও তুমি।
লেখা আমার মা,
আঁচল দিয়ে আগলে রেখো, কোথাও যেও না।

বাতাস যদি নিজেকে দেয় বীজন
গন্ধ যদি নিজের ঘ্রাণে আকুল,
পানীয় যদি নিজেকে পান করে
জীবন তবে নিজের সমতুল।
লেখা কি তবে নিজেকে লিখে যায়,
মা কি আমি ....আমিই তবে মা?
আমায় ছেড়ে যেন আমি কোথাও যাই না ।

রবিবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১০

প্রতিরোধের গান ~ অনামিকা

কথা মিশুক সুরে, বাঁচার আশ্বাস থাক গানে,
তিন পৃথিবী আটকে থাকুক ভালবাসার টানে।
পাহাড় নদী ধানের ক্ষেতে সবুজ ঘাসে ঘাসে
চাইছে মানুষ এই ছবিটাই, অজস্র ক্যানভাসে!



হিংসুটে কেউ সেই ছবিতে যখন ঢালে কালি,
মানুষখুনের উসকানিতে ছেটায় গালাগালি,
প্রত্যেকদিন একটা দু'টো তীব্র মৃতদেহ
চিনিয়ে দেয় হিংস্রতাকে, থাকেনা সন্দেহ,
ছদ্মবেশী মানুষখেকো লুকিয়ে রেখে নখ,
বুদ্ধিবিবেক পুঁজির কাছে রেখেছে বন্ধক!




রেলগাড়ীতে মালিক পাঠায় মাসিক মাসোহারা
সন্ত্রাসে দিনরাত্রি জাগে তোমার আমার পাড়া!


দারুণ ব্যথায় ঝলসে ওঠে যুক্তি এবং ক্রোধ
ভয় সরিয়ে জন্ম নিচ্ছে তীব্র প্রতিরোধ।
পুড়ছে মুখোশ, পয়সাখাওয়া খুনী নাটকবাজি।
রক্তমাখা বাংলা এবার শুদ্ধ হতে রাজী ...

বুধবার, ২০ অক্টোবর, ২০১০

গো ~ প্রদীপ দাশগুপ্ত

নাকের ওপরে হঠাৎ ঠেকে গেলে
ব্যাঘাত ঘটতে পারে নিশ্বাস-প্রশ্বাসে -
তাই যেন, অতি সন্তর্পনে
বুকের কাছ থেকে চাদরটা একটু তুলে -
আলতো করে টেনে মুখটা ঢেকে -
স্টেথোশুদ্ধ মুন্ডুটা উল্টোদিকে ঘুরে -
চলে গেল। সামনে পাথরের চোখে
বাবা-মা শুধু ফ্যাল-ফ্যাল।

'তোমরা এমন শোক পেও' -
উচ্চারিত হ'লনা তবুও -
মুনি-ঋষি নয় তাই - !
ভুমিহীন ক্ষেত-মজুর।

সামন্ত-মরণ-কামড়।
সন্ত্রাস, জঙ্গল-মহল।
সুর্য-ডোবার দিক থেকে
পৃষ্ঠপোষণা। ওবামা-বুশ-ওয়াশিংটন,
'প্রোজেক্ট ফর নিউ আমেরিকান সেঞ্চুরি'!

পরদিন -
'শহীদ-স্মরণে আপন ----'
আর কী কী সব বলে বলে
হাঁটলো - কয়েক-জোড়া পা -
চলি কাঁধে। তারপর?

তারপর থেকে পৃথিবী চলে আসছে,
যেমন আসছিল আগে থেকেই।

শুধু, আর কিছু মুঠি ও চোয়াল
আরো একটু শক্ত হলো।

'মাইলস টু গো' ।।