সোমবার, ৩১ আগস্ট, ২০১৫

খাদ্য আন্দলন ~ শতদ্রু দাস


"মা! একটু ফ্যান দিবি?"
মানিক, সন্দীপন বা কমলকুমার প্রভৃতি সাহিত্যিকের লেখায়, গায় কাঁটা দেওয়া এই আর্ত চিতকার অনেকে শুনেছেন। গ্রামে খাবার না পেয়ে, ক্ষুদার্ত মানুষের ভিড় ৫-এর দশকে আকছার দেখা যেতো কলকাতায়। তাঁরা হাতে এলুমিনিয়ামের পাত্র নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরতেন ভাতের ফ্যান (মাড়) চেয়ে। আমি বাংলা সাহিত্যে পড়বার অনেক আগেই বাবার কাছে এই গল্প শুনেছিলাম। কিন্তু সেই মানুষ শুধু ভিক্ষে করেনি, মরতে মরতেও খাদ্যের দাবিতে এক ঐতিহাসিক লড়াই করে গেছিলেন যাকে আমরা বলি "খাদ্য আন্দোলন।"

শনিবার, ২৯ আগস্ট, ২০১৫

হীরক রানী

রাজা = ব্যারিকেড ভাঙলো কেন! কোথায় ছিলো প্যায়াদাদের চোখ!
রক্ষামন্ত্রী = মহারাজ বুঝতে পারিনি সমাবেত হবে এতো লোক।
রাজা = তবে কি প্যায়াদা ছিলো না যথেষ্ট!
রক্ষামন্ত্রী = আজ্ঞে প্যায়াদারা লাঠি হাতে ছিলো সর্বদা সচেষ্ট।
রাজা = মিছিলের কন্ঠ স্তব্ধ করাই প্যায়াদাদের একমাত্র কাজ।
রক্ষামন্ত্রী = মহারাজ টেবিলের নিচে, ফাইলের তলে লুকায় নি কেউ আজ।
রাজা = নিরীহ লোকেদের উপর লাঠি চালানো মোটেই নয় দৃষ্টি কটু।
রক্ষামন্ত্রী = আজ্ঞে সে কাজে প্যায়াদারা যথেষ্ট পটু।

শুক্রবার, ২৮ আগস্ট, ২০১৫

নবান্ন ~ অনির্বাণ মাইতি

তারপর সেলিম যাহা করিলেন তাহা কহতব্য নহে, ইতিহাসের স্বর্নাক্ষরে সে বীরত্বের কাহিনী লিপিবদ্ধ থাকিবে। এক পকটে থান ইট ও ওপর পকটে পরমানু বোমা লইয়া (ইহা শঙ্কু নির্মিত, নাকি কালাম নির্মিত সে বিষয়ে নিশ্চিত কেহ নহে) পুলিশের পশ্চাতে ধাবমান হইলেন । পাঠককে স্মরণ করাইয়া দিবার প্রয়োজন নাই আমাদিগের পুলিশ সচরাচর এই ধরনের আক্রমণের ক্ষেত্রে টেবিলের তলদেশ অথবা ফাইলের আড়ালকে বাছিয়া লয়। কিন্তু পথমধ্যে টেবিল অথবা ফাইল অপ্রতুল থাকিবার হেতু তাহারা পলায়নকেই শ্রেয় মনে করিয়া, এস এস কে এম অবধি তীব্রগতিতে ধাবমান হইলেন এবং সেইখানে পৌছোনমাত্রেই সরকারী চিকিৎসক গন তাহাদিগকে ভর্তি করিয়া লইলেন। দীর্ঘ পথ ধাবিত হওয়ায় অনেকেই অসুস্থ বোধ করিতেছিলেন কিনা তাই।

মঙ্গলবার, ১১ আগস্ট, ২০১৫

ক্ষুদিরামের ফাঁসি ~ আশুতোষ ভট্টাচার্য়্য

​১৯০৮ সালে আজকের দিনে ফাঁসি হয় ক্ষুদিরামের।কতই বা বয়স তখন, এমন অনেকের প্রাণদান,আত্মত্যাগের মধ্যে দিয়ে আমরা স্বাধীনতা পেলাম ১৯৪৭ সালে। তারপর থেকে তো লুণ্ঠন চলছে দেশের সম্পদ, সংস্কৃতি, কৃষ্টি সবকিছুর। তবে স্বাধীনতা দিবস আমরা খুব ধুমধাম করে পালন করি, সকালে পতাকা উত্তোলন, পাড়ার কাউন্সিলর ভাষণ দেন, টফি বিলি করা হয়, দুপুরে মাংস ভাত, বিকেলে বিগবাজার ব্যাপক সেল দেয়, আর রাতে পিকনিক, বক্স বাজিয়ে, সাথে নাচ। সকালে অবশ্য মাইকে একবার বিদায় দে মা, সারে জাহাসে আচ্ছা বাজাই...

আজকে রাতে দেখবে একটা মজারু ~ পরিচয় পাত্র

​বাদুড় বলে, ওরে ও ভাই সজারু
আজকে রাতে দেখবে একটা মজারু।
আজকে হেথায় রামদা হাতে পেঁচারা
আসবে সবাই, মরবে ব্লগার বেচারা।
কাঁপবে ভয়ে বাঙালি সব ব্যাঙাচি,
ঘামতে ঘামতে ফুটবে তাদের ঘামাচি,
ছুটবে জঙ্গি লাগবে দাঁতে কপাটি
দেখবে তখন মস্ত ঢ্যাঙা চাপাতি।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় ও ছাত্র রাজনীতি ~ অনিমেষ বৈদ্য

এক বন্ধুর বাবার মৃত্যু হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে শোক সভা। সদ্য প্রয়াত কাকু ছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। অবসর নিয়েছেন কিছু বছর আগেই। যাই হোক সেই শোক সভা উপলক্ষ্যে বর্ধমান যাওয়া।
এই সেই বর্ধমান। এই সেই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়। হঠাৎ করে বর্ধমান এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়কে আলাদা করে মনে করিয়ে দেওয়ার কী প্রয়োজন? প্রয়োজন আছে। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থার ছবিটাকে বোঝার জন্যই প্রয়োজন আছে।

সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০১৫

ঈশ্বর ~ অনির্বান মাইতি


একটা ঈশ্বর থাকা না খুব জরুরি জানেন ? মানে ধরুন আমি যে কথাগুলো বলতে চাইছি লোকে সেগুলো বুঝতে চাইছে না, আমি যদি টুক করে আমার লেখার নিচে একটা ঈশ্বরের নাম লিখে দেই তা হলেই বেশ একটা জনসমর্থন জুটে যাবে। ধরুন আমি লিখলাম
ধর্মের বেশে মোহ যারে এসে ধরে
অন্ধ সে জন মারে আর শুধু মরে ।
নাস্তিক সেও পায় বিধাতার বর ,
ধার্মিকতার করে না আড়ম্বর ।
শ্রদ্ধা করিয়া জ্বালে বুদ্ধির আলো ,