"ডিজিটাল
ইন্ডিয়া" নিয়ে ফেসবুক সরগরম। অনেকেই ফেসবুক কর্তা জুকারবার্গের দেখাদেখি
নিজেদের প্রফাইল পিকচারে তেরঙ্গা লাগিয়েছেন এই প্রকল্পের সমর্থনে। আবার অনেকে এর
বিরুদ্ধে প্রতিবাদস্বরূপ অভুক্ত শিশু বা আত্মঘাতী কৃষকের ছবি লাগিয়েছেন তাঁদের
প্রফাইলে। প্রথমেই বলে নি যে আমি মনে করি না যে দেশে অভুক্ত শিশু রয়েছে বলে
ইন্টারনেটের প্রয়োজন নেই। ইন্টারনেটের মাধ্যমে, ফেসবুকে বসে, যখন অভুক্ত শিশুদের কথা বলছি তখন স্বীকার করে
নেওয়ার সৎ সাহস থাকা উচিত যে ইন্টারনেট একটা প্রয়োজনীয় জিনিস। ইন্টারনেট মানুষকে
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে, মানুষের মধ্যে
যোগাযোগ বাড়িয়েছে বহু গুন। গত ৫০ বছরের শ্রেষ্ঠ সৃষ্ঠি হলো ইন্টারনেট। যে যুক্তিতে
লোকে বলে যে লক্ষ লক্ষ অভুক্ত শিশু যেখানে রয়েছে সেখানে "ডিজিটাল
ইন্ডিয়া"-র কি প্রয়োজন তারা ভেবে দেখবেন যে একই যুক্তিতে কেউ বলতে পারে যে
যদ্দিন না সবাই খেতে পরতে পাচ্ছে তদ্দিন শিক্ষা দীক্ষার কি প্রয়োজন। ইন্টারনেটের
অধিকার শিক্ষার অধিকারের মতোই একটা মৌলিক দাবি হওয়া উচিত আমার মতে। হ্যা এটা হতে
পারে যে অনেকেই অভুক্ত শিশুদের ছবি লাগাচ্ছেন এটা মনে করিয়ে দিতে যে ভারতবর্ষের
মানে সিলিকন উপত্যকায় বসবাসকারী প্রযুক্তি তারকারা নয় ভারতবর্ষ মানে হলো অপুষ্টিতে
ভোগা শিশু, নিরক্ষর নারী এবং
ঋণগ্রস্ত কৃষক। তাদের সাথে আমি একমত, সরকারের হাবভাব দেখে মনে হয় আজকাল যে সেটা তারা ভুলেই গেছে। এটা মনে করিয়ে
দেওয়া দরকার কিন্তু "ডিজিটাল ইন্ডিয়া"-র বিরোধিতা অভুক্ত শিশুদের জন্যে
করবো না। তাহলে ডিজিটাল ইন্ডিয়া নিয়ে কোনো সমস্যা নেই, তাকে সকলেরই সমর্থন করা উচিত?
বুধবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
হাড়হিম হিমবাহ - সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়
আমার খুব ইচ্ছে, জীবৎকালে একটিবার, লালমোহনবাবুর মত একখানা রহস্য-রোমাঞ্চ
উপন্যাস লিখব। পারব না ভাবছেন? আরে
দাদা, এই যে দর্জিপাড়া লেনের সেদিনের ছোকরা গিরিশ চাকলাদার। সে কিনা নিশাচর নাম নিয়ে ক্যাপটেন স্পার্ক আর র্যাক্সিট
সমেত রহস্য রোমাঞ্চ উপন্যাস নামিয়ে দিতে পারল। আর আপনি আমার
উচ্চাশা শুনে ......? নাহয় আমার এডিশনও “তিন মাসেও কিস্যু হবেনা”। তবে খটকা অবিশ্যি
একটা আছেই। ভাবছেন ফেলুদা থাকতে
হঠাৎ জটায়ু কেন? একটু ভেবে দেখুন দিকি। এই অধমের দ্বারা ফেলুদা হওয়া কি কখনো সম্ভব?
মগজাস্ত্র অনেক দুরের কথা, শিশুকাল থেকে আমার মগজের উপস্থিতি নিয়েই অসংখ্যবার অসংখ্য মানুষ সন্দেহ
প্রকাশ করেছেন। ফেলুদা তো কোন ছার, তোপসের তুলনায়ও আমি নেহাতই পানসে। কিন্তু লালমোহন
গাঙ্গুলির সঙ্গে এই চাটুজ্যের অনেক মিল। কু-লোকে বলে আমি নাকি কিঞ্চিত লাল, আবার এদিকে
আমি মোহন(বাগান) ও বটে। যদিও উটে চড়ে আরব বেদুইন হবার কথা ভাবলে
রোমাঞ্চের বদলে তলপেটটা কেমন জানি ......। কিন্তু ইংরিজি বলুন, সাধারন জ্ঞান বলুন (নর্থপোলে
সিন্ধুঘোটক, বা উটের পাকস্থলি), গরম কচুরি প্রেম বলুন, এই সব ব্যাপারে জটায়ুর
সঙ্গে আমার যাহারপরনাই মিল রয়েছে।
শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
"violent" ছবি ~ পুরন্দর ভাট
পিজার বিজ্ঞাপনের পাশে পথশিশুর যে ছবিটি আমার দেওয়ালে পোস্ট করেছিলাম সেটা অনেকেই দেখেছেন, ছবিটি দের হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। আজকে দেখছি কেউ একজন এটা ফেসবুকে রিপোর্ট করেছে "violent" বলে এবং এখন ছবিটি ফেসবুকের বিবেচনাধীন, তারা যদি মনে করে যে ছবিটি ফেসবুকে থাকার যোগ্য না সেটা তারা মুছে দেবেন।
পিজার বিজ্ঞাপনের পাশে পথশিশুর যে ছবিটি আমার দেওয়ালে পোস্ট করেছিলাম সেটা অনেকেই দেখেছেন, ছবিটি দের হাজারের বেশি শেয়ার হয়েছে। আজকে দেখছি কেউ একজন এটা ফেসবুকে রিপোর্ট করেছে "violent" বলে এবং এখন ছবিটি ফেসবুকের বিবেচনাধীন, তারা যদি মনে করে যে ছবিটি ফেসবুকে থাকার যোগ্য না সেটা তারা মুছে দেবেন।
মঙ্গলবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
সখী নীর ভরন ক্যায়সে যাউঁ ? - সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়
সখী নীর ভরন ক্যায়সে যাউঁ ?
সখীরি মোরি ডগর চলত মোসে করতহর
চঞ্চল চপল নটখট
মানতি নেহি কউ কি বাত
বিনতি করত ম্যাঁয় তো গেয়ি রে হার
সখী নীর ভরন ক্যায়সে যাউঁ?
সখীরি মোরি ডগর চলত মোসে করতহর
চঞ্চল চপল নটখট
মানতি নেহি কউ কি বাত
বিনতি করত ম্যাঁয় তো গেয়ি রে হার
সখী নীর ভরন ক্যায়সে যাউঁ?
সোমবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
শিক্ষক দিবস ~ স্বাতী ব্যানার্জী
সকাল থেকে শুধু শুভেচ্ছা স্তুতি আর ভালোবাসায় ভেসে যাচ্ছে হৃদি অলকনন্দা জলে ..... আলবাত ভালো লাগে.... শিক্ষক দিবস..... আমাদের জন্য .......সুমনের গানের মতো .....শুধু আমাদের জন্য ...... তবুও কিছু ভিন্ন খন্ডদৃশ্য গড়ে তোলে আমার শিক্ষক দিবস.... অন্য রকম....
শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
বেসিক্যালি আমি 'অ্যাপোলিটিকাল' ~ সুশোভন পাত্র
বেসিক্যালি আমি 'অ্যাপোলিটিকাল'। মোটা দাগে 'অরাজনৈতিক'। শ্রী শ্রী বব মার্লে আমার গুরু আর শাকিরা আমার রাধে মা। আমার বাথরুমের পাশে ষ্টার-জলসা। জীবন মানেই জি-বাংলা। আমি গাছেরও খাই, তলারও কুড়োই। ডালে-ঝোলে-অম্বলে সবেতেই আমি আছি। আদা আর কাঁচকলা দুটোই আমার সমান পছন্দের। আমি সাপের মাথায় চুমু খাই, নেউলের গায়েও হাত বোলাই। চায়ের দোকানে দেশ-দুনিয়ার খবর শুনে, জীবন ও জীবিকার সমস্ত সমস্যার দায়, সিস্টেমের উপর চাপিয়ে, পিছনে দুটো ইংলিশ গুঁজে, চায়ের কাপে ঝড় তুলে, একমুখ ধোঁয়া ছেড়ে বলি "ডার্টি পলিটিক্স। দিস হোল ব্লাডি সিস্টেম ইস ক্র্যাপ।"... উফ কি শান্তি যে পাই! ঐ যে বললাম, বেসিক্যালি আমি 'অ্যাপোলিটিকাল'।
শিক্ষক দিবস ~ আশুতোষ ভট্টাচার্য্য
বলতো দেখি সরস্বতী বানান
ব্যাসবাক্য সমাস বীণাপানি
পানিপথের যুদ্ধ কত সালে
পলাশী,ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি?
হ্ব্র্স ই না দীর্ঘ ঈ কার হবে?
কোন স হবে আন্দাজে ঢিল ছুড়ি
সন্ধি সমাস কারক বিভক্তি তে
আমার মাথায় শুধুই লাটাই ঘুড়ি….
মলিন পোশাক পায়জামা পাঞ্জাবি
সিঁড়িভাঙ্গা বোঝান হাজার বার
ভালোবাসা আদর বেত্রাঘাতে
ব্যাসবাক্য সমাস বীণাপানি
পানিপথের যুদ্ধ কত সালে
পলাশী,ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি?
হ্ব্র্স ই না দীর্ঘ ঈ কার হবে?
কোন স হবে আন্দাজে ঢিল ছুড়ি
সন্ধি সমাস কারক বিভক্তি তে
আমার মাথায় শুধুই লাটাই ঘুড়ি….
মলিন পোশাক পায়জামা পাঞ্জাবি
সিঁড়িভাঙ্গা বোঝান হাজার বার
ভালোবাসা আদর বেত্রাঘাতে
শুক্রবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
বিষয় - আয়ালান কুর্দি ~ জাগরী ব্যানার্জী
" সমুদ্রে ফিরিয়ে দিলে !!!! ওহে আফলাতুন !"
কহিলেন ইমাম গাজ্জালী ।
"পাঠালাম মাতৃ হস্তে নিরাপদ তোমাদের দেশে !
দর্শনে , পঠনপাঠনে , গুরুকুলে ক্যাফেটেরিয়ায় ,
মহা তর্কে বহুদিন যাপন করিবে এই আশে ! বড়ো হয়ে উঠতে সেখানে ।
পাঠালাম তিন বর্ষীয় যে বালক !
ওহে আফলাতুন! সমুদ্রে ফিরিয়ে দিলে !!
দেখ দিকি কত যত্ন করে , কিনে দিনু লাল রঙা জামা
দেখ দিকি অভিমান ভরা পিঠ , ফিরে শুয়ে আছে আনমনা ।
কহিলেন ইমাম গাজ্জালী ।
"পাঠালাম মাতৃ হস্তে নিরাপদ তোমাদের দেশে !
দর্শনে , পঠনপাঠনে , গুরুকুলে ক্যাফেটেরিয়ায় ,
মহা তর্কে বহুদিন যাপন করিবে এই আশে ! বড়ো হয়ে উঠতে সেখানে ।
পাঠালাম তিন বর্ষীয় যে বালক !
ওহে আফলাতুন! সমুদ্রে ফিরিয়ে দিলে !!
দেখ দিকি কত যত্ন করে , কিনে দিনু লাল রঙা জামা
দেখ দিকি অভিমান ভরা পিঠ , ফিরে শুয়ে আছে আনমনা ।
বুধবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৫
বন্ধ ~ পুরনদর ভাট
বন্ধ নিয়ে ন্যাকাচোদা মধ্যবিত্বের নাকি কান্না চলছে।
খিস্তি মারলাম বলে খারাপ লাগলো? শাট শাট! কি করবো বলুন, সারা বছর একবারের জন্যেও যারা মজুর, কৃষকদের কথা বলে না তাদের হঠাত করে বন্ধের দিনে শ্রমিক কৃষকদের কি হবে বলে নাকি কান্না দেখে খিস্তি ছাড়া কিছুই আসছে না। শালা একের পর এক কারখানায় তালা ঝুলে যাচ্ছে, চা বাগানে না খেয়ে লোকজন টপাটপ মরে যাচ্ছে, সারা বছর তা নিয়ে রা কাড়া নেই, বন্ধ হলেই "কর্মনাশা" বলে ঢ্যামনামো। এমন হাবভাব যেনো বাকি ৩৬৪ দিন একেবারে কাজ করে ফাটিয়ে দিচ্ছে আর মাইনের টাকা পেলেই তা নিয়ে দৌড়ে যাচ্ছে গরিবের সেবা করতে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)