শনিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আমার নায়ক ~ ডাঃ অরুণাচল দত্ত চৌধুরী


আমার নায়ক 
অথবা 
সোনার গৌরাঙ্গ চলে যায়

ইংরেজি সন ১৯৭৩। মেডিকেল কলেজে পা রাখলাম। তার আগে প্রি-মেডিকেল নামের অর্থহীন একবছরে আমার মাথা চিবোনোর প্রাথমিক কাজটি করেছে, সহপাঠী অমিতাভ।

কলেজে এসে আলাপ হল বড়দের সঙ্গে। পাঁচ ছ' বছরের বড় গৌরাঙ্গ দা'র সঙ্গেও। এ ছাড়া অমিতদা'(পান), আরও কতজন। কী ব্যাপার? কেন আলাপ? না, এরা সবাই এসএফআই করে। মেডিকেল কলেজের ছাত্র রাজনীতিতে তখন পতপত করে উড়ছে ছাত্র-পরিষদের পতাকা।

কেন সেই সিদ্ধার্থ-রাজ চলার সময় বিরোধী রাজনীতির মধ্যে ঢুকেছিলাম? অন্তত আমার নিজের কাছে তার একটা গোপন (অপ)ব্যাখ্যা আছে। গ্রামের ছেলে। এক কলকাতার মধ্যে নানান কলকাতাকে অনুভব করি। ঝাঁ চকচকে কলকাতার রকমসকম বুঝি না। মেডিকেল কলেজেও সহপাঠীদের মধ্যে স্পষ্ট স্তরবিন্যাস। একদল এসেছে আমার মতন গ্রাম থেকে বা খুব বেশি হলে কলকাতার বাংলা মাধ্যম স্কুল থেকে। আর এক দল সাউথ পয়েন্ট, লা মার্টিনিয়ার, লরেটো, হোলি চাইল্ড। আর সেই সতেরো আঠারো বছর বয়সে রক্তে প্রকৃতি ঢালছে বিষাক্ত হরমোন স্রোত। ওজন সাতচল্লিশ কিলো, উচ্চতা পাঁচ ফুট সাড়ে চার, মুখাবয়ব আর গাত্রবর্ণ...  ইয়ে। সেই বালকের মনেও দুরাশা, সবার বিশেষ করে সহপাঠিনীদের চোখে পরার তীব্র বাসনা। বিরোধী রাজনীতির হাত ধরলেই সম্ভব তা'। এই রকম ভেবেছিল সেই গ্রাম্য কিশোর অথবা সদ্য যুবক। 

গৌরাঙ্গ দা' তখন আমাদের, মানে সেই সরকার-বিরোধী ছাত্রদের পাণ্ডা। খুব যে হইচই করত, হল্লাবাজি করত, তা' মোটেই না।  সে'সব বরং করত অমিত দা'রা। গৌরাঙ্গদা' করত সংগঠনটা। বুঝতোও। লম্বা একহারা চেহারা। তীক্ষ্ণনাসা। গৌর বর্ণ। চাইলে হতেই পারত মেডিকেল নন্দিনীদের হার্টথ্রব। 

গৌরাঙ্গ দা'র পরিবার, যতদূর খেয়াল পড়ে, তখন কালনার বাড়ি থেকে বিতাড়িত। সেই বাহাত্তর সালের পর পশ্চিমবাংলার অনেক জায়গায়ই পরিস্থিতি ও'রকম। গৌরাঙ্গ দা' হোস্টেলে থাকত কি, কোনও সময়? সম্ভবত না। আমি যখন থেকে দাদাকে পেয়েছি, তখন ও থাকত পিআরসি(পিপলস রিলিফ কমিটি)র একটা আখরা ছিল বৌবাজার স্ট্রিটে, সেখানে। ফিরিঙ্গি কালিবাড়ির চারতলায়। সেখানে একটা খুপরি মতন জায়গায় থাকত সে।


নিজের ভরণপোষণ নিজেই করত। অ্যানাটমির উজ্জ্বল ছাত্র সে। তখনই কলকাতার তিনটে না চারটে হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজের শিক্ষক।

সেই সঙ্গে সে ছিল আমাদেরও শিক্ষক। নানান চটি বই কিনতাম আমরা। আজ্ঞে না, ইন্টারনেট দুনিয়ায় চটি বই সার্চ দিলে যে সব বইয়ের খোঁজ পাওয়া যায়,  তার মত কিছু নয়। সেই সব পাতলা বইয়ের নাম ছিল, মার্কসবাদ জানতে হলে, সমাজতন্ত্রের অ আ ক খ, ম্যানিফেস্টো, জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব ও সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব। এইসব পাতলা পাতলা প্রায় দুর্বোধ্য(আমার কাছে) বইয়ের মিল ছিল এক জায়গায়। বিশাল বিশাল বাক্য। এ'পাতার প্রথমে শুরু হয়ে ও'পাতার শেষে গিয়ে দাঁড়ি। মধ্যে অজস্র কমা, সেমিকোলন, কিন্তু, যেহেতু, সুতরাং, অতএব, এবং। আমি কোনও বাক্যই পড়ে শেষ করতে পারতাম না। কিম্বা পারলেও শেষ অবধি তালগোল পাকিয়ে ফেলতাম। সেই সব বই লাইন ধরে ধরে বোঝাত গৌরাঙ্গ দা'।

বাংলা আলোচনার মধ্যে আমাদের জমায়েতকে স্তম্ভিত করে দিয়ে মাঝে মধ্যে অ্যানাটমির গুগলি ছুঁড়ত, মার্ক্স লেনিন ও দেশীয় পরিস্থিতিকে সাক্ষী রেখে। আমি তো চিরকালের ফাঁকিবাজ। অ্যানাটমিই বলুন কিম্বা, মার্ক্স লেনিন আধা ফ্যাসিস্ট দেশীয় অবস্থা, সব কিছুকে ডোন্ট কেয়ার ভাব দেখিয়ে ঝিমোতাম দেয়ালে হেলান দিয়ে। সন্দেহ হয়, আমি কি সত্যিই ওইসব তত্ত্বের ভুজুংভাজুং শুনতে যেতাম, নাকি একসঙ্গে থাকার উত্তেজনা আর পার্টি ক্লাসের শেষে যে সামান্য মুড়ি-বাদাম(মোটেই রোজ না,কোনও কোনও দিন) তার লোভে!

যে ব্যাপারটা গৌরাঙ্গদা'র খুব অধিগত ছিল তা হল সাংগঠনিক চর্চাটা। সত্যি কথা বলতে মেডিকেল ফ্রন্টে এসএফআই তথা পার্টিকে দাঁড় করাতে ওই একা মানুষটির মত তৎপর অন্য কেউ ছিল না। প্রতিভাবান, উজ্জ্বল তারারা নাম করতে চাই না, টুপটাপ করে একে একে খসে পড়ল ঐতিহাসিক ভুল না করে। শুধু গৌরাঙ্গদা' ফিরে গেল তার ছেড়ে আসা কালনায়। ফিরে গেল নিজের ইচ্ছায় কিছুটা। বাকি সত্যিটুকু হল, পাছে সে সত্যিই সংগঠন মজবুত করে ফেলে ক্ষমতাশালী কারওর এই আশঙ্কায়। 

সত্যি কথা বলতে কী, ডাক্তারি ছাত্র যারা পরে ডাক্তার হবে তারা তো মধ্যবিত্ত, বেজায় রকমের মধ্যবিত্ত। তারা বয়স যত এগোয়, একটু একটু করে 'খারাপ' থাকতে শুরু করে। 

মধ্যবিত্তের সেই খারাপ থাকার কারণটা ভারি অদ্ভুত। 'আমি কেন কষ্টে আছি' এই ভেবে মধ্যবিত্ত খারাপ থাকে না। তার খারাপ থাকার এক এবং একমাত্র কারণ হচ্ছে, 'ও কেন আমার চেয়ে ভালো আছে?' নতুন নতুনতর ডিগ্রির লেজ, বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্য্যাট, বিদেশ ভ্রমণ আর নাম-যশ এই সমস্ত সপ্তরথী সেই যুবক অভিমন্যুকে ঘিরে ধরে। তার অবয়বটা দেখতে একই রকম থাকে কিন্তু ভেতরটা মরে যায়। 

গৌরাঙ্গদা' কালনায় যখন ফিরে গেল, শুনতে অবাক লাগে, সে' তখন সার্জারির ডিগ্রি  এমএস পড়ার মধ্যপথে। তার বাকি সঙ্গীরা তখন উচ্চতর ডিগ্রি ও ঔজ্জ্বল্যের খোঁজে স্বদেশ ও বিদেশ ছানবিন করে ফেলছে। আজ প্রায় সবাইই সেই অর্থে 'সফল'। গৌরাঙ্গদা'ই শুধু আতি লোকের পাতি ভাষায়, চিরকাল সেই 'পাতি এমবিবিএস'ই থেকে গেল আজীবন।

পার্টি করা ডাক্তার গৌরাঙ্গদা' কি পার্টিতেও সাফল্য পেয়েছিল? নাঃ, চতুর মানুষেরা এই বুদ্ধিমান মানুষটিকে সে'খানেও ওপরে উঠতে দেয়নি। বহু কথিত ও চর্চিত চৌত্রিশ বছরে 'বাগিয়ে নেওয়া' বলতে যা বোঝায় আমার এই দাদাটি সেই রাস্তায় হাঁটেইনি।

গৌরাঙ্গদা' কালনায় আজ থেকে চল্লিশ বছর আগে প্র‍্যাকটিস শুরু করল। ফি? পাঁচটাকা। তা'ও যারা দিতে পারে তাদের জন্য। তখনকার দিনেও পাঁচটাকা বেশি ছিল না। কিন্তু গৌরাঙ্গদা'ও তো মধ্যবিত্তই ছিল অন্য অর্থে। সেই মধ্যবিত্ত লজ্জাবোধ থেকেই বোধ হয় মানুষটা নিজের বিনিময় মূল্য বাড়াতেই পারল না সারা জীবনে। শেষ অবধিও, এই চল্লিশ বছর পরেও, ফি সেই পাঁচ টাকাই।  তার সমসাময়িক তারই মত উজ্জ্বল যারা ছিল তারা ধাপে ধাপে, তার অনেক জুনিয়রও অথচ... । এই লকডাউনের বাজারে, সুপ্রিম মান্যতাপ্রাপ্ত অনলাইনের ফি আড়াই তিন হাজার পেরিয়ে কারও কারও যে কোথায় দাঁড়ালো! যাক সে কথা। মোটমাট  গৌরাঙ্গদা' হয়ে দাঁড়াল, কালনার গরীবের ভগবান, পাঁচটাকার ডাক্তার। তার যে শুরুটা মেডিকেল কলেজে আমি দেখেছি, তাতে কিন্তু তার, কী অ্যাকাডেমিক চিকিৎসা ক্ষেত্রে, কী রাজনীতিতে, এই পাঁচটাকার ডাক্তার অভিধায় থমকে থাকার কথা ছিল না। সেই অর্থে এ'টা তার স্বআরোপিত স্বোপার্জিত এক অসাফল্য ছাড়া আর কিছু না। বস্তুত আমরা যখন এই বাংলাতেই আরও বেশ কিছু 'একটাকার' বা 'দুটাকার' ডাক্তারের সন্ধান জানি, যাঁদের প্রেসক্রিপশনের ফেসভ্যালু ওষুধ ল্যাবরেটরির ইয়ে মিলিয়ে পাঁচশ' কী হাজার টাকাই।

একবার, সেও প্রায় বছর পনেরো আগে, এক খবরের কাগজের সাংবাদিক সাক্ষাৎকার নিতে গিয়ে জিজ্ঞেস করেছিল, 'ডাক্তারবাবু, এই পাঁচটাকা ফি কি বাড়বে না।' গৌরাঙ্গদা' তাকে অল্প হেসে বলেছিল, 'হ্যাঁ, এই চারআনা আটআনা, যেমন উঠে গেল, তেমনি পাঁচটাকাও যখন উঠে যাবে তখন বাড়াতে হবে বই কি!' সেই হাসিতে বোধহয় মিশে ছিল অর্থনৈতিক অবমূল্যায়নের জন্য মার্কসিয় দর্শনে বিশ্বাসী মানুষটার অন্তর্গত ব্যথা।

কিছু টুকরো কোলাজ সাজাই।

তিয়াত্তর চুয়াত্তর সালে একটা নাটক অভিনয় করেছিলাম আমরা, বাম মেডিকেল ছাত্ররা। শ্রদ্ধানন্দ পার্কে। (প্রসঙ্গত সেই আমার প্রথম আর শেষ মঞ্চাভিনয়। যদিও একধরনের নকল বীরত্বের অভিনয় সারা জীবন করার চেষ্টা করেছি, কর্মক্ষেত্রে সংসারে আর অন্যত্রও)। তো যা বলছিলাম, কার লেখা মনে নেই, সেই ক্ষীণকায় হাসির নাটকটিকে, গৌরাঙ্গদা' বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করেছিল বাকিটা নিজে লিখে। কী বলব মূল নাটকের চাইতেও ধারাল ছিল সেই অংশটুকু। একটা সংলাপ আজও এই প্রায় পঞ্চাশ বছর পরেও মনে পড়ে। একজন নেতা বক্তৃতায় বলছে, ' আমি মন্ত্রী হলে? তোদের সক্কলের গাড়ি হবে, বাড়ি হবে, দন্তহীন বৃদ্ধদের মাংস খাবার মাড়ি হবে!' অলীক আশার রাষ্ট্রীয় দানছত্রের ভাণ্ডারফোঁড় লাইনে ভোটারকে দাঁড় করিয়ে নিজেদের আখের গোছানো এই সময়ে আজও কী প্রাসঙ্গিক মনে হয় এই লাইন! এক রাত্তিরে লেখা সেই পান্ডুলিপি আমাদের কারওর কাছে রাখা ছিল দীর্ঘদিন। তারপরে কালের গতিতে হারিয়েও যায়।

গৌরাঙ্গদা'র খুব আকর্ষণীয় একটা গুণ ছিল ওর বিশ্লেষণ ক্ষমতা। দক্ষ শল্যবিদের মত ডিসেকশন করতে পারত রাজনীতি আর তার বাইরের অনেক কিছুও। হিন্দি সিনেমা দেখে এসে বোঝাতো আমাদের, কী করে 'ববি' সিনেমাতে মৎস্যজীবীদের শ্রেণীচেতনা এড়িয়ে যেতে পারেনি বাজারি পরিচালক। 

শ্যামনগরে না কোথায় যেন চটকল মজদুরদের এক শ্রমিক সংগঠনের অধিবেশনে গৌরাঙ্গদা'র সঙ্গে গেছি পিআরসির তরফে মেডিকেল ক্যাম্পে। সারাদিন অভুক্ত। ও'টুকু অব্যবস্থা থাকেই। দাদা কিছু পরে রুটি-তরকারি আর জনপ্রতি একখানা করে জিলিপি জোগাড় করে ফেলল। নিজের পয়সায়ই সম্ভবত। ওষুধ দিতে ব্যস্ত সমস্ত আমাদেরকে বলল, 'কাজ থামিয়ে খেয়ে নাও। না খেলে লড়বে কীসে?'

বছর পাঁচ সাত আগে, বইমেলায় দাদার সঙ্গে দেখা। বৌদিও সঙ্গে। দাদা আগে কালনা মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ভোটে হেরে গেছেন নয়া জমানায়। বৌদিকে জিজ্ঞেস করতে রাগত গলায় বললেন, 'রাত নেই দিন নেই, পাঁচটাকা ফিএর ভিড় ঠেলছে। আর ওই লোকগুলোই... '

গৌরাঙ্গদা' মেলার একপাশে আমাকে ডেকে বোঝালেন, 'দ্যাখো অরুণাচল, পৃথিবীর অনেক দেশেই ফেডারেল স্ট্রাকচারের মধ্যে আঞ্চলিক ভাবে ফ্যাসিজমের বিকাশ সম্ভব কি না এই ব্যাপারে স্পনসরড এক্সপেরিমেন্ট চলছে, টের পাই'। অস্বীকার করতে পারিনি তার এই পর্যবেক্ষণ। 

আমার বন্ধু অমিতাভ কালনায় দেখা করতে গেছে দাদার সঙ্গে। দাদা কাজের শেষে অমিতাভকে যত্ন করে ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন সেখানের অমূল্য মন্দিরগুলি। সেখানের ভাস্কর্য আর ইতিহাস। অমিতাভ যখন জিজ্ঞেস করেছে, ভালোবাসার দাবীতেই,
- আমাদের অনেক আগেই  ডেকে কেন দেখাননি দাদা?
গৌরাঙ্গদা' হেসে বলেছে,
- ওটা তো আমাদের অ্যাজেন্ডায় ছিল না।
এই হচ্ছে গৌরাঙ্গদা', যার একমাত্র অ্যাজেন্ডা হয় তো ছিল, মানুষ... মানুষ... এবং মানুষ।

এ'বারে শেষের কথা বলি। এই কোভিড রোগটাকে এককথায় বললে আজও অবধি কেউ সে'রকম বোঝেনি। গৌরাঙ্গ দা'র ডাবল ভ্যাক্সিনেশন নেওয়া ছিল। রোগী দেখায় বিরাম নেয়নি। জ্বর হবার পর র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট নেগেটিভ হবার পর ভুগতে  ভুগতে যখন ভর্তি হল বেশ দেরি হয়ে গেছে। কোভিড কার হবে কার হবে না আর কে এই বিরাট কোভিড স্পেকট্রামের কোন জায়গায় ধরা পড়বে, কে মরবে আর কে মরবে না, তার হিসেব কেউ জানে না। ভর্তির পর আস্তে আস্তে গৌরাঙ্গদা' এগিয়ে গেল তার ভবিতব্যের দিকে।

গৌরাঙ্গদা' কেরিয়ারিস্ট ছিল না। না পলিটিক্যাল কেরিয়ার, না প্রফেশনাল কেরিয়ার কোথাও পৌঁছোতে পারেনি, চায়ও নি আমার প্রথম যৌবনের সেই নায়ক। সে শুধুই মানুষের ভালোবাসা চেয়েছিল। 

আজ কালনায় ভিড় ভেঙে পড়েছে। সেই মূঢ় ভিড়, যারা অসুখ হলে ওকে দেখিয়েছে, ভোটে হারিয়েছে, আর আমি অতি নিশ্চিত আগামী কাল সেইভাবে মনেও রাখবে না।