ভালো আছেন অর্ণব দাম ?ও বিপ্লবী অর্নব বাবু?আইআইটি ড্রপ আউট অর্ণব।আপনি মেধাবী ছিলেন।মাওবাদী রাজনীতিতে বিশ্বাসী তরুণ।মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারের স্থিতধী তাত্ত্বিক ।
জঙ্গল মহলে বিপ্লবের আশায় পা রাখেন।মুক্তাঞ্চল গড়বেন।সে প্রায় এক দেড় দশক আগের কথা।'যুদ্ধে হেরে'বা মন জগতে পরিবর্তনের ফলে যে কারণেই হোক রাষ্ট্রের কাছে আত্মসমর্পণ করলেন।এখন ইতিহাসে কৃতিত্বের সঙ্গে স্নাতকোত্তর।পোস্ট গ্র্যাজুয়েট।স্টেট এলিজিবিলিটি টেস্ট পরীক্ষায় মুন্সিয়ান দেখিয়েছেন।কারান্তরালে দেশের কঠিনতম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অভিনন্দন অর্ণব।উর্ফ আকাশ বা বাতাস বাবু।আকাশ ,বাতাসের কথায় মনে পড়লো!তিলক টুডুর কথা।অর্নবের কমরেডরা ছাত্র ফেডারেশনের এই ছাত্র কর্মীর মাথায় খুব কাছ থেকে গুলি করে।আধমরা তিলকের রক্তাক্ত দেহের পাশে বসে মুরগির ঝোল দিয়ে ভাত খেয়েছিল।এক দশক অতিবাহিত।কে জানে তিলক বেঁচে থাকলে আজকে হয়তো কোনও প্রতিযোগিতা মূলক পরীক্ষার জন্য তৈরি হতেন!অথবা ছবি মাহাতো।একুশ জন বিপ্লবী ধর্ষণ করে যাঁকে পুঁতে দিয়েছিল জঙ্গলে!তার সন্তানরাও নিশ্চই অর্নবের সাফল্যে খুশি হবে।সহ নাগরিকের সাফল্য প্রত্যেকটি মানুষকে উদ্দীপ্ত করে।প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার লড়াই!প্রতিকূল পরিবেশ।সৌম্যজিত বসু ,পার্থ বিশ্বাসের পরিবারের মত প্রতিকূল।স্কুল শিক্ষক সৌম্যজিত ,কলকাতা পুলিশের কর্মী পার্থর পরিবার অবশ্য এতটা সৌভাগ্যবান ছিলেন না।শুধু করোটির একটা অংশ আর কঙ্কাল পাওয়া গিয়েছিল।সঙ্গে গুটি কতক হাড়গোড়।শল্কু সোরেদের বাপ মায়েদের থেকে একটু কম সৌভাগ্যবান।পোঁকায় কাটা পঁচা গলা লাশের জায়গায় শুধু খুলি আর হাড়গোড়।হায়দ্রাবাদের গবেষণাগার থেকে 'ফলাফল' জানতে দীর্ঘ প্রতীক্ষা তাঁদের পরিবারের লোকেদের।কঙ্কাল গুলো তাঁদের পরিবারের প্রিয়জনের তো!ভালো থাকুন অর্ণব।
মানস চক্ষে দেখতে পাচ্ছি অধ্যাপক অর্ণব ইতিহাসের ক্লাসে সমাজ পরিবর্তনের ইতিহাস ব্যাখ্যা করছেন।শ্রেণী বিপ্লব, ক্লাস ইক্যুয়েশন, কায়িক ও বৌদ্ধিক শ্রমের তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ইতিহাসের ছাত্রছাত্রীদের সামনে দন্ডায়মান।ছেলেমেয়েরা গণতন্ত্র, প্রলতাড়িয়েত সমাজে রাজবন্দীদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন ছুড়ছেন অধ্যাপক অর্নবের দিকে।একের পর এক প্রশ্ন বানে বিপন্ন অর্ণব ঢোক ঢোক করে ঠান্ডা জল খেলেন।যে জল টুকুও ১৫বছরের তিলক টুডু পায় নি।বিপ্লবীরা অবশ্য বেসক্যাম্পে যাবার আগে আধমরা তিলকের গলার কন্ঠনালী কুচুৎ করে কেটে 'শ্রেণী শত্রুর রক্তে' হাত রাঙিয়ে বিপ্লবের উদ্বৃত্তের মূল্য উশুল করে দিয়েছিলেন।অর্ণবের পরীক্ষার খাতায় শিক্ষকের কলমের লাল দাগের মত যা বিরলতম।'শ্রেণীশত্রু
ভাগচাষীর' মেধাবী পুত্রের রক্ত।একটু লাল সেলাম হবে না কমরেড?
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন