( আবার রোগীর মৃত্যুতে তান্ডব রায়গঞ্জের হেমতাবাদ প্রাথমিক সাস্থ্যকেন্দ্রে!)
ও কেন মারেনি প্রশ্ন কোরোনা, সিলেবাসে মার ছিলো না,
রোগী দেখে রোজ গাল খেতে হবে, এই জ্ঞান তার ছিলোনা।
অথচ এ দেশে সবচেয়ে যদি অকুলান কোনো পেশা হয়,
সেটা ডাক্তার, দিন চলে যায় জীবন ও জীবিকা মেশানোয়।
অদ্ভূত দেখো, কোটি মামলার যেখানে পাহাড় জমেছে,
সেখানে উকিলি স্ট্রাইকের চোটে কেজো দিনগুলো কমেছে
মৌন সেখানে সব আদালত, লাভ নেই ফরিয়াদে,
মুখরতা শুধু ফিরে আসে ঠোঁটে ডাক্তারী প্রতিবাদে।
এক ডাক্তারে রোগী সামলায় এগারো হাজার করে,
( উচিত হাজারে একজন থাকা , 'হু' য়ের হিসেব ধরে।)
ক্লান্তিতে চোখ জুড়িয়ে আসলে, বিশ্রাম নেওয়া মানা,
পান থেকে চুন খসলে কি হবে বহুকাল থেকে জানা।
ডাক্তার ধরে ফেসবুকে যারা গণপিটুনির পক্ষে,
অসুখবিসুখে তারা যায় কোথা জিজ্ঞেস করি লোককে।
পুজোপার্বণ ঝঞ্ঝাবাদল বাছো না যে কোনোদিন,
রোজ থেকে যায় স্টেথোদের কাছে কিছু জীবনের ঋণ।
আপনারা, যাঁরা ডাক্তার মেরে ফেরেন বীরের মতো,
কালিদাস হয়ে নিজেদেরই দেন আগামীকালের ক্ষত।
চিকিৎসা হলে ওষুধই কেবল হয়ে যেতো নেটে তবে,
বাড়তি যেটুকু , এখন ভাগ্যে ক্রমে অকুলান হবে।
যাকে আজ তুমি দিলে বেধড়ক , সত্যি বা ফেসবুকে
সে ছাড়াও আরো হাজার বৈদ্য খোলসে পড়লো ঢুকে।
যত বড় হও অমুক তমুক অথবা নেতার শিষ্য,
ইচ্ছেবিহীন চিকিৎসা জেনো ভিখারীর মতো নিঃস্ব।
ও কেন মারেনি প্রশ্ন কোরো না, সিলেবাসে সে তা শেখে নি,
অশ্রু বাঁচিও তাদের জন্য, আগামীকে যারা দেখেনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন