এবার ভোটে সবার ঠোঁটে ঝুলছে এ প্রশ্নটা,
দিদি এবার কার কপালে দেবেন যে ভাইফোঁটা!
সেটা জানবে বলে –
সেটা জানবে বলে সদলবলে টিভির রিপোর্টারে
সুযোগ পেলেই মাইক হাতে খুব জ্বালিয়ে মারে!
দিদির সময় আছে?
দিদির সময় আছে এসব গাছে এক্ষুণি জল ঢালার?
বিয়ের আগেই কেউ কখনো কাউকে পরায় মালা!
যত দুষ্ট লোকে
যত দুষ্ট লোকে তাই দুচোখে লাগিয়ে নিয়ে ঠুলি
দিনদুপুরে রাস্তাঘাটে গাইছে ব্রজবুলি!
তাতে বয়েই গেল –
তাতে বয়েই গেল! ও ভাই, হ্যালো, শখ যদি সব জানার,
লিখছো না ক্যান উন্নতি এই রাজ্যে ষোল আনা!
তোরা অন্ধ সেজে
তোরা অন্ধ সেজে হনুর লেজে লাগিয়ে তারাবাতি
এঁড়ে গরুর দুধ দু'তে চাস, ছিলিস ভালো তাঁতী!
তার রাখিস খেয়াল?
তার রাখিস খেয়াল, ভিট্রে শেয়াল, গেয়ে হুক্কাহুয়া
ভোটের বাজার গরম করিস উড়িয়ে দিয়ে ধুঁয়া!
সব গেলিই ভুলে
সব গেলিই ভুলে তোর মাশুলে জমিয়ে সিকি-আনি
জেলখানাতে রাখছি পুষে সুদীপ্ত-দেবযানী!
ওদের আর্ট গ্যালারি
ওদের আর্ট গ্যালারি গয়না-শাড়ি আংটি-পলা-শাঁখা
সব বিলাবো; আর্ট তো আমার, কয়েক কোটি টাকা!
তোরা সব পাবি রে
তোরা সব পাবি রে, আস্তে ধীরে, যার যত চাই খুশি –
ছিবড়ে হওয়া মাংসটা, তার হাড্ডি আমিই চুষি!
এবার ভোটের পরে
এবার ভোটের পরে বন্ধ ঘরে ডাকবে তো নিশ্চয়ই।
বলবে ডেকে, সাপোর্টটা দাও, এইখানে টিপসহি!
তখন বলব হেসে
তখন বলব হেসে, আমার দেশে লক্ষ নরনারী
আমায় শুধায় ফ্রীতে কবে চড়বে রেলের গাড়ি!
ওদের মুখটা চেয়ে
ওদের মুখটা চেয়ে অলপ্পেয়ে মন্ত্রীসভায় হানা
দিয়ে আবার বাগিয়ে নেব রেলদপ্তরখানা!
তাতে বুঝলে ভায়া
তাতে বুঝলে ভায়া এই বেহায়া রাজ্য যাবে ফুলে –
শিলান্যাসে ভরিয়ে দেবে মদন আরাবুলে!
যেমন আগেও করা!
যেমন আগেও করা বন্যা খরা তছরুপে বর্ষণে
ভাইরা আমার রেসপন্স দেয় হুমকি ও ধর্ষণে!
ওরা আমার পোষা
ওরা আমার পোষা, ফলের খোসা চিবিয়ে হাঁকে জোরে,
রাজ্যে কোথায় কী হয়েছে চৌত্রিশ বচ্ছরে!
এটাই মন্ত্র ওদের
এটাই মন্ত্র ওদের, এর জোরে ঢের বাগিয়ে নেওয়া আসন
দ্রৌপদীদের সামলে রাখে দু-চারটে দুঃশাসন!
ওরে, সব সাজানো –
ওরে সব সাজানো তোমরা জানো এই শাড়ি, নীল পাড়ে
হাওয়াই চটির সংসারখান টানছি আমি ধারে!
আমি শিল্পী মানুষ
আমি শিল্পী মানুষ চৈনিক-রুশ সব ব্যাটাদের পাতে
ছাই দিয়ে ডান্স করছি এখন শারুখ খানের সাথে!
এটা চেঞ্জ না তো কী?
এটা চেঞ্জ না তো কী, এ আমলকি, চিবাও একটু পরে
জল খেলে মুখ মিষ্টি হবেই, তদ্দিনে ঝরঝরে
তোদের ভবিষ্যৎও!
তোদের ভবিষ্যৎও আরও কত উঠবে ফুলে ফেঁপে
আমার চ্যানেল, আমার কাগজ সব দেখাবে ছেপে!
তোরা সেই বুঝে দে
তোরা সেই বুঝে দে পরম জেদে চুন চুনকে, গুণে
ভোটটা তাপস-দেব-বাইচুং শতাব্দী-মুনমুনে!
এদের গ্ল্যামার কত
এদের গ্ল্যামার কত আর উদ্ধত বুক ভেসে যায় জলে
বই বানাবো এদের নিয়ে দেখবি বসে হলে!
এদের মেকাপ দিয়ে
এদের মেকাপ দিয়ে খুব সাজিয়ে ছাড়ব এক এক জনা
চিত্ত-নিবেদিতা-বিবেক সুভাষ-রবীন্দ্রনাথ!
তখন বুঝবি তোরা
তখন বুঝবি তোরা দুষ্টু ছোঁড়া, লাগিস আমার পিছু!
কী যায় আসে কোনটা, জেনে কাঁঠাল নাকি লিচু!
ওরে, সাজানো সবকিছু ...
ওরে, সাজানো সবকিছু ...
২রা বৈশাখ ১৪২১
১৬ই এপ্রিল ২০১৪
দিদি এবার কার কপালে দেবেন যে ভাইফোঁটা!
সেটা জানবে বলে –
সেটা জানবে বলে সদলবলে টিভির রিপোর্টারে
সুযোগ পেলেই মাইক হাতে খুব জ্বালিয়ে মারে!
দিদির সময় আছে?
দিদির সময় আছে এসব গাছে এক্ষুণি জল ঢালার?
বিয়ের আগেই কেউ কখনো কাউকে পরায় মালা!
যত দুষ্ট লোকে
যত দুষ্ট লোকে তাই দুচোখে লাগিয়ে নিয়ে ঠুলি
দিনদুপুরে রাস্তাঘাটে গাইছে ব্রজবুলি!
তাতে বয়েই গেল –
তাতে বয়েই গেল! ও ভাই, হ্যালো, শখ যদি সব জানার,
লিখছো না ক্যান উন্নতি এই রাজ্যে ষোল আনা!
তোরা অন্ধ সেজে
তোরা অন্ধ সেজে হনুর লেজে লাগিয়ে তারাবাতি
এঁড়ে গরুর দুধ দু'তে চাস, ছিলিস ভালো তাঁতী!
তার রাখিস খেয়াল?
তার রাখিস খেয়াল, ভিট্রে শেয়াল, গেয়ে হুক্কাহুয়া
ভোটের বাজার গরম করিস উড়িয়ে দিয়ে ধুঁয়া!
সব গেলিই ভুলে
সব গেলিই ভুলে তোর মাশুলে জমিয়ে সিকি-আনি
জেলখানাতে রাখছি পুষে সুদীপ্ত-দেবযানী!
ওদের আর্ট গ্যালারি
ওদের আর্ট গ্যালারি গয়না-শাড়ি আংটি-পলা-শাঁখা
সব বিলাবো; আর্ট তো আমার, কয়েক কোটি টাকা!
তোরা সব পাবি রে
তোরা সব পাবি রে, আস্তে ধীরে, যার যত চাই খুশি –
ছিবড়ে হওয়া মাংসটা, তার হাড্ডি আমিই চুষি!
এবার ভোটের পরে
এবার ভোটের পরে বন্ধ ঘরে ডাকবে তো নিশ্চয়ই।
বলবে ডেকে, সাপোর্টটা দাও, এইখানে টিপসহি!
তখন বলব হেসে
তখন বলব হেসে, আমার দেশে লক্ষ নরনারী
আমায় শুধায় ফ্রীতে কবে চড়বে রেলের গাড়ি!
ওদের মুখটা চেয়ে
ওদের মুখটা চেয়ে অলপ্পেয়ে মন্ত্রীসভায় হানা
দিয়ে আবার বাগিয়ে নেব রেলদপ্তরখানা!
তাতে বুঝলে ভায়া
তাতে বুঝলে ভায়া এই বেহায়া রাজ্য যাবে ফুলে –
শিলান্যাসে ভরিয়ে দেবে মদন আরাবুলে!
যেমন আগেও করা!
যেমন আগেও করা বন্যা খরা তছরুপে বর্ষণে
ভাইরা আমার রেসপন্স দেয় হুমকি ও ধর্ষণে!
ওরা আমার পোষা
ওরা আমার পোষা, ফলের খোসা চিবিয়ে হাঁকে জোরে,
রাজ্যে কোথায় কী হয়েছে চৌত্রিশ বচ্ছরে!
এটাই মন্ত্র ওদের
এটাই মন্ত্র ওদের, এর জোরে ঢের বাগিয়ে নেওয়া আসন
দ্রৌপদীদের সামলে রাখে দু-চারটে দুঃশাসন!
ওরে, সব সাজানো –
ওরে সব সাজানো তোমরা জানো এই শাড়ি, নীল পাড়ে
হাওয়াই চটির সংসারখান টানছি আমি ধারে!
আমি শিল্পী মানুষ
আমি শিল্পী মানুষ চৈনিক-রুশ সব ব্যাটাদের পাতে
ছাই দিয়ে ডান্স করছি এখন শারুখ খানের সাথে!
এটা চেঞ্জ না তো কী?
এটা চেঞ্জ না তো কী, এ আমলকি, চিবাও একটু পরে
জল খেলে মুখ মিষ্টি হবেই, তদ্দিনে ঝরঝরে
তোদের ভবিষ্যৎও!
তোদের ভবিষ্যৎও আরও কত উঠবে ফুলে ফেঁপে
আমার চ্যানেল, আমার কাগজ সব দেখাবে ছেপে!
তোরা সেই বুঝে দে
তোরা সেই বুঝে দে পরম জেদে চুন চুনকে, গুণে
ভোটটা তাপস-দেব-বাইচুং শতাব্দী-মুনমুনে!
এদের গ্ল্যামার কত
এদের গ্ল্যামার কত আর উদ্ধত বুক ভেসে যায় জলে
বই বানাবো এদের নিয়ে দেখবি বসে হলে!
এদের মেকাপ দিয়ে
এদের মেকাপ দিয়ে খুব সাজিয়ে ছাড়ব এক এক জনা
চিত্ত-নিবেদিতা-বিবেক সুভাষ-রবীন্দ্রনাথ!
তখন বুঝবি তোরা
তখন বুঝবি তোরা দুষ্টু ছোঁড়া, লাগিস আমার পিছু!
কী যায় আসে কোনটা, জেনে কাঁঠাল নাকি লিচু!
ওরে, সাজানো সবকিছু ...
ওরে, সাজানো সবকিছু ...
২রা বৈশাখ ১৪২১
১৬ই এপ্রিল ২০১৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন