গোপালবাবু কোমরের বেল্টের চামড়া উঠে গেলে জামা গুঁজে পরেন না, বলেন গরম লাগে... গোপালবাবু মাসের সতেরো তারিখের পরে মেট্রো থেকে নেমে রিক্সা নেন না, হেঁটে আসেন, কোলেস্টেরলটা ঐ সময় একটু বেশীর দিকে থাকে, গোপালবাবু মাঝারি সাইজের লাইলেনটিকাকে চারপিস করতে বলে মাছকাটার লোকের কাছে ঝামটা খান, গোপালবাবু বসের ছেলের স্কুলপ্রজেক্টের খাতা রেডি করে দেন ছুটির পরে... ফ্রিতে, গোপালবাবু অফিস ফেরতা তিনদিন টিউশন করেন, আরও দুটো বাড়ানোর চেষ্টায় আছেন, গোপালবাবু সকাল আটটা কুড়ির মেট্রো ধরেন, অফিস ছাড়েন সন্ধ্যা সাতটায়, গোপালবাবু "শ্রমিক" নন, গোপালবাবু অফিসের দুই নম্বর, মালিকের পরেই, গোপালবাবুর ইচ্ছা হয় অফিস যাওয়ার আগে একটু বাগান করার...ইচ্ছা হয় অফিসের পরে বাড়ি ফিরে ছেলেকে দুটো বিপরীতমুখী ট্রেন আর প্লাটফর্মের অঙ্ক বোঝাতে বোঝাতে ছোটোবেলায় দেখা বৃষ্টি ভেজা খুর্দা রোড স্টেশনের ছবি আঁকতে... গোপালবাবুর বিবাহবার্ষিকীর ভোরে অফিসট্যুরে যেতে ইচ্ছা করে না... গোপালবাবু কলেজজীবনে হে মার্কেটের নাম শুনেছিলেন কি না মনে করতে পারেন না... গোপালবাবু "শ্রমিক" নন, গোপালবাবু অফিসের দু-নম্বর...
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন