-পানু, তুই আবার গাঁজা খাচ্ছিস? শালা হল্যান্ডে অনসাইট এসে থেকে আজ গাঁজা, কাল মাশরুম চালিয়েই যাচ্ছিস
- তোর কি রে বাঁড়া, নিজের পয়সায় খাচ্ছি
- - তোর মত রোজ মদ তো গিলিনারে বালটা, লিভার পচে, হেগেমুতে মরবিরে শালা।
- - তুই ক্যান্সার হয়ে মরবিরে শালা, রোজরোজ এত টার ঢুকছেরে লাঙসে, তুই ফুসফুসে ঘা হয়ে রক্তবমি করে মরবিরে শালা।
- - রাখ তোর ক্যান্সার, আমরা গাঁজাখোররা না থাকলে সভ্য হতে পারতিসনারে বাল
- - গাঁজাখোররা না থাকলে সভ্য হতে পারতামনা? কি বলছিসরে? এসব খেয়ে মাথাটা একেবারেই গেছে দেখছি
- - যায়নি রে যায়নি, নেক্সট উইকে লাসকু কেভস দেখতে যাবি তো? তো যাবার আগে একটু পড়াশোনা করে নিলেও তো পারিস রে বালটা, তাহলে দেখতে আরও মজা পেতিস।
- - যা বাঁড়া, এর সাথে গাঁজা খাওয়ার কি সম্পর্ক?
- - আছে রে আছে, গাঁজার সাথেও আছে, মাশরুমের সাথেও আছে।
- - কিন্তু তার সাথে লাসকু কেভসের কি সম্পর্ক?
- - আছে, আগে বল যে প্রাগৈতিহাসিক গুহাচিত্র সম্পর্কে কি জানিস?
- - বেশি কিছুনা, জানি যে প্রাগৈতিহাসিক যুগে চল্লিশ থেকে ছহাজার বছর আগে পর্যন্ত আফ্রিকা, এশিয়া, ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া সব যায়গাতেই মানুষ গুহার ভেতরে ছবি এঁকেছে। স্পেনের আলতামিরা, ফ্রান্সের লাসকু এসব জায়গাগুলোতে প্রতিবছর অসংখ্য টুরিস্ট আসে গুহামানবদের আঁকা ছবিগুলো দেখতে।
- - কখনও মনে হয়নি কেন এঁকেছিল?
- - পড়েছি যে শিকারে যাওয়ার আগে শিকারের সফলতা কামনা করে নিজেদের বাসস্থানে কিছু রিচ্যুয়াল বা প্রথা অনুসরণ করত গুহামানবেরা, সেসব রিচ্যুয়ালেরই অংশ হল এই গুহাচিত্রগুলো।
- - বাল জানিস বাঁড়া
- - ওই দেখ, খিস্তি দিতে শুরু করলি, ভুলটা কোথায় শালা? প্রচুর তীর বা বর্শাবিদ্ধ বাইসন, ঘোড়া ইত্যাদির ছবি আছে তো
- - শোন বাল, যে গুহায় এসব গুহাচিত্র পাওয়া যায় তাদের অধিকাংশই মাটির অনেকটা নীচে। যে লাসকু কেভ দেখতে যাচ্ছিস, সেটা তো প্রায় ভার্টিকাল ড্রপ, নামতে গেলে দড়ি বেঁধে ঝুলে ঝুলে নামতে হবে, তুই যে বাড়িতে থাকিস, সেখানে ঢোকা বেরোনোর জন্য এত ঝামেলা করবি কেন?
- - এটা তো ভেবে দেখিনি
- - ভাব ভাব, আরেকটা কথা বলি শোন। আর্কিওলজিকাল এভিডেন্স বলছে যে এইসব চিত্রকরদের প্রধান খাদ্য ছিল বল্গা হরিণ, কিন্তু গুহাচিত্রে বল্গা হরিণ অনুপস্থিত। শিকারের আগের রিচ্যুয়ালই যদি হবে তাহলে বল্গা হরিণের ছবি না এঁকে গুচ্ছ গুচ্ছ বাইসন, অরকস, হায়না, সিংহ এসবের ছবি আঁকবে কেন রে বাঁড়া?
- - আরিশ্লা, এটা তো ভাবে দেখিনি, কিন্তু বাল এখনো বুঝলামনা যে এর সাথে গাঁজা বা মাশরুমের কি সম্পর্ক।
- - বলছি, দাঁড়া, জয়েন্টটা ধরিয়েনি আগে
- - উফ, তুই আর তোর জয়েন্ট
- - গুণিনদের ভর হওয়া দেখেছিস কখনো?
- - হ্যাঁ, অনেকবার দেখেছি, আমাদের বাড়ির কাছেই একটা সাঁওতালদের গ্রাম ছিল, সেখানে ছোটবেলায় দেখেছি গুণিনদের ভর হতে। ভর হবার পর তারা বোঙ্গাদের সাথে কথা বলত, বোঙ্গারা যা নির্দেশ দিত সেটা গ্রামের সকলকে জানাত। যত্ত কুসংস্কার, সরল আদিবাসীদের বোকা বানিয়ে পয়সা রোজগারের ধান্ধা।
- - অত সরল নয়, কিছু ঠগবাজ থাকলেও অনেক গুণিনরা সত্যিই বিশ্বাস করে যে ভর হবার পরে তারা বোঙ্গাদের সাথে কথা বলতে পারে। আমাদের বামকৃষ্ণদেবের সাথে মাকালীর কথাবার্তা বা হজরত মোহম্মদকে জিব্রাইল ফেরেস্তার ওহী দান করা ব্যাপারটাও অনেকটা এইরকম। এই ওহী পাওয়া থেকে ভর হওয়া সবই আসলে অলটারড স্টেট অফ কনসাসনেসের বহিঃপ্রকাশ
- - অলটারড স্টেট অফ কনসাসনেস? সেটা কি?
- -মানবমনে আসলে দুরকম কনসাসনেস আছে, একটা হল কগনিটিভ কনসাসনেস যা বিয়েল লাইফের চিত্র তৈরি করে আর আরেকটা হল অলটারড স্টেট অফ কনসাসনেস, যেখানে রিয়েলিটি হয়ে যায় ডিসটর্টেড, মানবমস্তিষ্ক এমন সব ছবি তৈরি করে যার সাথে বাস্তবের সম্পর্ক থাকলেও তা ঠিক বাস্তব নয় বরং বলা যেতে পারে পরাবাস্তব। এই অলটারড স্টেট অফ কনসাসনেসের সাথে মানুষের সৃজনশীলতার একটা গভীর সম্পর্ক আছে।
- - যাশ্লা, তাই নাকি?
- - হ্যাঁরে, হিপনোগগিয়া বলে একটা জিনিস আছে, বাংলায় আমরা যেটাকে তন্দ্রা বলি। ঘুম আর জেগে থাকার মধ্যবর্তী একটা অবস্থা যেখানে পারিপার্শ্বিকতা সম্পর্কে সচেতনতা বজায় থকার পাশাপাশি চলে স্বপ্নের ইমেজারিগুলো যেগুলোকে এসময়ে কনসাসলি মোডিফাইও করা যায়। অনেকে মনে করেন যে সৃজনশীলতার উৎসও এখানেই।
- - সেসব তো বুঝলাম, কিন্তু এগুলোর সাথে গাঁজা, মাশরুম , গুহাচিত্র আর সভ্য হওয়ার সম্পর্ক কি? তখন থেকে ভ্যানতাড়া মারছিল শালা।
- পানু জয়েন্টে একটা লম্বা টান মেরে বলল
- - শোন ধ্রুব, ভ্যানতাড়া মারছিনা রে বাল। এগুলোকে বলে গ্রাউন্ড প্রিপারেশন
- - গ্রাউন্ড প্রিপারেশন তো হল, এবারে একদম ব্যাটিং পিচ, শেহবাগের মত চালা।
- - একটু আগে তোকে বললাম যে গুহাচিত্রগুলো কেন শিকারের আগের রিচ্যুয়াল নয়। তাহলে সেগুলো কি? বর্তমানে আর্কিওলজিতে গুহাচিত্রের এক্সপ্ল্যানেশনের কারণের নানান হাইপোথেসিসগুলোর মধ্যে হটলি ডিবেটেড মতটা হল শ্যামানিস্টিক অরিজিনের কথা। শ্যামান মানে গুণিন বা ওঝা ধরে নিতে পারিস। গুণিনরা স্পিরিট ওয়ার্ল্ডের সাথে যখন কম্যুনিকেট করে বা করার চেষ্টা করে তখন তাদের অলটারড কনসাশনেসে পৌঁছতে হয়, আসলে আর কিছুনা, অলটারড স্টেট অফ কনসাশনেসে যে ইমেজারি দেখা যায় সেটাকেই স্পিরিট ওয়ার্ল্ড ভাবে গুণিনরা।
- সেই কনসাসনেসে পৌঁছতে গেলে সবার আগে দরকার হয় একটা ট্রান্স বা ভর হওয়ার মত পরিস্থিতির। সেই ভর হওয়াটা হবে কিকরে? বেশ কয়েকটা উপায় আছে। জলদগম্ভীর শব্দ, অক্সিজেনের অভাব, উপবাস ইত্যাদি। কিন্তু সবচেয়ে সহজে এটা করা যায় যেটার মাধ্যমে, সেটা হল সাইকোট্রপিক ড্রাগের ব্যবহার।
- - সাইকোট্রপিক ড্রাগ আবার কি?
- - কেন? ম্যাজিক মাশরুম , গাঁজা এসবই সাইকোট্রপিক ড্রাগ। এগুলো সেবনের ফলে মানুষ সহজেই অলটারড স্টেট অফ কনসাশনেসে পৌঁছতে পারে।
- - আরিশ্লা, তুই বাঁড়া এজন্যই গাঁজা খাস
- - হ্যাঁ তো, যাইহোক টপিকে ফিরি। কগনিটিভ স্টেট অফ মাইন্ড থেকে অলটারড স্টেট অফ মাইন্ডের পথ যাত্রার অভিজ্ঞতাটা কেমন জানিস? অনেকটা টানেল বা গুহার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার মত। এই টানেলের দেওয়ালগুলো যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে আর সেখানে প্রস্ফূটিত হতে থাকে ছায়াছবি। কখনো নানান পশুপাখী, কখনো মনুষ্যমূর্তি, কখনো বা জ্যামিতিক রেখা ও আকৃতি ছায়ামূর্তির মত ভেসে ওঠে, আবার মিলিয়ে যায়। ম্যাজিক মাশরুম, ভাঙের শরবত, গাঁজা ঠিক এই অনুভূতিগুলোকেই জাগিয়ে তোলে, আর এটাকে আরো ত্বরাণ্বিত হয় যদি সেইসাথে অক্সিজেনের অভাব ঘটে।
- লাসকু, কাস্তিল ইত্যাদি জায়গার গুহাগুলো মাটির অনেকটা নীচে ছিল, লাসকুতে তো গুহার তলায় লতা পেঁচিয়ে বানানো দড়ি পর্যন্ত পাওয়া গেছে যার মাধ্যমে সেখানে ওঠানামা করা হত। এবারে মাটির নীচের এরকম গুহায় আলোবাতাস প্রায় পৌঁছয়ই না, সেক্ষেত্রে ছবি আঁকতে গেলে মশাল ব্যবহার করতেই হবে। আর যেখানে বাতাস পৌঁছয়না, সেখানে মশাল ব্যবহার করা মানে কি?
- - কি?
- - অক্সিজেনের অভাব সৃষ্টি হওয়া, মাশরুমের এফেক্ট আর অক্সিজেনের অভাব যে কি ইমেজারি তৈরি করতে পারে গুহাচিত্রগুলো দেখলেই বোঝা যায়।
- - মানে বলছিস যে গুণিনরা গাঁজা, মাশরুম খেয়ে অক্সিজেনের অভাবে যে অলটারড স্টেট অফ মাইন্ডে পৌঁছে যে ইমেজারি দেখতো, সেটাই গুহাচিত্রে তুলে ধরত?
- - তুলে ধরতনা, পাতি যেটা দেখত সেটার মেন্টাল প্রোজেকশন করত গুহার দেওয়ালে, সেই প্রোজেক্টেড ইমেজের ওপর ট্রেস করে আঁকা হত এসব ছবি, লাইভ। জীবজন্তু, পশু আর মানুষের হাইব্রিডের সাথে সাথে নানান জ্যামিতিক আকার সেদিকেই নির্দেশ করে। গোয়ের্নিকা থেকে সিস্টিন চ্যাপেল সবকিছুরই উৎস এখানেই।
- - গাঁআআআড় মেরেছে
- - শুধু তাই নয়, গুহার দেওয়ালগুলোকে তারা সম্ভবত রিয়েল ওয়র্ল্ড আর স্পিরিট ওয়র্ল্ডের মধ্যেকার ফিজিকাল বাউন্ডারি ভাবত।
- - ইন্টারেস্টিং
- - ম্যাজিক মাশরুম যদি কখনো খাস, তার একটা এফেক্ট যেটা দেখতে পাবি, সেটা হল দেওয়ালের জীবন্ত হয়ে ওঠা, দেওয়ালগুলোতে ঢেউ খেলতে থাকে, নানান জ্যামিতিক আকার জেগে ওঠে আবার মিলিয়ে যায়, কখনো বা অবাস্তব জীবেরা দৃষ্টিপথে উঁকি মারে। গুহাচিত্রের বৈশিষ্ট্যগুলোর কিরকম সাথে একরকম মনে হচ্ছেনা?
- - আরেকটু এক্সপ্লেন কর, গুহাচিত্রের বৈশিষ্ট্যের সাথে কিভাবে মেলে?
- - গুহাচিত্রগুলো কিভাবে আঁকা হয়েছিল জানিস?
- - এটা জানি, লাল আর হলুদ ওকর, হেমাটাইট, ম্যাঙ্গানিজ মিশ্রিত খনিজ, কখনো কখনো কাঠকয়লার গুঁড়ো জল বা কাদার সাথে মিশিয়ে ছবিগুলো আঁকা হত। হাতের ছাপও ব্যবহার করা হত, সেক্ষেত্রে দেওয়ালের গায়ে হাত রেখে ফাঁপা হাড় বা শরের মধ্যে দিয়ে ফুঁ দিয়ে রং স্প্রে করা হত। স্প্রে পেন্টিংএর আদিরূপ বলতে পারিস আরকি।
- - আরিব্বাস, একদম ঠিক।
- - তাহলে? বেফালতু আমি পড়িনা বলে খিস্তি মারলি। তোর মত এত না হলেও, একটুআধটু আমিও পড়ি।
- - একটু এক্সপ্লেন করে বলি, গুহাচিত্রগুলোকে ভালভাবে দেখলে দেখা যায় যে সব ছবিগুলো শুধুমাত্র ড্রয়িং নয়। কিছু ছবি রীতিমত এনগ্রেভ করা হয়েছে দেওয়ালের গায়ে। তারপরে সেটার ওপর রঙ চড়ানো হয়েছে। গুহার দেওয়ালটাকে যদি ম্যাজিক মাশরুম বা গাঁজার এফেক্টে অলটারনেট স্টেট অফ মাইন্ডে স্পিরিট ওয়ার্ল্ডের সাথে বাউন্ডারি হিসেবে মনে হয়, তাহলে সেই অবস্থায় দেখা বাইসন, স্পিরিটের মেন্টাল ইমেজ যেটা গুহার দেওয়ালে প্রোজেক্টেড সেটার সাথে ইন্টার্যাক্ট করতেও ইচ্ছা হবে? তাই না?
- - সে তো হবেই, তুইই শালা মাশরুম খেয়ে খালি দেওয়ালের রামধনু ধরতে যাচ্ছিলি, যারা আত্মার অস্তিত্ত্বে বিশ্বাসী তাদের তো বেশি করেহবে।
- - এব্বাবা। ওসব কথা পরে হবে। যেটা বলছিলাম, এই ইন্টার্যাক্ট করার ইচ্ছাটাই হয়ত জন্ম দেয় এনগ্রেভিং টেকনিকের। শুধু তাই নয়, অলটারনেট স্টেট অফ মাইন্ডে ছবিগুলো বারবার ভেসে ওঠে, আবার মিলিয়ে যায়, প্রাগৈতিহাসিক গুণিনরা নিজেদের ভিশনকে ট্রেস করে আঁকার সময় সেদিকেও খেয়াল রাখত। বেশ কয়েকটা ক্ষেত্রে ছবিগুলো একটা বিশেষ অ্যাঙ্গেল থেকেই দেখা যায়, কেউ একজন যদি হাতে একটা মশাল নিয়ে গুহায় ঢোকে তাহলে দেখবে একটা বাইসনের ছবি ফুটে উঠল, একটু এগোতেই মিলিয়ে গেল, অথচ অন্য ছবিগুলো যেকোন কোণ থেকে আলো পড়লেই দেখা যাচ্ছে। ম্যাজিক, আদিম ম্যাজিক। সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্স যে ঘরের দেওয়ালকে জীবন্ত বস্তু ভাবাতে পারে, সেটা তো তোকে আগেই বললাম। এই প্রাগৈতিহাসির গুণিনরাও সাবস্ট্যান্স ইনিশিয়েটেড অলটারড স্টেট অফ মাইন্ডে গুহার দেওয়ালকে সেটাই ভাবত, বেশ কিছু ছবিতে গুহার গায়ের প্রাকৃতিক খাঁজ ও ভাঁজকে ছবির অংশ হিসেবে ব্যহার করা হয়েছে। গুহার দেওয়ালের ফাটল যেন সিংহের মুখ, যে সিংহ স্পিরিট ওয়র্ল্ড থেকে বেরিয়ে আসছে গুণিনের দিকে। যেন থ্রি ডাইমেনশনাল ইল্যুশন। ঠিক যেমন হয় ম্যাজিক মাশরুম খেলে। শুধু তাই নয়, মাশরুম ইন্ডিউসড অলটারড স্টেট অফ মাইন্ডে স্পিরিট ওয়ার্ল্ডের দেওয়াল ভাঙার জন্য পাথরের খাঁজে চাড় দেওয়ার প্রচেষ্টারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।
- - বুঝলাম এই মতে তার মানে শিল্প থেকে ধর্ম, সবকিছুরই উৎস আসলে নেশা, কিন্তু এটা। স্পেকুলেশন, কোন প্রমাণ টমান?
- - এইতো যুক্তিবাদী বেরিয়ে এসেছে। সাহারা মরুভূমির তাসিলিতে যে গুহাচিত্রগুলো আছে তাতে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখা যায়। গুণিনের সারা শরীরজুড়ে মাশরুম। স্পেনের কয়েভা পাসকুয়েলার গুহাচিত্রে অরকসের সামনে আছে অনেক অনেক মাশরুম। এছাড়াও অনেক জায়গাতেই বেশ কিছু মনুষ্যচিত্র দেখা যায়, তাদের মাথাটাই মাশরুমের মত।
- - উরিশ্লা
- - শুধু তাই কেন, সাইবেরিয়ার গুণিন বা শ্যামানদের মধ্যে মাশরুমের ব্যবহার প্রবলভাবেই আছে, ইনফ্যাক্ট শ্যামান শব্দটাই এসেছে সেখান থেকে। আমাদের শিবের সাথে গাঁজা ও ভাঙের কানেকশনটাও ভেবে দেখ। ১৯৬০এর দশক থেকে হিপি মুভমেন্ট , রক মিউজিকের মধ্যে দিয়ে যখন নতুন সংস্কৃতি ও শিল্পের জন্ম হচ্ছে, তার অনেকটা অংশ জুড়ে আছে এলএসডির মত ড্রাগের ব্যবহার।
- - দে তো, আজ একটু জয়েন্ট খেয়ে দেখি
- - পথে এসো
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন