রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০১৯

অযোধ্যা রায় ~ ডঃ রেজাউল করীম

সুপ্রিম কোর্টের এই রায় মোট ১০৪৫ পাতার। সেসব পড়তে ও পড়ে বুঝতে অনেক সময় লাগবে। এই রায়ে অনেক ফাঁকফোকর আবিষ্কার করে সমালোচনা হবে। প্রশংসা হবে, নিন্দা হবে। সেসব ভবিষ্যতের জন্য তোলা থাক। অনেকদিন পর একটা সমাধান এসেছে। মন্দির মসজিদ পিছনে ফেলে সামনের দিকে তাকাতে হবে। 
যারা হতাশ হয়েছেন তাঁদের বলি, এই রায় শুনে আমার বিখ্যাত হোদায়বিয়ার সন্ধির কথা মনে হয়েছে। যুযুধান "মুসলিম পক্ষ" যে পাঁচ একর জমি পেয়েছেন সেখানে এমন কিছু করুন যা বিশ্বের কাছে উদাহরণ হয়ে থাকবে। দেশে হাজার হাজার মসজিদ আছে।অনেকে আবেদন করছেন, আর মসজিদ না বানিয়ে সেখানে একটি হাসপাতাল বা বিশ্ববিদ্যালয় হোক। এই দাবী অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য ও বর্তমান সময়ের যুগোপযোগী দাবী। এই জমিতে গড়ে উঠুক নালন্দার মত একটি বিশ্বমানের শিক্ষা ও সংস্কৃতি কেন্দ্র। এর নাম যেন কোন রাজা বাদশার নামে না হয়।  এর দায়িত্ব দিন ইরফান হাবিব, ,সায়েদা হামিদ, জোয়া হাসান, জে কে ফয়জান, মালিক জাফর মাহমুদ, হামিদ আনসারি প্রভৃতি  মুক্ত মনের শিক্ষাবিদদের। আজিম প্রেমজি শিক্ষার জন্য হাজার হাজার কোটি খরচ করছেন। তাঁর সাহায্য নেওয়া হোক। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হোক অমর্ত্য সেনকে যিনি তিল তিল করে নালন্দার পুনর্জন্ম দিতে সাহায্য করেছেন। 
এ আমার একান্ত ব্যক্তিগত মত। কিন্তু মুসলিমদের নিয়ে এ দেশে যে কুৎসিত রাজনীতি হয়, অন্য ধর্মের অনেক মানুষ যে মুসলিমদের সম্পর্কে ভুল ধারনা পোষণ করেন তা দূর করার একটি সুবর্ণ সুযোগ পাওয়া গেছে। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করুন। নাহলে, মুসলিম সেমিনারিদের হাতে পড়ে আরেকটি দেওবন্দ গড়ে উঠলে তা এই সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত হানিকর হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন