বৃহস্পতিবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

আরজি কর কান্ডের নেপথ্যে ~ ডাঃ বিষাণ বসু

এই আন্দোলন এমন অভাবনীয় উচ্চতায় পৌঁছেছে - সমাজের সব অংশের মানুষের পবিত্র ক্রোধ যেভাবে প্রকাশ পাচ্ছে - যে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ দেখছি প্রতি মুহূর্তে - তাতে একে শুধুই ডাক্তারদের আন্দোলন বা ডাক্তারদের দেখানো পথে আন্দোলন বলে সীমায়িত করার প্রশ্নই নেই। এ একেবারেই জনগণের আন্দোলন। যথার্থ গণ-আন্দোলন। 

একটি মেডিকেল কলেজের একটি ঘটনা - যাকে 'ছোট ছেলেদের ভুল' বলে উড়িয়ে দেওয়া যেতেই পারত - এবং অন্তত একজন, আমার পরিচিত বৃত্তেরই একজন, তা-ই বলেছেন - হ্যাঁ, আরজিকর মেডিকেল কলেজের এক সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ 'প্রফেসর' আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের বলেছেন, দ্যাখ, রেপ-মার্ডার তো কেউ ইচ্ছে করে করে না, ভুল করে হয়ে গেছে, আর মেয়েটা তো মরেই গেছে, তাকে তো ফিরিয়ে আনা যাবে না, এখন যারা এর'ম করে ফেলেছে তারাও তো আমাদেরই ছেলে, তাদের কেরিয়ারটা তো নষ্ট হতে দিতে পারি না - বিশ্বাস করুন, একজন চিকিৎসক-অধ্যাপক সত্যিসত্যিই এরকম বলেছেন - তো যা-ই হোক, মেডিকেল কলেজের সীমার মধ্যে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা ঘিরে এমন বিপুল আবেগের বিস্ফোরণ আমি সুদূরতম স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি।

তাই একথা একবারও বলতে পারব না, যে, আপনারা এই আন্দোলনটা দেখছেন বাইরে থেকে - আর আমি দেখছি ইনসাইডার হিসেবে। কেননা, আমি জানি, এখানে আমার এবং আপনার অবস্থান একই - আমরা সবাই অংশগ্রহণকারী।

তবু কিছু কিছু দিকের কথা বলব, যেগুলো হয়ত আপনি আজ জানলেন - বা আগামীকাল কোনও 'ব্রেকিং নিউজ'-এর মাধ্যমে জানবেন - অথচ যে খবরগুলো আমি (এবং আমরা) অনেকদিন ধরেই জানি। জানি, এবং আপনাদের জানানোর চেষ্টাও করেছি - জানাতে গিয়ে সরকারের বিরাগভাজন হয়েছি - বাবা মারা যাবার মাসকয়েকের মাথায় বদলি হয়েছি, যে বদলির খবরে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বয়স্ক মা আরও বিপর্যস্ত হয়েছে, এবং বদলি হয়েছি সদ্য গড়ে ওঠা এমন মেডিকেল কলেজে, যেখানে ক্যানসার চিকিৎসার কোনও বিভাগ থাকা তো দূর, বসার মতো একটি টেবিল-চেয়ারও জোটেনি, এছাড়া আমাকে পদোন্নতির ইন্টারভিউয়ে বসতে দেওয়া হয়নি, ইত্যাদি প্রভৃতি আরও অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে, কিন্তু ব্যক্তিগত অভাব-অভিযোগ ফেসবুকে শোনানো বা প্যানপ্যান করার অভ্যেস আমার কোনও কালেই নেই, তাই আপনাদের এইসব কথা আগে বলিনি, আজও সেসব নিয়ে বিস্তারিত বলব না - তবে স্বাস্থ্য-দফতরের দুর্নীতি ও অনাচারের কথা আমি বারবারই বলে এসেছি, আপনারা শুনে আপাতভাবে বিচলিত হয়েছেন বটে, কিন্তু রাস্তায় নামেননি।

নামলে, 'অভয়া' মেয়েটা হয়ত বেঁচে থাকত। 

তবে হা-হুতাশ করার জন্য এই লেখা নয়। আসলে, এই আন্দোলনের সুবাদে এতজনকে, বিশেষত এত চিকিৎসককে আচমকা 'বিপ্লবী' হয়ে যেতে দেখছি - অনেকেই হয়ত এমনিতে সাতেপাঁচে থাকেন না, কিন্তু এবারে সত্যিসত্যিই তাঁরা বিচলিত হয়েছেন, 'অনেক হয়েছে আর না' বলে রাস্তায় নামছেন, কিন্তু এরই মধ্যে ডাকসাইটে বারবণিতা-সুলভ আচরণকারী কিছু চিকিৎসক-অধ্যাপককে যেভাবে আচমকা সতীলক্ষ্মী সেজে ঘোমটা টেনে তুলসীতলায় প্রদীপ হাতে নামতে দেখছি - তাতে ভয় হচ্ছে, ভোল বদলে এঁদেরও 'মূলস্রোতে' মিশে যাবার সম্ভাবনা। এই মুহূর্তে জল যে খুবই ঘোলা, সে নিয়ে তো সন্দেহের অবকাশ নেই - তাতে কইমাছ সেজে ঝাঁকে মিশে যাওয়া কী এমন কঠিন কাজ? তাই নিজের কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে এই লেখা।

এতদিনে আপনারা এটুকু জেনেছেন, যে, স্বাস্থ্য-দফতরে ভয়াবহ দুর্নীতি চলেছে গত কয়েকবছর। আরও নির্দিষ্ট করে বললে, অনাচারের চূড়ান্ত ঘটেছে মেডিকেল কলেজগুলোতে। তো মেডিকেল শিক্ষাব্যবস্থার একজন ইনসাইডার হিসেবে কয়েকটা কথা লিখে রাখা ভালো।

১. গত কয়েকবছর ধরেই ডাক্তারি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র মেডিকেল কলেজগুলোয় বিক্রি হয়। পরীক্ষার কত ঘণ্টা আগে কে প্রশ্ন পাবে, তার উপর দাম নির্ভর করে। অর্থাৎ পরীক্ষার আধঘন্টা আগে পেলে একরকম দাম, দুই ঘণ্টা আগে পেলে আরেকরকম (বেশি দাম)। সঙ্গে দেওয়া হয় স্ট্যান্ডার্ড উত্তর। সুতরাং এনআরএস মেডিকেল কলেজের এবং নর্থ বেঙ্গল মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার উত্তর কমা-ফুলস্টপ-সহ হুবহু মিলে যায়। (এখানে বলে রাখি, কেনাবেচা কিন্তু সবার জন্য নয়। অধিকাংশ ছাত্রছাত্রীকেই পড়াশোনা করে পাস করতে হয়েছে। সব মেডিকেল কলেজেই।) চিকিৎসক-অধ্যাপকদের সকলেই এটা জানতেন, জানেন। এ নিয়ে যাঁরা বিস্ময়ের ভান করছেন, তাঁদের মামণিকে বলুন কমপ্ল্যান খাওয়াতে।

২. প্রশ্নপত্র বিক্রির সার্কিটের মূল কেন্দ্র - রাজ্য স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়। সুহৃতা পাল যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, তখন থেকেই এই ব্যবস্থার শুরু। সঙ্গে চক্রের পরিচালক হিসেবে মূল - অভীক দে এবং বিরূপাক্ষ বিশ্বাস। পরীক্ষক হিসেবে কে কোথায় নিযুক্ত হবেন, কে কে 'কথা শোনে' এসব হিসেবনিকেশও ওখানেই কষা হয়।

৩. সুহৃতা দেবী প্রতিভাবান মানুষ। উপাচার্য থাকাকালীন তিনি নিজের ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে 'মেন্টর' হিসেবে নিয়োগ করেন - ছেলে নিয়মিত মাসোহারাও পেত - নিয়োগ ঘটে পরীক্ষা বা ইন্টারভিউ ছাড়াই। এছাড়াও ছেলের নবগঠিত কোম্পানিকে বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের কন্ট্র‍্যাক্ট পাইয়ে দেন। সন্দীপ ঘোষ, সুশান্ত রায়, অভীক দে, বিরূপাক্ষ বিশ্বাস প্রমুখ তারকাদের ভিড়ে সুহৃতা পালের মতো গুণী মহিলার নামটি (বারাসাত মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষা) ইদানীং পেছনের সারিতে চলে গিয়েছে, ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনক। 

৪. অভীক দে এসএসকেএম হাসপাতালে সার্জারি বিভাগের ছাত্র। প্রান্তিক অঞ্চলে কোভিড বিভাগে 'সার্ভিস' দেবার সুবাদে বিশেষ কোটা পেয়ে তিনি স্নাতকোত্তরে ঢুকেছেন। বর্ধমান শহরের মেডিকেল কলেজের অনাময় ইউনিট কি 'প্রান্তিক অঞ্চল'? তদুপরি, অভীক দে যেসময় 'সার্ভিস' দিয়েছিলেন বলে দাবি করা হয়েছে, সেসময় সরকার 'কোভিড ওয়ার্ড' বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তবু অভীক দে কোটা পেলেন কী করে? সার্টিফাই করেছিলেন ডা কৌস্তভ নায়েক। বর্ধমান মেডিকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষ। যিনি বর্তমানে রাজ্যের স্বাস্থ্যশিক্ষার সর্বোচ্চ পদে আসীন। ডিরেক্টর অফ মেডিকেল এডুকেশন। ডিএমই।

৪. মেডিকেল এডুকেশন সার্ভিসে বদলি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ অনেকদিনের। ইদানীং পরিস্থিতি বহুগুণে খারাপ হয়েছে। লাখ লাখ টাকা ঘুষের কারবার। এখানেও ডা অভীক দে ও বিরূপাক্ষ বিশ্বাসের হাতযশ। সঙ্গে আরজিকর মেডিকেল কলেজের এক জুনিয়র ডাক্তার ডা সৌরভ পাল। সে যা-ই হোক, সর্বোচ্চ পদে আসীন ডা কৌস্তভ নায়েকের স্নেহের পরশ তথা স্বাক্ষর বাদে কোনও বদলিই কার্যকর হতে পারে না - পারত না - বলা-ই বাহুল্য। অবশ্য যাঁরা খবর রাখেন, তাঁরা সকলেই জানেন - অভীক দে-ই আসল ডিএমই, বাকি কৌস্তভ নায়েক-টায়েক স্রেফ ফর্ম্যালিটি। এবং রাজ্যের প্রতিটি মেডিকেল কলেজে - হ্যাঁ, প্র-তি-টি মেডিকেল কলেজেই - অভীক দে তথা উত্তরবঙ্গ-লবির বিশ্বস্ত অনুচরেরা রয়েছেন। ছাত্র হিসেবে, বা জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে, অথবা চিকিৎসক-অধ্যাপক হিসেবে - ক্ষেত্রবিশেষে প্রশাসক হিসেবেও।

৫. চিকিৎসাক্ষেত্রে নৈতিকতা তথা এথিক্সের দিকটি রক্ষিত হচ্ছে কিনা, তা দেখার ভার রাজ্য মেডিকেল কাউন্সিলের। বিগত নির্বাচনে যাঁরা 'নির্বাচিত' হয়ে এসেছেন - ঠিক কীভাবে তাঁরা জিতেছিলেন, সে বিষয়ে বিস্তারে যাচ্ছি না, শুধু আনন্দবাজারের একটি সম্পাদকীয়-র লিঙ্ক কমেন্টবক্সে দিয়ে রাখছি - তো নির্বাচিতদের মধ্যে রয়েছেন ডা সুদীপ্ত রায় (প্রেসিডেন্ট), ডা সুশান্ত রায় (ভাইস-প্রেসিডেন্ট), ডা অভীক দে প্রমুখ। বিভিন্ন কমিটিতে আমন্ত্রিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ডা সন্দীপ ঘোষ, ডা বিরূপাক্ষ বিশ্বাস, ডা সুহৃতা পাল, ডা সৌরভ পাল প্রমুখ। সকলেই, বলাই বাহুল্য, স্বনামধন্য। এহেন মেডিকেল কাউন্সিল যে আমজনতার অভাব-অভিযোগ খুঁটিয়ে দেখা ও মেডিকেল এথিক্সের বিষয়গুলোর পর্যালোচনার চাইতে ব্ল্যাকমেইলিং ও তোলাবাজির দিকে বেশি নজর দেবে, সে নিয়ে তো সংশয়ের অবকাশ নেই।  

৬. মেডিকেল কাউন্সিল ইদানীং মেডিকেল কলেজে কলেজে ঘুরে নতুন ছাত্রছাত্রীদের এথিক্সের পাঠ দিয়ে থাকেন। সেখানেও এঁরাই শিক্ষক। যেমন আমাদের ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজে একবার এথিক্স পড়াতে এসেছিলেন বিশিষ্ট নীতিবান অধ্যাপক বিরূপাক্ষ বিশ্বাস ও নীতিচূড়ামণি সুশান্ত রায় মহোদয়। এবং এমন শিক্ষকরা যাতে এতটুকু মনোক্ষুণ্ণ না হন, তাই কলেজে কলেজে অধ্যক্ষরা এমন শিক্ষাক্রমে সকল অধ্যাপক-চিকিৎসকও (যদিও অনুষ্ঠানটি ডাক্তারি ছাত্রছাত্রীদের জন্যই) যাতে অবশ্যই হাজির থাকেন, সেই মর্মে দস্তুরমত হুলিয়া জারি করেন।

৭. কলেজে কলেজে অধ্যক্ষ হিসেবে যাঁরা আছেন, এবং এমএসভিপি হিসেবেও, (বিরল ব্যতিক্রম বাদে) তাঁদের প্রায় সকলেই উত্তরবঙ্গ-লবির ধামাধরা। এঁদের মধ্যে কারও কারও মেরুদণ্ড রয়েছে - সে মেরুদণ্ড কারও জেলি-র মতো, কারও বা রাবারের মতো - অনেকেরই আবার মেরুদন্ডটি সম্পূর্ণ অনুপস্থিত। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে গত কয়েকবছরের এই অভাবনীয় অরাজকতা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে এঁদের সক্রিয় সহযোগিতার সুবাদেই। এঁদের কেউ কেউ কুকাজে সহযোগিতা করেছেন 'উপরমহলের নির্দেশ মেনে', কেউ আবার আগ বাড়িয়ে প্রোয়্যাক্টিভ হয়ে, প্রশাসনের সুনজরে আসার লোভে। অনেক বিভাগীয় প্রধানের ক্ষেত্রেও এই একই কথা। আন্দোলনের ঢেউয়ে এঁরা কেউ কেউ এখন ভালো সাজার চেষ্টা করছেন, কিন্তু আগের কাজকর্মগুলো ভুলে যাওয়া মুশকিল। 

আরও অনেক কথা-ই লেখা যেত - এবং আরও অনেক নামও। কিন্তু লেখাটা ফেসবুকের পক্ষে অলরেডি বেশি লম্বা হয়ে গেছে, আর বড় হলে কেউ পড়বে না।

মোদ্দা কথা হলো, স্বাস্থ্য-শিক্ষাব্যবস্থার যে বেহাল পরিস্থিতি, তাকে অন্তত কিছুটা ভদ্রস্থ অবস্থায় দাঁড় করাতে গেলেও যা যা বদল এখুনি করতে হবে - যে যে বদল না করলেই নয় -

ক) স্বাস্থ্য ভবনের শীর্ষপদে বদল। স্বাস্থ্যপ্রশাসক, যেমন ডিএমই থেকে শুরু করে আমলাদের (প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি ও হেলথ সেক্রেটারি, যাঁরা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকেন, অভীক-বিরূপাক্ষদের সঙ্গে গা-ঘষাঘষি করেন, তাঁদের) বদল। মেডিকেল কলেজগুলোর অধ্যক্ষ ও উপাধ্যক্ষদেরও বদলি দরকার - তবে শীর্ষপদে বদল ঘটলে, সম্ভবত, তাঁরা আপাতত সমঝে যাবেন। অধিকাংশই হাওয়ামোরগের জাত - হাওয়া বদলাচ্ছে বুঝলে শুধরে যেতে সময় লাগবে না।

খ) বর্তমান মেডিকেল কাউন্সিল এখুনি ভেঙে দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন তদারকি কাউন্সিল গঠন করে নতুন কাউন্সিল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করা।

এতগুলো কথা এজন্য বলা, কেননা, মূল ঘটনাটা ঘটেছে মেডিকেল কলেজে - যেখানে চরম অরাজকতা ও দুর্নীতির চাষ না হলে এ ঘটনা ঘটতেই পারত না এবং সেই ঘটনাকে লুকোনোর জন্য এতশত অপপ্রয়াসও হতো না - সুতরাং 'অভয়া'-র ধর্ষণ-খুনের ঘটনার 'জাস্টিস' চাওয়ার অন্যতম দিক, অন্তত আমার চোখে, এই পরিস্থিতির বদল। সম্পূর্ণ শুদ্ধিকরণ যদি না-ও হয়, পরিস্থিতির অন্তত খানিকটা উন্নতি।

হ্যাঁ, প্রমাণ লোপাটের জন্য বিনীত গোয়েলের অপসারণের দাবি খুবই যুক্তিযুক্ত। তবে মনে রাখতে হবে, প্রমাণ লোপাট বলতে তিনি এক তাল বিষ্ঠাকে কার্পেটের তলায় চাপা দিতে গিয়ে লেবড়ে ফেলেছেন।

কিন্তু বিষ্ঠাটি এলো কোত্থেকে? এই বিষ্ঠা কোন পায়ুদ্বার হতে নির্গত?

বিনীত গোয়েল - বা বিনীত গোয়েলরা - সরে যেতে পারেন (বা তাঁকে সরিয়েও দেওয়া হতে পারে), কিন্তু মূল উৎসমুখ বিষয়ে এখনই সোচ্চার না হলে পরবর্তী বিষ্ঠা চাপা দেবার জন্য উপযুক্ত সময়ে পরবর্তী কোনও বিনীত গোয়েল ঠিকই হাজির হয়ে যাবেন।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন