রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৯

বিজেপির কৃতিত্ব ~ কৌশিক দত্ত

ভোটের আগে বিজেপির হয়ে একটু প্রচার করি। ভারতের ইতিহাসের গৌরব গাথা, পাশ্চাত্য সভ্যতার চেয়ে আমাদের এগিয়ে থাকার কাহিনি, যা স্বদেশপ্রেমে আমাদের মথিত করবে। 

গণেশের হেড ট্রান্সপ্লান্ট, কুবেরের জেট প্লেন ইত্যাদির কথা আমরা জানি। এসব হল প্রাচীন ভারতের গৌরব। আজ বলতে চাই যে মধ্যযুগেও ভারত ছিল সর্বাগ্রগামী। আজকের পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিধর দেশ আমেরিকা কী করে এই জায়গায় পৌঁছল? কারা আমেরিকা তৈরি করেছে? কারা সেখানে পৌঁছে দিল সভ্যতার আলো? এসবের যে উত্তর আপনারা দেবেন, তা ভ্রান্ত। মিথ্যেবাদী ইউরোপীয়রা আপনাদের ভুল শিখিয়েছে। সঠিক উত্তর জানুন। আমেরিকার পত্তন করেছেন ভারত মায়ের মহান সন্তানেরাই। তার মধ্যে আবার বাঙালিদের ভূমিকা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য। (এই কারণে বিশ্ব বাঙলার কপিরাইট হোল্ডার এবং বাঙলা পক্ষের যোদ্ধারা ক্রেডিটের একাংশ বিজেপির থেকে নিজেদের দিকে টেনে নিলে সেই অঘটনের জন্য কোং দায়ী নহে।) আপাতত আমাদের প্রতিপাদ্য প্রমাণ করতে অল্প কয়েকটি ঐতিহাসিক উদাহরণ দেব, যা থেকে ব্যাপারটা জলের মতো 'পোস্কার' হয়ে যাবে৷           

১) বাঙলায় শ্রীরাম পাঁচালি (যা রামায়ণের অনুবাদ হিসেবে সমধিক পরিচিত) রচনা করেন সাধক কবি কৃত্তিবাস ওঝা। তাঁর জেঠতুতো ভাই শ্রীনিবাস। শ্রীনিবাসের মেজো ছেলের নাম ছিল কলমবাস। তিনি প্রথম জেন্ডার ইকুয়ালিটি প্রতিষ্ঠাকল্পে বেহুলার কায়দায় কলার ভেলায় চড়ে সাগরে ভেসে পড়েন। ভাসতে ভাসতে তিনি চলে যান পশ্চিমে। সেখানে কিছু দ্বীপ আবিষ্কার করে দেশপ্রেমিক কলমবাস তার নামকরণ করেন পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ।  

২) কলমবাসের কৃতিত্বে অনুপ্রেরিত হয়ে কৃষ্ণনগরের মহারাজার শ্যালক তথা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুড়শ্বশুরের অতিবৃদ্ধ প্রপিতামহ একটি আম আঁটির ভেঁপু বাজাতে বাজাতে দ্বীপপুঞ্জ ছেড়ে নিকটবর্তী মহাদেশের মূল ভূখণ্ডে উপস্থিত হন। সেদেশের প্রাচীন বাসিন্দারা বিচিত্র বাদ্যযন্ত্রটি দেখে কৌতূহল প্রকাশ করছেন মনে করে শ্যালক মহাশয় ব্যাখ্যা দাখিল করেন, "আমেরই গো ভেঁপুটি।" বাস্তবে রেড ইন্ডিয়ানদের দলপতি আগন্তুকের নাম জানতে চাইছিলেন। এই উত্তর পেয়ে তিনি ধরে নেন অতিথির নাম আমেরিগো ভেসপুচি৷ সেই নামটিই তাঁদের থেকে ইউরোপীয়দের কানে পৌঁছায় এবং ইতিহাসে স্থায়িত্ব লাভ করে। এই ঘটনার ফলেই মহাদেশটির নাম হয় আমেরিকা। 

৩) অতঃপর শীলভদ্র এবং বলভদ্র নামে নামে দুই ভাই সেখানে যান। শীলভদ্র মধ্য আমেরিকার এক দুর্গম অঞ্চলে পদার্পণ করেন। তাঁর আগমনের পূর্বরাত্রে সেখানকার রাজা স্বপ্নাদেশ পান, নতুন রাজা আসছেন, তাঁর হাতেই তুলে দিতে দেশের শাসন ভার। রাজা পরদিন ভোরবেলা উঠে "এল শীলভদ্র, এল শীলভদ্র…" বলতে বলতে নগরের সিংহদুয়ার অভিমুখে ছুটে যান এবং শীলভদ্রের পাদবন্দনা করে তাঁর মাথায় রাজমুকুট পরিয়ে দেন। সেই ঘটনা থেকে দেশটির নতুন নাম হয়, "এল শীলভদ্র।" দেবভাষা না জানা ইস্পাহানিদের উচ্চারণ প্রমাদে যা আজ "এল সালভাদর"। 

৪) বলভদ্র ছিলেন উত্তম রাঁধুনি। আমেরিকার পশ্চিম উপকুলে একটি মনোরম স্থানে তিনি প্রথম আমেরিকানদের কালি জিরা (কালো জিরে) ফোড়ন দিয়ে রান্না করা শেখান। সেই থেকে রাজ্যটির নাম হল কালিফোড়নিয়া। বলভদ্রের নামে একটি নগরের নাম হয় বেলভেদর।     

৫) ওয়াশিংটন যে পঞ্জাব দা পুত্তর ওয়াহে সিং তনবীরের নিজের হাতে প্রতিষ্ঠিত, তা নিশ্চয় নতুন করে কাউকে বলে দিতে হবে না। 

এরকম অজস্র উদাহরণ আছে, কিন্তু এখন খিদে পেয়েছে। তাই আজ এটুকুই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন