রবিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০০৯

তৃনমূলী তরজা ~ তুলি, সমিত

কবিয়াল উবাচঃ ৬
ভারত-খ্যাত "দূর্ব্যো" দলের,
সুপ্রিমো মহাশয়া;
টার্ন-ওভারও ভাগ করে নেন,
আপনার অসীম দয়া।

আপনিই আমার Godsister,
আমার ভরসা আশা,
একটি চালেই বদলে দিলেন
সাজিয়ে ফেলা পাশা।

হে অধিনায়িকা, আপনার সাথে
আছি এবং থাকবো,
১১-র পরে যাহাই আসুক,
টেন পার্সেন্ট রাখবো।

আপনি আমার ইশ্বর আর,
আল্লা আমার কোলে,
আসুন এবার শান্তি খুঁজি,
কচি পাঁঠার ঝোলে।

 নেত্রি উবাচঃ

জানি কে ভরায় কান, অতিবাম না বামায়,
সকলেরই আশ্রয় আমার ডাঙ্গায়।
মাল-কড়ি কম পেলে, মেলবে ডানা-
ফাঁদে পড়ে ডোম তুই, হোসনি কানা।

 সব ছেরে ধর, কিষানজ়ীরে-
CPM রে কর চক্ষুশূল ।
৫-টারে তুই Double কর
তবেই বাঁচবে তৃণমূল।

 কবিয়াল উবাচঃ ৭
 অগ্নিকন্যা দিদিমনির,
আগুন-পাখি ভাই।
বড়দা এলে আসে ছোড়দাও
চাই তো এমনটাই।

কিষাণ কে নিয়ে ভেবেছিলাম
গড়বো "বিল্লি" খামার,
ভেস্তে দিলো দিল্লীর boss
চিদম্বরম চামার।

"আমারও পরাণ" কুট কুট করে
আরো চাহিদার টানে,
অবস্থা খাজা, আমদানী নেই,
জীবনমুখী গানে।

তার থেকে বাবা এই বেশ ভাল,
সিপিয়েম ধরে মারি,
বেঁচে থাক তব brand চপ্পল,
ও বহু-চর্চিত শাড়ী।

 নেত্রি উবাচঃ

 অগ্নিকন্যার আগুনখেকো
আছে ভাই যত গায়ক-নায়ক!
সকলের তো ধান্ধা একই ,
মন্ত্রী, সাংসদবা বিধায়ক।

ছোড়দা, বড়দা সবাই চেনা
দেখেছি কত 'প্রগতি'
Branded ওই চপ্পলেতে
বাঁধা ওদের গতি।

ওনারা সব মস্ত লায়েক-
আসলে তো ধান্ধাবাজ
আপাতত পদলেহনই-
তেনাদের প্রধান কাজ।

 সবার এখন আমার প্রতি
কতই না সম্ভ্রম।
দিন ফুরালে ঠিকানা জানি,
'হরিশ'- 'বৃদ্ধাশ্রম'


কবিয়াল উবাচঃ ৮
 অপরাধ নেবেন না
মম দিদিভাই,
ভাইদের বাড়া ভাতে,
দিতে নাই ছাই।

একদা রাজ্যবাসী
দিয়াছে সাহারা,
এগোবেন ক্যামনে এ
ভাইয়েদের ছাড়া।

হাবে-ভাবে আপনি যে
তুলসীর পাতা,
সাবধানে রাখবেন
সিঙ্গুরের খাতা।

ঝুলি তে বিড়াল রেখে
ভাইয়েদের পানে,
আঙ্গুল তুলিতে নাই,
যেখানে সেখানে।

 নেত্রি উবাচঃ
  
ভাইরা কি জিনিষ ভায়া
ভেবেছো কি নেই জানা ?
দিতে পাকা ধানে মই
তাদেরও তো জুড়ি নেই
দেখলাম কত-শত
হাড়-বজ্জাত যত।
তর্জনি না হেলালে
তারাই দাগবে দানা।

নেত্রী না হ'তে পেরে
এসেছি কংগ্রেস ছেড়ে,
সাথে ছিল ক'টা ভাই !
সেকথা কি জানা নাই?
জেনে নিও তার কাছে
কালীদাস যে হয়ে আছে?
ট্যাক্সি, ট্রামে যুদ্ধ করে
গেছে বসে গো-হেরে।

অনেক হয়েছে কথা
দিয়েছো অনেক ব্যাথা-
এইবারে হও তুমি শান্ত।
এখন না হলে চুপ
করে দেব নিশ্চুপ-
যেমন হয়েছে, নিশিকান্ত।

 কবিয়াল উবাচঃ ৯
 যদি ভাবো যা মিলিবে,
সবই খাবে একা;
পেটোয়া লোকের আঁতে,
লাগবেই ছ্যাঁকা।

দূর কে করিলে নিকট ভাইটু,
ভুলায়ে আপন পর;
দূধের থেকেও বেশী দামী হলো,
আসল দূধের সর।

প্রথম যখন কংগ্রেস আই,
হেলায় ছাড়িয়াছিলে;
তখনই রাজ্যে শুরু হয়েছিল,
দল-বদলের রিলে।

পরিস্থিতি যে বদলিয়া গেছে,
কয়েক বছর গত;
পরিবর্তন পাইয়াছো হাতে,
তিলের নাড়ুর মত।

এই অধ্যায় সেনাপতিদের,
এমনি দিয়োনি হ্যাটা;
হস্ত ধুইয়া পিছনে লাগিবে,
সকল আঁতেল ব্যাটা।

Moral হইলো "মদন-বেচু
ও পার্থ-শুভার দল,
যার সাথে আছে - নড়িবে বাতাসে
তার ধর্মের কল"।

 নেত্রি উবাচঃ
 আছি তাই করছে কামাই
নচি, কীর্তণীয়া,
আমার টানে তোলে তান
পূর্ণ , রসিদ মিঞা।

শ্যামল বরণী কন্যা তিনি
নাম ভাঙ্গানো কাম।
অনাৎবতীরও দিশা এখন
আমার 'হরিশ'-ধাম।

আঁকিয়ে, নাচিয়ে,বলিয়ে কইয়ে
কেহই নয় 'ব্রাত্য '
সবার উপরে, আমি 'সুপ্রিমো
আমিই কেবল সত্য।

আমি বলে তাই
দিয়ে থুয়ে খাই
প্রসন্ন রাখি চিত্ত
করলে বড়াই
ভাতে দিব ছাই
দেখাবো কালীর নেত্য।

 কবিয়াল উবাচঃ ১০
 কামাই করিয়ে, জামাই আদরে,
বসিয়ে রেখেছ পাশে;
সমবেত ভাবে জাগছে বাংলা,
তোমার পৌষ মাসে।

গণতান্ত্রিক বিপ্লব আজ
অদ্ভুত এক বাঁকে,
দাড়িচাচা বসে কাক-seriesএর
নয়া তসবির আঁকে।

শ্যামলা বরন ব্যক্তিত্বের
সফেদ-বর্ণ কেশ,
"মেধাবী" চামচা escort করে,
বন্দোবস্ত বেশ।

আগে থেকে যদি জানতুম,
তবে আম্মো হরিশ-ধাম,
সকলেরে তুমি গুছিয়ে যে দিলে
আমারই বিধি টা বাম।

এসো তবে একসাথে আজ মোরা
নতুন বাংলা গড়ি,
বিদ্রোহীদের supply দিই
কলসী এবং দড়ি।

হে "সুপ্রি-মা" তুমি ই সত্য,
আর সব কিছু মিছে,
কবিয়াল কেই Priority করো,
আর সব্বাই পিছে।

(আগের তরজাঃ তরজা ১ )

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন