বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

সরকারি কর্মচারী ~ সুভাশীষ

পরিবর্তনের সরকার মানুষের আকাঙ্খাতেই ক্ষমতা এসেছিল। আর পূর্বতন সরকার আর পার্টির নানা ত্রূটিবিচ্যুতি ছিল, সে তো তারাই পরবর্তীকালে নানা লেখাপত্রে আত্মসমালোচনা করেছেন। এই দুটো প্রতিপাদ্য নিয়ে আমি কোনও বিবাদ করিনি। কিন্তু গোল বেঁধেছে অন্যত্র। সরকার আর কর্মচারী সংগঠনের আন্ত:সম্পর্ক নিয়ে যে বিশ্লেষণ শুনছি, সেটা নিয়ে কিছু আলোচনা করা দরকার। 

এটি ঠিক যে বামফ্রন্ট সরকারকে রক্ষা করার স্লোগান এই রাজ্যের কর্মচারী সমাজের একটা বিরাট অংশ দিয়েছিলেন। কেউ কেউ অতি উৎসাহে 'চোখের মনির মত রক্ষা করার' কথাও বলতেন। সরকারী কর্মচারীদের সার্ভিস রুলে দলীয় রাজনীতি করার অধিকার নেই। সেটা ব্রিটিশ সার্ভিস রুলে আছে। কিন্তু দেশের  রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে সরকারী কর্মচারী ও তাদের পরিবারের ভাগ্য যেহেতু অবিচ্ছেদ্যভাবে যুক্ত আছে, তাই নির্বাচনে তাঁরা নির্বিকল্প ভূমিকা পালন করতে পারেনা। আবার সরাসরি কোনও পক্ষকে ভোট দিতে বললে সেটা সার্ভিস রুলে আটকায়। তাই খেয়াল করলে দেখা যাবে নির্বাচনের সময় সংগঠন বলেছে 'জীবন ও জীবিকার অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সপরিবারে ভোটাধিকার প্রয়োগ করুন।' 

এটা ঠিকই যে ২০১১ সালে বামফ্রন্টে নির্বাচনী বিপর্যয়ের বছরেও কর্মচারীদের ভোট বিপুলভাবে বামফ্রন্টের পক্ষেই গিয়েছিল।  বাম সরকারের প্রতি কর্মচারীদের এই পক্ষপাত তো তাদের অভিজ্ঞতাসঞ্জাত। এখানে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল  কর্মচারীদের সঙ্গে বামপন্থীদের এই মৈত্রী কিন্তু গড়ে উঠেছিল বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার বহু পূর্বে সুদীর্ঘ সংগ্রামের মধ্য দিয়ে। সর্বস্তরে  গণতন্ত্রের প্রসার, জমি বা খাদ্যের দাবিতে বিপুল সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এরাজ্যে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ১৯৭৭ সালে। দুর্ভাগ্য আজকের প্রজেন্মর জানাই নেই যে এই সব সংগ্রামের মধ্যে ওতোপ্রতোভাবে বামপন্থীরা লড়াই করেছিলেন সরকারী কর্মচারীদের দূরাবস্থা নিরসনেও। লোকসভায়, বিধানসভায় এবং রাস্তায়। 

সরকারি কর্মচারীদের দাবির সমর্থনে আইনসভাগুলিতে জ্যোতি বসু, হরেকৃষ্ঞ কোঙার, ভূপেশ গুপ্ত, জ্যোতির্ময় বসু, এ কে গোপালন, ইন্দ্রজিত গুপ্তদের বহু স্মরণীয় ভাষণ এখনও রোমাঞ্চ জাগায়। 1958 সালে এসপ্লানেড ইষ্টে সরকারি কর্মচারীদের অভিযান  আটকাতে জমায়েত তিন দিক থেকে ঘিরে নিয়েছিল সশস্ত্র পুলিশ। অবধারিত জালিওয়ানাবাগের পরিস্থিতিতে ধূমকেতুর মত আবির্ভূত হয়ে অসীম সাহসে মিছিল বার করে নিয়ে গিয়েছিলেন ৫ ফুট ২ ইঞ্চির এক খর্বকায় বাঙালী। জ্যোতি বসু! 

স্বাধীনতার পর ৭৭ -পূর্ববর্তী পুরো সময়টাই ছিল সরকারী কর্মচারীদের কাছে একটা কালো অধ্যায়। ডাঃ বিধান রায়ের মত মানুষ প্রকাশ্যেই বলতেন, সরকারী কর্মীরা সরকারের গোলাম। বলতেন, কর্মীরা  দাবি নয়; সরকারের কাছে প্রার্থনা করতে পারে। সে সময় কুখ্যাত Service Conduct Rule ছিল। গ্রুপ ডি কর্মীদের অফিসে  বসার অধিকার ছিলনা। সাহেবের ঘরে জুতো খুলে ঢুকতে হত। অধস্তন কর্মচারীরা উপরওয়ালাকে চিঠি শেষ করতেন 'your most obedient servant' বলে। গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন করলে নেমে আসত নির্মম শাস্তির খাঁড়া। পুলিশের লাঠি, গ্রেপ্তারি, হুমকি, বাড়িতে আক্রমণ,  বদলী, পে কাট, সুপারসেশন, সাসপেনসন,  ইনক্রিমেন্ট কাট; মায় সংবিধানের ৩১২ ধারায় আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে সরাসরি বরখাস্ত। 

অনেকে নিশ্চই জানবে সে সময় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য পশ্চিমবঙ্গের মানুষের আন্দোলনের সঙ্গে সরকারী কর্মচারীদের আন্দোলন মিলে মিশে একাকার হয়ে গিয়েছিল। তাই অবলীলায় সরকারী কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার দাবিতে মিছিলে নামতেন সাধারণ মানুষ। এই পটভূমিতেই ৭৭ সালে বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে রাজ্যের অন্যান্য অংশের মানুষের সাথে মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলেন সরকারী কর্মচারীরাও। তারপর যা হয়েছিল তা ইতিহাস! নিছক পাওনা-গন্ডা ছেড়ে দিলাম, মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন সরকারি কর্মীরা। বাতিল হয়েছিল সার্ভিস কন্ডাক্ট রুল,  অফিসে বসার অধিকার ও মাথার উপর ফ্যান পেয়েছিলেন গ্রুপ ডি কর্মীরা। 'সরকারের গোলাম' থেকে 'জনগণের সেবকে' উত্তীর্ণ হয়েছিলেন কর্মচারী সমাজ। ফেরৎ এসেছিল মাথা উঁচু করে সংগঠন করার অধিকার। দলমত নির্বিশেষে রাইটার্সে, কালেক্টরেটগুলিতে সংগঠনের কাজ করার জন্য অফিসঘর দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের লিখিত অর্ডারে।  কো-অর্ডিনেশন পেয়েছিল, ফেডারেশনও।  সংগঠন মন্ত্রী-আমলাদের সঙ্গে দেখা করতে চাইলে দ্রূত সময় দিতে হবে, সংগঠন চিঠি দিলে উত্তর দিতে হবে--- আদেশনামা বার করেছিল বামফ্রন্ট সরকার। মুখ্যমন্ত্রীরা কর্সমচারীদের সম্বোধন করতেন  'প্রিয় সহকর্মী' বলে। জ্যোতি বসু সার্ভিস রুল পাল্টে ধর্মঘটের অধিকার দিয়েছিলেন রাজ্য কর্মীদের (জরুরি পরিষেবা ছাড়া)। যেটা ভূভারতে নেই। অনেকে মানা করেছিলেন। শোনেননি। আমি নিজের কানে শুনেছি, রাজ্য কর্মীদের সভায় বলেছেন, "ধর্মঘটের অধিকারটা ছাড়বেন না। বামফ্রন্ট সরকারের হাতেও নয়।" 

তাই বলছিলাম, বাম সরকারকে রক্ষা করার শ্লোগানটা কেউ ফতোয়া জারী করে দেয়নি, ওটা উঠে এসেছিল কর্মচারীদের ভিতর থেকে, তাঁদের জীবনলব্ধ অভিজ্ঞতা থেকে। ঠিকই, সময়ের সাথে সাথে যেমন ষাট-সত্তরের দশকের স্মৃতি কর্মচারীদের মধ্যে ফিকে হয়েছে, তেমনই সরকারের মতাদর্শগত অবস্থানও কোথাও-কোথাও শিথিল হয়েছে। কিন্তু ঘটনা হল, সেটা নিয়ে মন্ত্রিসভার সঙ্গে কো-অর্ডিনেশন কমিটির তুমুল সংঘর্ষও হয়েছে। আমরা তাঁর সাক্ষী। ২০০৫ সালে সূর্যকান্ত স্বাস্থ্য দপ্তর বেসরকারী করে হেল্থ কর্পোরেশন গঠন করতে চেয়েছিলেন।পাঁচ হাজার কর্মী নিয়ে স্বাস্থ্য ভবন ঘেরাও করেছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। সিদ্ধান্ত রদ হয়েছিল। 

জ্যোতিবাবুর সময়কাল থেকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীরা যেতেন কো-অর্ডিনেশনের সম্মেলনে। বাছাই করা বক্তাদের মঞ্চে তুলে দেওয়া হত সরকারের সমালোচনার জন্য। ২০০৪-এর পুরুলিয়া সম্মেলন। সম্মেলন চলাকালীন  প্রলয়াঙ্করি  সুনামি হল এশিয়ায়। সম্মেলনের ভিতরেও সুনামি। অবসরের পর আমলাদের গণহারে পুনর্ণিয়োগসহ নানা ইস্যুতে সরকারকে তুলোধোনা করছেন উত্তর দিনাজপুরের শম্ভু চক্রবর্তী, মুর্শিদাবাদের আশিস বাগচী , উত্তর ২৪পরঘনার খগেন নাগেরা। সেই সময় আমাদের রেজিস্ট্রার ছিলেন এন জি চক্রবর্তী। অবসরের পর তিনিও রি-এমপ্লয়েড হয়েছিলেন  আর সি এস পদে। কো-অর্ডিনেশন সব সংগঠনের কাছে রি-এমপ্লয়েড আমলাদের তালিকা চেয়েছিল। আমরা এন জি চক্রবর্তীর নাম পাঠিয়েছিলাম। কেউ একজন দপ্তর ধরে ধরে এই সব আমলাদের নামের তালিকা পড়ছেন আর আর থমথমে মুখে শুনছেন বুদ্ধবাবু। অথচ কী বৈপরিত্য; তার আধঘন্টা আগে। মঞ্চে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নিরাপত্তারক্ষীদের নানা কায়দা-কানুনের জেরে ১৫মিনিট বন্ধ হয়ে আছে অমন সুশৃঙ্খল সম্মেলন। শেষে ধৈর্যের বাঁধ ভাঙল স্মরজিতদার। (তৎকালীন সাধারণ সম্পাদকের)। মাইক টেনে বললেন, নিরাপত্তা অফিসারদের বলছি, "আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, আমরাই নিরাপত্তা বুঝে নেব। আপনারা দয়া করে নেমে যান।'। সম্মেলন কক্ষ ফেটে পড়ল করতালিতে। বিব্রত হয়ে নেমে গেলেন এসপিজি অফিসারেরা। 

সমবায় ক্ষেত্র। রাজ্য সরকার বৈদ্যনাথন কমিটির সুপারিশ কার্যকর করবেই। আমরা বামফ্রন্টের রাজনৈতিক দলিল খুঁজে দেখিয়ে দিলাম কেন্দ্রীয় সরকারের শর্ত মেনে মৌ স্বাক্ষর করলে তা বামফ্রন্টের নীতি বিরোধী হয়ে যাবে। মৌলালীতে সংগঠন আলোচনাসভা আহ্বান করল। বিনয় কোঙারকে বসিয়ে রেখে ক্ষুরধার বক্তব্য রাখলেন প্রণব চট্টোপাধ্যায়। শেষে অসীম দাশগুপ্ত ডেকে পাঠালেন। কো-অর্ডিনেশন কমিটির জেনারেল সেক্রেটারিকে নিয়ে দেখা করলাম। বললেন আপনাদের অবস্থান সঠিক। তবে অনেকগুলো টাকা দেবে। সর্বভারতীয় চাপ আছে। তবে আমরা আইনের ন্যূনতম সংশোধন করব। যদি দেখা যায় নতুন আইনে খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, আবার  পর্যালোচনা করব। এই ছিল বামফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে কর্মচারীদের সম্পর্ক।

এ থেকে কী প্রমাণিত হয়? বামফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে কর্মচারীদের লড়াই হয়নি? প্রকৃত প্রস্তাবে সরকার রক্ষা নয়, সেটা ছিল আদতে বামফ্রন্টের নীতি রক্ষার লড়াই। মধ্যেকার দ্বন্দ্বটা তাই ছিল ভ্রার্তৃত্বমূলক, নন-অ্যান্টাগনিস্টিক। কর্মচারী জানত খোদ বামফ্রন্ট সরকারটাকেই  উচ্ছেদ করে দিলে বামফ্রন্টের নীতি রক্ষা করা যাবেনা। তাই আলবাৎ সরকারের সঙ্গে আমাদের লড়াই ছিল, কিন্তু তা শত্রুতামূলক ছিল না। আর নিছক পাওনাগন্ডার কথাও যদি ধরি, স্বাধীনতার পর সব কটা পে কমিশন, ৮-১৬-২৫, হেল্থ স্কিমের মত কর্মচারী স্বার্থবাহী বিষয়ে সারা দেশের মধ্যে পাইওনিয়ার ছিল তো বামশাসিত পশ্চিমবঙ্গই। 

এটা ঠিক যে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ আমরা বাম আমলেও কখনও পাইনি, কেবলমাত্র একবার ছাড়া। সবসমই কয়েক কিস্তি পিছিয়ে থেকেছি। কিন্তু মনে রাখা দরকার ১৯৭৭ সালে বামফ্রন্ট ক্ষমতায় আসার বছরে রাজ্য কর্মীদের বকেয়া ডিএ ছিল ৭২%। তবে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ পাওয়ার স্বীকৃতিটা এখনকার মত হাই কোর্টে হলফনামা দিয়ে কেড়ে নেওয়া হয়নি। জ্যোতিবাবুতো বটেই, বুদ্ধদেবুও বহুবার প্রকাশ্যে বলেছেন,  কেন্দ্রীয় হারে ডিএ আপনাদের প্রাপ্য। কিন্তু সরকার একটু সমস্যায় আছে। একটু সুযোগ পেলেই দিয়ে দেব। আমরা একটাই পরিবার একটু সমস্যাটা ভাগ করে নিন। এবং ঘটনা হল সে সময় সরকারটা যে সমস্যায় আছে আমরা বুঝতে পারতাম। এই রাজ্যের মন্ত্রী- বিধায়কদের বেতন-ভাতা ছিল সারা দেশের মধ্যে সবথেকে কম। সরকারি অনুষ্ঠানে ফুল দেওয়া অর্ডার করে বন্ধ করে  দিয়েছিলেন অসীম দাশগুপ্ত। সরকারি মিটিং-এ চা-বিস্কুট ছাড়া আর কিছু দেওয়া মানা ছিল। কোনও মন্ত্রী-আমলা ঘর সাজানোয় আড়ম্বর করলে কর্মচারীই রিপোর্ট করত। সেটা পৌঁছে যেত অর্থমন্ত্রীর টেবিলে। মনে আছে একবার বামফ্রন্টের এক মন্ত্রী অ্যাম্বাসেডর ছেড়ে  স্করপিও চড়তে শুরু করায় তুলকালাম করেছিল কো-অর্ডিনেশন কমিটি। আমরা কি এসব বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে দেখব না? 

অনেকে সরকারের সঙ্গে কর্মচারীদের শ্রমিক-মালিক সম্পর্কের কথা বলে। তাই কী? পৃথিবীর ইতিহাসে কবে কোন  মালিক  সার্ভিস রুল সংশোধন করে শ্রমিককে ধর্মঘটের অধিকার দিয়েছে? দিয়ে আবার বলেছে, এই অধিকারটা ছাড়বেন না! কোন মালিক ক্ষমতা দখলের পর প্রথম তিনটে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের একটা নিয়েছে এই মর্মে যে,  কোনও শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশ যাবেনা! কোথাও একটুও মনে হয়নি, যে এই সরকারটা অন্য রকম? হ্যাঁ এটা মনে করার কোনও কারণ নেই যে বামফ্রন্ট সরকার সর্বগুণসমন্বিত, ত্রূটিবিচ্যুতিহীন একটি ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। তারা নিজেরাও কখনও সেই দাবি করেননি। কিন্তু শ্রমিক-কর্মচারীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার প্রশ্নে যে অবিস্মরণীয় ভূমিকা পালন করেছিল আজ তা মর্মে মর্মে  অনুভব করছে কর্মচারী সমাজ যখন ন্যায্য  দাবিগুলি আজ কুৎসিত ঈঙ্গিতে অনুকম্পার অনুজ্ঞায় বদলে যাচ্ছে। মানুষের উপর বিশ্বাস হারানো পাপ। শেষ পর্যন্ত জনগণের উপর বিশ্বাস আমাদের রাখতেই হবে। আর সেটাই তো এত অপমান আর লাঞ্ছনা সত্বেও আমাদের দপ্তরে কাজের অনুপ্রেরণা যোগায়। সিপিএম আমাদের বেতন দেয়নি, টিএমসি-ও দিচ্ছেনা। আমাদের অন্নের সংস্থান হচ্ছে  রাজ্যের দরিদ্র্যতম মানুষটির পয়সায় যে একটা আট আনার দেশলাই কেনার সময়ও ৫ পয়সা ট্যাক্স দিয়ে যাচ্ছে সরকারি কোষাগারে।  আমার ভাষ্যে একমত না হওয়ার অধিকার সবার থাকছে। স্বাভাবিক। আর আমরাদের লড়াইটাতো ভিন্নমত পোষণের অধিকারের  সপক্ষেও বটে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন