বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে, ২০১০-এ দাঙ্গায় প্ররোচনা দেওয়ার জন্য হাজী নুরুল ইসলামকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৪-তে সরিয়ে দেন। সরিয়ে কাকে আনেন? তসলিমার বিরুদ্ধে দাঙ্গা খ্যাত ইদ্রিস আলীকে। এ বলে আমায় দেখ ও বলে আমায়। সেখানে যে এরকম পরিস্থিতি হবে সেটাই স্বাভাবিক। তৃণমূল গত ৮-৯ বছর ধরে ওই এলাকায় সাম্প্রদায়িকতার চাষ করেছে। ওই এলাকার কিছু কিছু ধর্মীয় সংগঠন বাংলাদেশ থেকে জামাৎপন্থী মৌলবিদের নিয়ে এসে ওয়াজের আয়োজন করেছে দিনের পর দিন, তৃণমূল চুপ করে থেকেছে কারণ এতে তাদের লাভ হয়েছে। আজকে পরিস্থিতি তাই হাতের বাইরে। উল্টোদিকে তৃণমূলের হিন্দু অংশ কাজে লাগাচ্ছে তপন ঘোষের হিন্দু সংহতিকে। উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সীমান্তবর্তী মহকুমাগুলো আখড়া হয়ে উঠেছে হিন্দু সংহতির। সেই লাভও তৃণমূল নিজের ঘরে তুলেছে গত নির্বাচনে, তপন ঘোষ সরাসরি তৃণমূলকে ভোট দিতে বলেছিল নির্বাচনে। রাজ্য জুড়ে ক্রমশ তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব চেহারা নিচ্ছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার। আমার চারপাশে দেখছি সরকারি জমি, ফুটপাথ, এমনকি রাস্তার ওপর গজিয়ে উঠছে নতুন মন্দির, ফলকে লেখা থাকছে "সৌজন্যে" এলাকার বিধায়ক। সেখানে প্রতি শনি মঙ্গল বিলানো হচ্ছে ভোগের প্রসাদ। নিশ্চই এরকম আগাছার মতো মসজিদও গজাচ্ছে, যেহেতু আমার মুসলিম অধ্যুষিত এলাকায় যাতায়াত কম তাই চোখে পড়ে না। তৃণমূল সরকার এখন আর চেষ্টা করলেও এই চাকা পেছন দিকে ঘোরাতে পারবে না। জীবন জীবিকা নিয়ে ব্যাপক আন্দোলনই একমাত্র পথ। খাদ্য আন্দোলন পেরেছিলো দেশভাগের ক্ষত মুছে দিতে, সেরকম ব্যাপক আন্দোলনই পারবে পরিস্থিতি ফেরাতে। অনেক ইস্যু রয়েছে সামনে, গণ আন্দোলন তৈরি করবার।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন