বামপন্থার যদি মৃত্যুই হয়, অথবা ইতিহাসের অবসান, তাহলে এই মিছিলটা একটা মৃত মানুষের মিছিল। হতেই পারে। যারা ম্যাজিকে বিশ্বাস করে না, তাদের জীবনে ম্যাজিক যে ঘটবে না, সেটা স্বয়ং রোয়াল্ড ডাল বলে গেছিলেন।
কিন্তু এই প্রেতমিছিলে কারা কারা শামিল বলুন তো? বলে দিচ্ছি। গলায় দড়ি বাঁধা মহারাজা নন্দকুমারের ভূতকে দেখতে পাবেন বাঁ পাশ ঘেঁষে এগিয়ে আসছে। একটু দূরে সূর্য্য সেন, প্রফুল্ল চাকি, ভবানী পাঠক, মুনশি বরকতউল্লারা সার বেঁধে পাশাপাশি হাঁটছে । বন্ধ হয়ে যাওয়া চায়ের গুমটি ঘিরে রেখেছে লতিকা প্রতিভা অহল্যা ও রেণুদের দল। পেছন দিকটা ব্যারিকেড করে আছে জালিয়ানওয়ালাবাগ, আরওয়াল, জেহানাবাদের মৃত ভূমিহারদের গোষ্ঠীরা। তাদের পাশেই মাথা ফেটে রক্ত ঝরে পরা সুদীপ্ত গুপ্ত, কংসারি হালদার, সফদার হাশমী, ইলা মিত্রদের ভূতেরা । আর মিছিলের দুই সাইড ঘিরে ব্যারিকেড করে কারা এগিয়ে আসছে বলুন তো? ছিয়াত্তরের মন্বন্তরে মৃত কয়েক লাখ কৃষকের প্রেত। পাশের গাড়িগুলো দেখতে পাচ্ছেন? সেগুলোকে দাঁড় করিয়ে রেখে রাস্তার ওপাশ থেকে মিছিলে যোগ দিতে এগিয়ে আসছে ডানলপ হিন্দমোটর ঊষা কারখানার গলায় দড়ি দেওয়া লক-আউট শ্রমিকের ভূতেরা। এত ভূতেদের সাথে পাংগা নেবে কোন ফ্যুয়েরার?
ঝাড় খেতে খেতে শেষ হয়ে গেছি, ঝাড় খেতে খেতে শুরু
অনেক কষ্টে উঠে দাঁড়িয়েছি, গুরু !
এখন আর আমি ছাড়ার পাত্র নই।
হাত পা এখন শক্ত হয়েছে
গেস্টাপোদের নামালে
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন