এ্যাই শোন, ওই কবির নামটা কে রেখেছিস্ শঙ্খ?
জানিস তোরা, বুঝিস তোরা, উন্নয়েনের অঙ্ক?
আমি ফুঁ দিই পাঞ্চজন্যে, আমিই বাজাই ঢাক
চড়াম চড়াম চড়া আওয়াজ। মুখটি বুজে রাখ।
আমায় যিনি পোষেন, গলার শেকলটি যাঁর হাতে
যাঁর প্রশ্রয় যোগায় সাহস উদ্ধত উৎপাতে
তাঁর ইচ্ছেতেই উন্নয়নকে রাস্তাঘাটে ছেড়ে
একতরফা আবীরখেলা। তুই বলবার কে রে?
সুবোধ যত দামাল ছেলের তিনিই অভিভাবক
বাংলাভাষার মুখাগ্নিতে পাটকাঠি আর পাবক।
যুগ্মরোলের এই খেলাতে তাঁকেই করে মান্য
কবি এবং কবিনীদের যায় জুটে 'উপান্ন'।
বিদ্দ্বজ্জন উন্নয়নের এমন ভাগ্যদোষে
হাত বোলাচ্ছে দাড়িতে, আর কণ্ঠের বকলসে।
লেক টাউনের বিগবেন আর নিউটাউনের টুনি
উন্নয়নের এই যে ঝলক, দেখিসনি কে শুনি!
রাস্তা ঘাটের হাল দেখেছিস? কেমনটি ঝকঝকায়!
রুটিন কাজকে উন্নয়নের পোষাক দিয়ে ঠকায়।
সেই উন্নয়ন তোদের জন্য পাড়ার মোড়ে মোড়ে
শায়েস্তা খান সেজেছে আজ, দেখিসনি কি ওরে?
আজ থেকে শোন শঙ্খ ও নয়। আমিই তোদের জন্য
তাঁর হুকুমে শঙ্খ সেজে, হলাম পাঞ্চজন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন