বুধবার, ৯ মার্চ, ২০১১

আন্তর্জাতিক নারী দিবস, ৮ই মার্চ, ২০১১

 বামফ্রন্ট সরকার আর পশ্চিমবঙ্গে মা-বোনেরা


ক্ষমতায়নে অগ্রাধিকার

l রাজনৈতিক ক্ষমতায়নই মানুষকে সমাজ পরিচালন সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা নেয়ভারতের মধ্যে পঞ্চায়েতে পৌরসভায় পশ্চিমবঙ্গের মহিলারাই এই ক্ষমতা প্রথম পেয়েছেনপঞ্চায়েত পৌরসভাগুলিতে মহিলাদের জন্য এক-তৃতীয়াংশ সংরক্ষণ কেন্দ্রীয় সরকার করার পরে বামফ্রন্ট সরকার এই রাজ্যে সেটি সর্বপ্রথম প্রয়োগ করে

l ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতে সব আসন মিলিয়ে হিসেব করলে ৩৮.৪৮% সদস্যই মহিলাঅর্থাৎ, সংরক্ষিত আসনের চেয়ে অনেক বেশি

l রাজ্যের ১৮টি জেলার মধ্যে ৯টি জেলায় সভাধিপতি মহিলা

l গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে ৪১.৭৩% প্রধান মহিলা

l পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে ৩৯.৬৯% মহিলা

l সপ্তম বামফ্রন্ট সরকার পঞ্চায়েতের সব স্তরেই মহিলাদের জন্য ৫০% আসন এবং পদ সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে

l পৌরসভাতেও মহিলাদের জন্য ৫০% সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে নিয়েছে রাজ্য সরকার

l এই রাজ্যের বিধানসভায় মহিলাদের সংখ্যা ৩৭ জনশতাংশের হারে ১২ শতাংশের বেশি

 

মহিলা কমিশন

l ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে গঠিত হয় পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য মহিলা কমিশন

 

শিক্ষায় অগ্রাধিকার

l মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রীদের সংখ্যা এখন বেশি২০১০ সালে লক্ষ ৬৫ হাজার ছিলো ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ছিলো লক্ষ ৮৩ হাজার ১৫৮ জনচলতি বছরেও রাজ্যের ১০লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর মধ্যে অর্ধেকের বেশি ছাত্রী

l উচ্চমাধ্যমিকে ২০১০- পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ৪৪.৫৬% ছিলেন ছাত্রী

l এম এস কে-গুলিতে পড়ুয়াদের ৫৪.২৭% ছাত্রী এবং এস এস কে- পড়ুয়াদের ৫০.১৬% ছাত্রী

l মাদ্রাসার পড়ুয়াদের ৬৫% ছাত্রী

l উচ্চশিক্ষায় স্নাতকস্তরে (উচ্চশিক্ষা দপ্তর অনুমোদিত ‍‌শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হিসেব) ছাত্রীর সংখ্যা শতকরা ৪০.১৭ ভাগস্নাতকোত্তর স্তরে শতকরা ৪৫.২২ ভাগ

l অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ বিভাগ কর্তৃক পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত তফসিলী জাতি আদিবাসী ছাত্রীদের মেধা বৃত্তি প্রদান

 

চার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য

l প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, সিদো-কানু-বিরসা বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং নেতাজী সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যপদে এখন মহিলারাই

 

বিদ্যালয় শিক্ষিকা

l ২০০৯ সালে পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্ষেত্রে ৪১.১০ শতাংশই শিক্ষিকা


সংখ্যালঘু ছাত্রীদের সাহায্যে

l সংখ্যালঘু বিষয়ক মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ কর্তৃক মাদ্রাসার পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর সকল ছাত্রীদের পোশাক বিতরণ, অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীদের বছরে ১২০০ টাকা উৎসাহভাতা প্রদান, ছাত্রছাত্রীদের বই কেনার জন্য বছরে ২৫০ টাকা অর্থপ্রদান

l স্নাতক স্নাতকোত্তর স্তরে গরিব সংখ্যালঘু পরিবারের ছাত্রীদের উৎসাহ ভাতা দেওয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার বছরই৪০% নম্বর পেলেই এই ভাতা পাওয়া যাবেস্নাতকস্তরের ছাত্রীরা পান বছরে ৯০০০ টাকাস্নাতকোত্তর স্তরে বছরে ১৪৪০০ টাকা

l সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য রয়েছে একগুচ্ছ বৃত্তিপ্রাক্ মাধ্যমিক (উপকৃত হবেন লক্ষ), মাধ্যমিকোত্তর (উপকৃত হবেন ৯০ হাজার), মেধাসঙ্গতি বৃত্তি (উপকৃত হবেন হাজার), বিশেষ মেধা বৃত্তি, হাজী মহঃ মহসীন বৃত্তি (উপকৃত হবেন ১০ হাজার) এছাড়া আছে শিক্ষাঋণএই বৃত্তি প্রাপকদের শতকরা ৩০জনই ছাত্রীএছাড়া দুঃস্থ ইমাম মোয়াজ্জিনদের ছেলেমেয়েদের বৃত্তি দেওয়া হয়

l মুসলিম ছাত্রীদের জন্য ১১টি হস্টেল রয়েছেআর‍‌ ১১টি ছাত্রী হস্টেলের কাজ চলছেপার্ক সার্কাসের দিলখুশা স্ট্রিটে কর্মরতা মহিলাদের জন্য একটি হস্টেল তৈরি করা হচ্ছে

l আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ভোকেশনাল স্টাডিজ একগুচ্ছ বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের কোর্স চালু করেছেএর মধ্যে কয়েকটি কোর্স মূলত সংখ্যালঘু মহিলাদের জন্যইযেমনজরির কাজ, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ প্রভৃতিপ্রশিক্ষণের জন্য যে টাকা লাগে তার ৯০% দেয় রাজ্য সরকারমাত্র ১০% টাকা দেয় প্রশিক্ষণ প্রার্থীরা১১০৮ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে

 

সংখ্যালঘু মহিলা ক্ষমতায়ন কর্মসূচী

l সংখ্যালঘু মহিলা ক্ষমতায়ন কর্মসূচী সপ্তম বামফ্রন্ট সরকারের অসামান্য উদ্যোগস্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে সাহায্য করা ছাড়াও নানা ধরনের কর্মসূচী রূপায়ণ করা হচ্ছে এই প্রকল্পের আওতায়

l পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া আর কোথাও সংখ্যালঘু মহিলাদের স্বনির্ভরগোষ্ঠীকে ৫০% ভরতুকি দেওয়া হয় না

l বয়স ২০-৪৫ বছরের মধ্যে হলে ব্যক্তিগতভাবে অন্ততপক্ষে 'জন সংখ্যালঘু মহিলাকে নিয়ে গঠিত স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ঋণ দেওয়া হয়সুদ বার্ষিক মাত্র % হারে

l পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের মাধ্যমের বিভিন্ন ধরনের ঋণদান প্রকল্পে এযাবৎ ৫১,৩৮৩ জন মহিলাকে স্বনির্ভর করার লক্ষ্যে ৯৯ কোটি ২৪ লক্ষ টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে

l সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত দরিদ্র মহিলাদের বিশেষত বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত বিপন্ন অবস্থায় যাঁরা রয়েছেন তাঁদের জন্য আবাসন, প্রশিক্ষণ, ছেলেমেয়েদের বৃত্তি প্রদানের কাজ শুরু হচ্ছে২০১০-১১ সালে জন্য কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছেএছাড়া বিধবা বার্ধক্য ভাতা দেওয়া হয়

l রোকেয়া গ্যাস ওভেন প্রকল্প : সংখ্যালঘু মহিলাদের পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষা এবং স্বাচ্ছন্দ্য সুবিধার দিকে নজর দিতে পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমের মাধ্যমে প্রায় হাজার মহিলাকে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা প্রদান করে গ্যাস উনুন দেবার ব্যবস্থা হয়েছে

 

সামাজিক সুরক্ষায় অগ্রাধিকার

l বালিকা সমৃদ্ধি যোজনায় কন্যা সন্তানের পরিচর্যায় বিশেষ নজর, দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনায় অনুদানের ব্যবস্থা এবং এককালীন ৫০০ টাকা সহায়তা যা ব্যাঙ্কে জমা রাখা হয়

l পঞ্চায়েত গ্রামোন্নয়ন বিভাগ, সমাজকল্যাণ বিভাগ, অনগ্রসর সম্প্রদায় কল্যাণ বিভাগ, মৎস্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ, ক্ষুদ্র ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্রদপ্তর কর্তৃক বার্ধক্যভাতা প্রদানের ক্ষেত্রে মহলিাদের প্রতি বিশেষ নজর

l রাজ্যের সমাজকল্যাণ বিভাগ বিধবা ভাতা দেয় দীর্ঘদিন যাবৎদুঃস্থ বিধবাদের জন্য এই ভাতা চলতি আর্থিকবর্ষ থেকে মাথাপিছু মাসে ১০০০ টাকা করা হয়েছে

l জাতীয় বিধবা পেনশন প্রকল্প : ইন্দিরা গান্ধী জাতীয় বিধবা ভাতা প্রকল্প রাজ্যে দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাসকারী ৪০-৬৪ বছর বয়সী বিধবা মহিলাদের জন্যমাসে ৪০০ (চারশত) টাকা পেনশন পাওয়া যায়২০০ টাকা দেয় রাজ্য সরকার, বা‍‌কি ২০০ টাকা কেন্দ্রীয় সরকার

l ইন্দিরা আবাস যোজনায় গৃহনির্মাণে পুরুষ মহিলাদের যৌথ মালিকানা প্রদান

 

জমির পাট্টা

l রাজ্যে ভূমিসংস্কারের মারফত বণ্টিত জমির প্রায় ৩০% পেয়েছেন মহিলারাই

l নারী পুরুষ যৌথ পাট্টা লক্ষ ১৪ হাজারের বেশি

l শুধুমাত্র মহিলাদের পাট্টা লক্ষ ৬১হাজারেরও বেশি

 

কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার

l একশো দিনের কাজে মহিলা অংশগ্রহণ ২০০৮-০৯ সালে ছিলো ২৬.%। ২০০৯-১০ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৪২%।

l ১২লক্ষ স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কোটি ২০ লক্ষ সদস্যের ৯০ শতাংশই মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে ব্যাঙ্কঋণ শোধে ভরতুকি দিচ্ছে রাজ্য

l বাংলা স্বনির্ভর কর্মসংস্থান প্রকল্পে ১৫.৭৮% উদ্যোগপতি মহিলা

l প্রধানমন্ত্রী রোজগার যোজনা প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গে উদ্যোগীদের ২৫% মহিলা (২০০৯-১০ অর্থবর্ষ)। প্রকল্প রূপায়ণ করে ক্ষুদ্র ছোট উদ্যোগ এবং বস্ত্রদপ্তর

l স্বর্ণজয়ন্তী শহরী রোজগার যোজনায় এখনও পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার ক্ষুদ্র সঞ্চয় ঋণদান গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছেএই প্রকল্পে উপকৃত শহর এলাকার প্রায় লক্ষ ৬৫ হাজার বি পি এল পরিবারভুক্ত৮১,৭০৪ জন কারিগরি প্রশিক্ষণ পেয়েছেন

l আদিবাসী মহিলা স্বশক্তিকরণ যোজনা: অনগ্রসর শ্রেণী বিভাগের অধীন পশ্চিমবঙ্গ তফসিলী আদিবাসী উন্নয়ন বিত্ত নিগম পরিচালিত এই প্রকল্পে আদিবাসী মহিলারা সর্বাধিক ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ পেতে পারেনসুদের শতকরা হার টাকাচলতি আর্থিকবর্ষে ২৫০০ জনকে প্রায় কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে

l পশ্চিমবঙ্গ অনগ্রসর শ্রেণী উন্নয়ন বিত্ত নিগমের প্রতিষ্ঠা ১৯৯৫ সালে বি সি সম্প্রদায়ভুক্ত মহিলাদের জন্য মহিলা সমৃদ্ধি যোজনা রূপায়ণ করা ছাড়াও মেয়াদী ঋণ দেয় এই নিগমদেয় শিক্ষাঋণ

l রাজ্যের গ্রাম উন্নয়ন সমিতিগুলিকে বছরে ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়প্রতি ১০০০ জন পিছু জন মহিলা (আশা) এখন প্রতিটি পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন এবং স্বাস্থ্যচেতনার মৌলিক বার্তাগুলো তাঁদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেনএখনও পর্যন্ত ২১ হাজার ৭৬৩ জন প্রশিক্ষণ পেয়ে এই কাজ শুরু করেছেন১৭টি জেলার ২৩৫টি ব্লকে এই কর্মসূচী রূপায়ণের কাজ চলছে

l মৎস্য বিভাগ কর্তৃক জাল বোনা হাঁস পালনের জন্য প্রকল্প

l প্রাণী সম্পদ বিকাশ বিভাগ কর্তৃক মহিলাদের পশুপালন হাঁস-মুরগী পালনের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী

l রেশম পালন বিভাগ কর্তৃক মহিলাদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচীযৌথ বনসংরক্ষণ কমিটিগুলির প্রায় অর্ধেক সদস্যই মহিলা

l স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলিকে (এস জি এস ওয়াই) দেখভাল করার জন্য প্রতি গ্রাম পঞ্চায়েতে দুজন করে সম্পদকর্মী নিয়োগ করা হয়েছেএই দায়িত্বে মহিলাদেরই নিয়োগ করা হয়, মূলত স্বনির্ভর গোষ্ঠী থেকেইমাসে ভাতা ৫০০টাকাগ্রেডে পাস করার পর ৭৫০ টাকা

l স্বনির্ভর প্রকল্পের সদস্যাদের মাধ্যমেই সহায় প্রকল্পে অসহায় বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেবার কাজ হয়এর ফলেও একটি বিকল্প কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছে

 

 

নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইনী ব্যবস্থা

l কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের সম্ভ্রম মর্যাদা রক্ষায় বিশেষ আইনের প্রয়োগনারীপাচার রোধে ব্যবস্থা গ্রহণে রাজ্য সরকার বিশেষভাবে সক্রিয় রয়েছে

 

স্বাস্থ্যরক্ষায় অগ্রাধিকার

l মা শিশুর স্বাস্থ্যরক্ষায় বিশেষ নজর দিতে সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প (আই সি ডি এস)-এর রূপায়ণ‍‌শ্চিমবঙ্গে বাস্তবায়িত সুসংহত ‍‌শিশু বিকাশ প্রকল্পের সংখ্যা ৪১৪ এবং অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা , ১০,৭০০এই কেন্দ্রগুলি থেকে ৬৩ লক্ষ বছরের নিচে শিশু, এবং ১১, ২০,০০০ গর্ভবতী প্রসূতি মায়েদের একগুচ্ছ পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে

l জননী সুরক্ষা যোজনা রূপায়ণএই যোজনার মূল উদ্দেশ্য প্রতিটি শিশু যাতে হাসপাতালে জন্মায় তা সুনিশ্চিত করা এবং মায়েদের প্রসবকালীন মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করাপ্রকল্পে গর্ভবতী মায়েদের কমপক্ষে তিনবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার বিধি রয়েছেএই প্রকল্পে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মায়েদের এককালীন ৫০০ টাকা এবং শিশু হাসপাতালে জন্মালে আরও ২০০টাকা এবং প্রসবের জন্য হাসপাতালে যাতায়াতের যাবতীয় খরচ দেওয়া হয়

l কন্যা ভ্রণ নষ্ট রোধে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ এবং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা

l জানেন কি গড় আয়ু, জন্মহার, মৃত্যুহার এবং প্রসূতি মৃত্যুর হারে পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় হারের চেয়েও অনেক এগিয়েগড় আয়ু জাতীয় স্তরের ক্ষেত্রে মহিলা ৬৮. বছর কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে মহিলা ৭০. বছরপ্রসূতি মৃত্যুর হার জাতীয়স্তরের ক্ষেত্রে প্রতি লক্ষে ২৫৪জন; তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে ১৪১জনশিশু মৃত্যুর হার জাতীয়স্তরের ক্ষেত্রে প্রতি হাজারে ৫৩জন; তুলনায় পশ্চিমবঙ্গে ৩৫জন। (রাজ্যের স্থান চতুর্থ) নারী:পুরুষ অনুপাত জাতীয় স্তরের চেয়ে ভালো

l শহরাঞ্চলে রয়েছে মা ‍‌শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় জনস্বাস্থ্য প্রকল্পশহরাঞ্চলে বস্তিবাসী গরিব শহরবাসীদের মধ্যে একাজে যুক্ত আছেন ১৩ হাজার স্বেচ্ছাসেবী স্বাস্থ্যকর্মীবেতন হেলথ ওয়ার্কাররা পাবে মাসে আড়াই হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার ২৬৪০ টাকা মাসে

l প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার বেড়ে ৬৯.% হয়েছে

l শিশুদের টীকাদান প্রকল্পে হার বেড়ে ৭৫.% হয়েছে

 


 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন