প্রভাতে উঠিয়া দেখি ঘন কুয়াশা
তবু দেখা দেবে রবি রাখি দুরাশা
বার দুই কাপে ভরা
কফি খাওয়া হলো সারা
বহিল শীতল হাওয়া খরপরশা
পূবে দেখা দিল রবি ভাঙি কুয়াশা।
যদিও শীতেতে লোকে মরিছে কেশে
নলেনগুড়ের কাল এসেছে দেশে
খাও যত খেতে চাও
কিনে নিও মোয়াটাও
কনকচূড়ের চষি কিনিও শেষে
যদিও শীতেতে লোকে উঠিছে কেশে।
প্রভাতে উঠিয়া দেখি ঘন কুয়াশা
তবু দেখা দেবে রবি রাখি দুরাশা
বার দুই কাপে ভরা
কফি খাওয়া হলো সারা
বহিল শীতল হাওয়া খরপরশা
পূবে দেখা দিল রবি ভাঙি কুয়াশা।
বিছানায় শুয়ে আমি সকালবেলা
দেখি রোজ কত পাখি করিছে খেলা
সাঁঝে ফের দেখি আঁকা
আকাশেতে চাঁদ বাঁকা
সোয়েটারে থাকি ঢাকা রোজ দুবেলা
শীতেতে কাতর আমি নহি একেলা।
খেজুরের গাছে যেবা উঠিতে পারে
শিউলি বলিয়া সবে চেনে তাহারে
গাছে গাছে উঠে যায়
দড়ি বাঁধা দুটি পায়
কাস্তেতে কাটে হায় গাছের গা-রে
শিউলি বলিয়া সবে চেনে তাহারে।
যদিও শীতেতে লোকে মরিছে কেশে
নলেনগুড়ের কাল এসেছে দেশে
খাও যত খেতে চাও
কিনে নিও মোয়াটাও
কনকচূড়ের চষি কিনিও শেষে
যদিও শীতেতে লোকে উঠিছে কেশে।
যত চাও তত নাও পরাণ ভরে
পয়সা গণিয়া দিও আপন করে
সারা দেহ মোড়া উলে
হাঁমুখ রাখিও খুলে
ব্যাগেতে লও হে তুলে
দুহাতে ভরে
এবারে ফিরিয়া চলো আপন ঘরে।
খাই নাই খাই নাই বিষম ডরি
শর্করা লহুমাঝে গিয়াছে ভরি
পউষ গগনে ধীরে
কুয়াশা উড়িয়া ফিরে
লোভ সংবরি আমি রহিনু পড়ি
গুড় মোয়া খাই নাই বিষম ডরি।
-----
_কবিগুরুর কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হয়ে 'সোনার তরী' কবিতার শীতকালীন প্যারোডি।_
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন