১৯১১ সালে তদানীন্তন ব্রিটিশ ভারতের রাজধানী কলকাতা থেকে সরে গেল দিল্লিতে। ল্যুটিয়েন্স সাহেব এসে ডিজাইন করলেন ল্যুটিয়েন্স ডেলহির। সেখানকার কিছু রেলপথ উপড়ে ফেলে স্থানান্তরিত করা হল সে কারণে। কলকাতার উন্নতিমূলক কয়েকটা বড়সড় প্রকল্প এ কারণে থেমে রইল বেশ কয়েক বছর, কেননা সাহেবদের লক্ষ্য এখন দিল্লি নির্মাণ।
তাতে কি কলকাতার গুরুত্ব ফট করে কমে গেল? ঠিক তার উল্টো। কয়েকজন বাঘা বাঘা লোক এ সময় উঠে এলেন, যাঁদের মাথা অন্য সকলের চেয়ে ওপরে। রবীন্দ্রনাথ নোবেল পুরস্কার পেলেন ১৯১৩ সালে, দু-বছর পরে নাইট উপাধি। আচার্য জগদীশচন্দ্র ক্রেস্কোগ্রাফ বানিয়ে প্রমাণ করে দেখালেন বিভিন্ন উদ্দীপকের সংস্পর্শে গাছ কেমন প্রতিক্রিয়া দেখায়, তিনি প্রতিষ্ঠা করলেন বসু বিজ্ঞান মন্দির। আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে পাততাড়ি গুটিয়ে চললেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সায়েন্স কলেজে, প্রতিষ্ঠা করলেন স্কুল অভ কেমিস্ট্রি। রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জির মার্টিন অ্যান্ড কোম্পানি নির্মাণ করল ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, বাংলায় তিনি স্থাপন করলেন দেশের দ্বিতীয় ইস্পাত কারখানা, পড়ে-থাকা হাওড়া ব্রিজ তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বে কলকাতার অন্যতম দর্শনীয় বিস্ময় হয়ে দাঁড়িয়ে গেল ক্যান্টিলিভার ব্রিজ হিসাবে। চিত্তরঞ্জন দাশের সুযোগ্য শিষ্য হিসাবে ভারতীয় রাজনীতির অঙ্গনে উঠে এলেন সুভাষচন্দ্র।
এবং সেই একই সময়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হলেন আশুতোষ মুখোপাধ্যায়। সায়েন্স কলেজ প্রতিষ্ঠা করলেন তিনি। শুধু একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বিজ্ঞানের ভবন নয়, দেশে বিজ্ঞানচর্চার প্রসার ঘটাতে তিনিই উদ্যোগী হয়ে শুরু করলেন ভারতের সায়েন্স কংগ্রেস। কলকাতায় ১৯১৪ সালে তৈরি এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন তিনি নিজে। বললেন, তিনি চান প্রতি বছর এর সদস্যরা মিলিত হবে দেশের কোনো এক শহরে, আলোচনা করবে বিজ্ঞানের কোনো এক সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে যা দেশের পক্ষেও গুরুত্বপূর্ণ এবং এই অধিবেশনগুলোতে সভাপতিত্ব করবেন কোনো এক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী।
নিরবচ্ছিন্নভাবে বিগত একশো সাত বছর ধরে প্রতি বছর এই কংগ্রেসের অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে, যদিও শুরুর সেই গাম্ভীর্য এখন আর নেই। কয়েক বছর আগে একজন বিশিষ্ট নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী একে রাজনৈতিক তামাশা আখ্যা দিয়ে গেছেন।
অথচ শুরুর সেই সময়ে এটা ছিল বিজ্ঞান আলোচনার এক প্রকৃষ্ট মাধ্যম। সভাপতি হতেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদরা। ব্রিটিশ ভারতে সে সময় ভারতীয় বিজ্ঞানীর সংখ্যা হাতে গোনা, তাই ধরে আনতে হত বিদেশীদেরই। আশুতোষের উদ্বোধনের ছয় বছর পর দ্বিতীয় একজন ভারতীয় সভাপতিত্ব করেছিলেন, তিনি আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়, ১৯২০ সালে, সপ্তম বিজ্ঞান কংগ্রেসের নাগপুর অধিবেশনে। পরের বছর রাজেন্দ্রনাথ মুখার্জি, কলকাতায়। ১৯২৩ সালে লক্ষ্ণৌয়ের দশম অধিবেশনের সভাপতি ছিলেন এম বিশ্বেশ্বরাইয়া, ১৯২৭ সালে লাহোরের চতুর্দশ অধিবেশনের জগদীশচন্দ্র বসু এবং ১৯২৯ সালে মাদ্রাজে ষষ্ঠ অধিবেশনের চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন। এর পরের বছর ১৯৩০ সালে তিনি নোবেল পুরস্কার পান। মধ্যবর্তী সমস্ত অধিবেশনের প্রেসিডেন্ট ছিলেন বিদেশী কেউ।
সমস্ত অধিবেশনই ছিল থিমেটিক। প্রফুল্লচন্দ্রের সময় থিম ছিল আধুনিক ভারতে বিজ্ঞানের উন্মেষ, পরের বছর রাজেন্দ্রনাথের সময় বিজ্ঞান ও শিল্প। বিশ্বেশ্বরাইয়ার অধিবেশনের থিম বিজ্ঞানকেন্দ্র ও বিজ্ঞানী, জগদীশচন্দ্রের অধিবেশনে ইউনিটি ইন লাইফ তথা জীবনে ঐক্য। এইগুলো এবং অন্যান্য সমস্ত অধিবেশনে থিম ছিল বিজ্ঞানের বা বিজ্ঞানচর্চার কোনো সাধারণ বিষয়। রামনের সময় অবশ্য রামনের গবেষণাকেই প্রাধান্য দিতে থিম হল রামন এফেক্ট সংক্রান্ত।
এ সবের অনেক আগেই স্যার আশুতোষ বিজ্ঞান কলেজে অধ্যাপক হিসাবে নিয়ে এসেছেন সত্যেন্দ্রনাথ বসু ও মেঘনাদ সাহাকে, পরের বছর রামনকেও। কিছুকাল পরে ১৯২১ সালে বসু চলে গেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, সাহা চলে গেলেন এলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯২৩ সালে। ১৯২৪ সালে মারা গেলেন স্যার আশুতোষ, রামন এফেক্ট আবিষ্কারের বছর চারেক আগে।
১৯৩৩ সালের বিজ্ঞান কংগ্রেসের অধিবেশন বসল পাটনায়, সভাপতি এল এল ফার্মার, থিম জাতির জীবনে ভূবিদ্যার স্থান। ততদিনে দেশে বিজ্ঞানচর্চায় বেশ কিছু নতুন মুখ উঠে এসেছে। জাতীয় ক্ষেত্রে জায়গা করে নিচ্ছেন শান্তিস্বরূপ ভাটনগর, হোমি জাহাঙ্গির ভাবা, বিক্রম সারাভাই। অধিবেশনের অতিথি হয়ে ভারতে এসেছেন বিখ্যাত নেচার পত্রিকার সম্পাদক স্যার রিচার্ড গ্রেগরি। নেচার পত্রিকা অনুসরণ করেই ভারতে কারেন্ট সায়েন্স নামে এক পত্রিকা বের হয়, তখন তার সম্পাদক রামন। রামনের সঙ্গে গ্রেগরির কথাপ্রসঙ্গে উঠল ইংল্যান্ডের রয়্যাল সোসাইটির কথা। রয়্যাল সোসাইটির ধাঁচে ভারতে একটা সোসাইটি তৈরির পরামর্শ রামনকে দিলেন স্যার রিচার্ড।
রামন সে কথা সভায় পাড়তে অন্যান্যরা একবাক্যে সায় দিল। বিজ্ঞান কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরাই হয়ে যাবে এই ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অভ সায়েন্সের সদস্য। রামন বললেন, না, এখানে তো তিরিশ জন সদস্যের মধ্যে আদ্ধেকই ব্রিটিশ। তাদের মধ্যে দু-তিন জন ছাড়া সবাই বুড়ো-হাবড়া, সায়েন্সের সঙ্গে তাদের সংস্পর্শ বহুদিন ঘুচে গেছে, ওদের দিয়ে আমাদের কী লাভ? ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অভ সায়েন্স হবে শুধু ইন্ডিয়ানদের নিয়ে, ইয়াংদের নিয়ে, যারা সায়েন্সের চর্চা করে একমাত্র তাদের নিয়ে। ফালতু লোক দিয়ে সায়েন্স হয় না, সায়েন্স আর পলিটিক্স আমি এক করতে চাই না।
অন্যরা তাঁর এ কথা মেনে না নিলে রামন রেগেমেগে সে সভা ত্যাগ করলেন। কয়েকদিন পরেই তিনি দক্ষিণ ভারতের কয়েকজন বিজ্ঞানীদের সঙ্গে এক মিটিং করে সে বছরই তাদের নিয়ে ইন্ডিয়ান অ্যাকাডেমি অভ সায়েন্স নামে এক সোসাইটি রেজিস্টার করে ফেললেন। রেজিস্টার্ড এই সোসাইটিকে সরকার দেশের সায়েন্স সোসাইটি বলে মেনে নিল না। রামন এবং সুব্বারাও-এর মত দক্ষিণী বিজ্ঞানীরা সায়েন্স কংগ্রেস অ্যাসোসিয়েশন থেকে পদত্যাগ করলেন। বাকিরা তৈরি করলেন ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাডেমি বা ইনসা। এর পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলেন একে একে মেঘনাদ, ভাবা, ভাটনগর এমনকি রামনের সহকর্মী কৃষ্ণাণ।
রামন পলিটিক্স পছন্দ করেন না অথচ তিনি নিজেই উত্তর-দক্ষিণ বিভাজনে ব্যস্ত – এই ব্যাপারটা কলকাতার কেউ ভালো চোখে দেখল না। রামনও সুযোগ খুঁজছিলেন কলকাতা ত্যাগের। পরের বছর সুযোগ এসে গেল। ১৯৩৪ সালে রামন চলে গেলেন ব্যাঙ্গালোরে, ইন্ডিয়ান ইনস্টিট্যুট অভ সায়েন্সের প্রথম ভারতীয় ডিরেক্টর হিসাবে। কিন্তু পৃথিবীর যাবতীয় উন্নত দেশে যখন একটাই মুখ্য সায়েন্স অ্যাকাডেমি, ভারতে শূন্য থেকে গজিয়ে গেল দুটো এবং এখনও দুটোই সমানভাবে সক্রিয়।
দেশ স্বাধীন হওয়ার সময় যতই এগিয়ে এল, ততই দেখা গেল ইনসার অধিকর্তারাই পেয়ে যাচ্ছেন দেশীয় বড় বড় বিজ্ঞানসংস্থার দায়িত্ব। শান্তিস্বরূপ ভাটনগরের হাতে দায়িত্ব এল বিশাল টাকা খরচ করে বহু গবেষণাগার সমৃদ্ধ সিএসআইআর বা কাউন্সিল অভ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের। ভাবা পরমাণু গবেষণা শুরু করলেন, তৈরি হল বিএআরসি। সারাভাই দায়িত্ব পেলেন স্পেস রিসার্চের। রামন এ সব শোনেন আর হো হো করে হাসেন – মূর্খের দল, সায়েন্সের নামে টাকা ওড়াচ্ছে দ্যাখো! টাকা দিয়ে কি সায়েন্স কেনা যায় রে ছাগলের দল!
এদের সবাই এবং এদের পৃষ্ঠপোষক হিসাবে জওহরলাল নেহরু হয়ে গেলেন রামনের চোখে শত্রু।
ডিরেক্টর হিসাবে রামন আই আই এস সি-তেও টিঁকলেন না। দু-বছর যেতে না যেতেই তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ এল – তিনি বরাদ্দ টাকার সিংহভাগ বে-আইনিভাবে নিজের ফিজিক্স ডিপার্টমেন্টের পেছনে খরচা করছেন, অন্য ডিপার্টমেন্টের উন্নতিতে তাঁর কোনো দৃষ্টি নেই। জার্মানি থেকে ম্যাক্স বর্নকে প্রফেসর করে ধরে এনেছেন তিনি, এনে নিজেই তাঁর সঙ্গে ঝগড়ায় জড়িয়েছেন। তাঁর কাছে কাউন্সিলের চিঠি এল – হয় ইনস্টিট্যুট থেকে রিজাইন করো, নয় ডিরেক্টর থেকে রিজাইন করে ফিজিক্সের প্রফেসরগিরি করো। এই দুটোর মধ্যে বেছে না নিলে তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। নিরুপায় রামন বেছে নিলেন সম্মানহীন দ্বিতীয় শর্তটাই। ১৯৪৮ সালে রামন রিসার্চ ল্যাবরেটরি নির্মাণ করে তিনি অবশেষে আই আই এস সি-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করলেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কিছুকাল পরে জওহরলাল কন্যা ইন্দিরা ও দুই শিশু নাতিকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাঙ্গালোরে এসেছেন। ইন্দিরা শুনেছেন নোবেলজয়ী রামনের নাম, তিনি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চান। সুন্দরী ইন্দিরাকে রামন ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখালেন তাঁর রিসার্চ সেন্টার। দোতলার পোর্টিকো থেকে দূরে নন্দী হিলস দেখালেন। তারপর বললেন, বাবাকে গিয়ে বলবে কী দেখলেন, যদি ওঁর সময় হয় উনিও যেন একবার ঘুরে যান এখানে। সেদিন সন্ধেতেই তাঁর কাছে খবর এল, জওহরলাল পরদিন রামন রিসার্চ ল্যাবে আসতে চান।
রামন খুব আতিশয্য নিয়েই জওহরলালকে স্বাগত জানালেন এবং শুরু করে দিলেন তাঁর বক্তৃতা, যার সারমর্ম হচ্ছে তিনি বহু কষ্ট করে এই প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন, সরকার যেন অবিলম্বে এর পেছনে একটা লাখ দশেক টাকার এনডাউমেন্ট ফান্ড তৈরি করে, যাতে তাঁর পরেও এই প্রতিষ্ঠান চালাতে অসুবিধে না হয়। ফট করে এ রকম টাকার কথা বলায় জওহরলাল খানিকটা অপ্রস্তুত হলেও ঝানু পলিটিশিয়ানের মত উত্তর দিলেন, আপনি এই প্রতিষ্ঠানের ভবিষ্যৎ নিয়ে এত উদ্বিগ্ন হচ্ছেন কেন? সরকার কি আর রত্ন চেনে না? নিশ্চয় এর রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার সমস্ত ব্যাপার সরকার দেখবে।
টাকার প্রতিশ্রুতি না পেয়ে রামন নিরাশ হলেন এবং তারপরেই যা করলেন, সেটা অত্যন্ত অভিনব। জওহরলালকে তাঁর এক ল্যাবরেটরিতে নিয়ে গেলেন, যেখানে একটা টেবিলের ওপর রাখা ছিল দুটো ধাতব পাত। রামনের নির্দেশে সেই ঘরে একটা ইউভি ল্যাম্প বাদে সমস্ত লাইট নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ইউভি ল্যাম্পের আলোয় সেই দুটো পাতের একটা খুব চকচক করছিল। রামন জিজ্ঞেস করলেন, এর মধ্যে একটা সোনা, কোনটা বলুন তো? জওহরলাল চকচকে পাতটা দেখালেন। রামন হো হো করে হেসে উঠে বললেন, ওটাই তো পলিটিশিয়ানদের নিয়ে সমস্যা, স্যার, চকচক করলেই সোনা হয় না। ওটা আসলে তামা, পাশেরটা সোনা।
ঠারেঠোরে রামন বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী অপদার্থ লোকদেরই সোনা ভেবে গাদা গাদা টাকা খরচ করে বিজ্ঞানের পিন্ডি চটকাচ্ছেন।
এ সব সত্ত্বেও রামন ১৯৫৪ সালে ভারতরত্ন উপাধি পেলেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর গলায় পরিয়ে দিলেন ভারতরত্নের মেডেল। অপমান গায়ে মেখে থাকলে পলিটিশিয়ানদের চলে না। একই বছরে জওহরলালের নির্দেশেই তাঁকে ন্যাশনাল প্রফেসরের পদও দেওয়া হল।
পরের বছর সেন্ট্রাল এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট থেকে রামনের কাছে একটা চিঠি গেল। এডুকেশন সেক্রেটারির সই করা সেই চিঠিতে সবিনয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে, ন্যাশনাল প্রফেসর হিসাবে তিনি গত এক বছরে কী করেছেন, তা যেন তিনি চিঠি লিখে জানান।
মাথায় আগুন জ্বলে গেল রামনের। সেক্রেটারিকে ডেকে বললেন একটা হাতুড়ি খুঁজে আনতে। তার সামনেই ভারতরত্নের মেডেলটা ড্রয়ার থেকে বের করে মেঝেতে ফেলে হাতুড়ি দিয়ে বাড়ি মেরে চারখন্ড করে পিসগুলো একটা লেফাফায় ভরে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে রেজিস্টার্ড পোস্টে পাঠিয়ে দিলেন নোবেলজয়ী চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রামন।
১০ জানুয়ারি ২০২১
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন